।। প্রথম কলকাতা।।
Miscarriage: মহিলারা বর্তমানে স্বাবলম্বী হতে চান। এই বিষয়ে কোন রকম অস্বাভাবিকতা নেই। তাঁরা কর্মব্যস্ত জীবন যাপনে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। কিন্তু যে কোন মহিলার কাছেই মা হওয়া একটা বড় বিষয়। আর তাতে যদি বাধা হয়ে দাঁড়ায় কর্মব্যস্ততা (Busy Work Schedule) তাহলে বিষয়টি ভেবে দেখার প্রয়োজন রয়েছে। কোন মহিলা গর্ভধারণ করার পর তাঁর কাছে প্রথম ২৬ সপ্তাহ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ওই সময়ের মধ্যে গর্ভপাতের ঝুঁকি সবথেকে বেশি হয়। আর একটি গবেষণা দাবি করছে, যে সকল মহিলারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে কর্মরত তাদের গর্ভপাতের (Miscarriage) আশঙ্কা থাকে স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই বেশি।
লন্ডনের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের মতে, গর্ভপাতের নেপথ্যে যে শুধুমাত্র একটাই কারণ থাকবে এমনটা নয়। গর্ভপাত হতে পারে বিভিন্ন কারণে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শিশুর ক্রোমোজোমে (Chromosome) অস্বাভাবিকতা গর্ভপাত ঘটায়। দক্ষিণ কোরিয়ার জার্নাল আকুপেশনাল হেলথের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, মহিলাদের অতিরিক্ত খাটনির সঙ্গে গর্ভপাতের বিষয়টি বেশ সম্পর্কযুক্ত। ওই জার্নালে বলা হয়েছে, বিভিন্ন ধরনের কাজের ক্ষেত্রে গর্ভপাতের ঝুঁকি বিভিন্ন রকম হয়।
যেমন কোন মহিলা যদি সমাজসেবী সংগঠন অথবা কোন স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে কাজ করে থাকেন তাহলে তাঁর গর্ভের শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার আগেই মৃত্যুমুখী হতে পারে। অন্যদিকে যে সকল মহিলারা নিজস্ব ব্যবসা এবং শিক্ষা ক্ষেত্রের সঙ্গে জড়িত তাদেরও প্রেগনেন্সির সময় বিভিন্ন ধরনের শারীরিক জটিলতা বাড়তে পারে। তবে যে সকল মহিলারা অফিসে বসেই কাজ করেন, যাদের কাজে অতিরিক্ত হাঁটাচলা অথবা মানসিক চাপ থাকে না তাঁরা গর্ভপাতের ঝুঁকি থেকে বাইরে থাকেন।
গবেষণায় আরও বলা হয়েছে, যে সকল মহিলারা এশীয় বংশোদ্ভূত তাদের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা অনেকটাই বেশি। আর এই কারণে গর্ভপাত হতে পারে। সেই তুলনায় ইউরোপীয় মহিলাদের কম গর্ভপাত হয় । তবে এই সবকিছুর বাইরেও শারীরিক জটিলতা এবং অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় অতিরিক্ত ধূমপান, মদ্যপান এবং নিয়মের বাইরে জীবন যাপন করলেন গর্ভে মৃত্যু হতে পারে সন্তানের।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম