Nail Biting Effects: টেনশনে নখ খান! এই তিনটি রোগের জন্য রেডি থাকুন, কীভাবে নিজেকে দূরে রাখবেন ?

।। প্রথম কলকাতা ।।

 

Nail Biting Effects: পরীক্ষার হলে বসে কিছুতেই উত্তরটা মাথায় আসছে না।  আপনি নখ খেয়েই চলেছেন। প্রচন্ড টেনশন হচ্ছে কোন কারনে নখ কিন্তু সেই দাঁতে। যেন সব টেনশনের কারণ ওই বেচারি নখগুলো। আপনার জীবনের সব সমস্যা সমাধান মিলে নখ খেলে? না হলে বলুন না আপনার হাতের নখ গুলো গেল কোথায়! আপনার অজান্তেই দিনের পর দিন এই অভ্যাস গিলে খাচ্ছে। শুধু নখ নয় নখের ধারে চামড়াও খাচ্ছেন! মাঝে মাঝে মারাত্মক ব্যথা হচ্ছে! এভাবে সব শেষ করে দিতে পারে জানেন তো? অনেকে আনমনে কাজটি করে থাকেন। এই তিনটি রোগের জন্য রেডি থাকুন। পেটের রোগ তো হবেই সাথে হাজির হবে আরো অনেক কিছু। এই ছোট ছোট স্টেপ আপনাকে সাহায্য করবে দাঁত দিয়ে নখ কাটার অভ্যাস বন্ধ করতে। তাহলে একটু মন দিয়ে শুনুন।

 

নখ কেটে আঙুলের উপরটা ক্ষত-বিক্ষত করে ফেলেছেন। চামড়াও ছিঁড়ে ফেলেছেন। এতে জীবাণু সংক্রমণের আশঙ্কা বেড়ে যায়। ইনফেকশনে পরিমাণ যদি মারাত্মক হয়ে যায় তাহলে কিন্তু সর্বনাশ। আঙ্গুল বাধ যেতে পারে। দাঁত দিয়ে নখ খেলে দাঁতের উপর চাপ পরে। আর এই কারনে নির্দিষ্ট জায়গা থেকে সরে যেতে পারে দাঁত। এমনকী কিছু কিছু ক্ষেত্রে দাঁত ক্ষয়ে বা ভেঙেও যেতে পারে। কিন্তু সব জেনেও আপনি কি নিজেকে আটকে রাখতে পারছেন? উত্তরটা যদি না হয় তাহলে এইভাবে একটু চেষ্টা করুন।

 

প্রতিদিন নিয়ম করে প্রাণায়াম এবং মাইন্ডফুলনেস অভ্যাস করুন। তাতে আপনার মনের উপর নিয়ন্ত্রণ আসবে। কমবে উদ্বেগ। আর তাই আপনি নখ খাবেন কম। নখ বড় থাকলেই দাঁত দিয়ে নখ কাটার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। তাই নখ ছোট করে কাটুন। বড় নখে ময়লাও বেশি জমে। ছোট নখ হলে সে ভয় থাকে না। নখে নেলপালিশ পরে থাকুন।
তাহলে দাঁত দিয়ে নখ কাটতে গেলেই নেলপালিশের তিক্ত স্বাদ পেয়ে সেই কাজ থেকে দূরে থাকবেন। নখে মাঝেমাঝে ম্যানিকিওর করান। অতি যত্নে গড়ে তোলা নখ দাঁত
দিয়ে কেটে ফেলার আগে আপনি নিজেই দুবার ভাববেন। অন্যমনস্ক থাকলে দাঁত দিয়ে নখকাটার মতো কয়েকটি বদভ্যাসের জন্ম হয়। মন সচেতন রাখুন। এটা একটা দীর্ঘ অভ্যাসের ব্যাপার অসম্ভব কিছু নয়। অভ্যাস বদলাতে সময় লাগে। তবে ধৈর্য ধরে তা মেনে চললে এক দিন সফল হবেন।

 

চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলে ওনিকোফেজিয়া। ছোটবেলা থেকে শুরু হওয়া এই বদভ্যাস বড় হয়ে যাওয়ার পরেও অনেকেই ছাড়তে পারেন না। চিকিৎসকরা বলছেন, বিরক্তি ভাব, একঘেয়েমি, মানসিক উদ্বেগ বা খুব মনোযোগী হয়ে কাজ করার সময়েও অজান্তেই নখ দাঁতের কাছে চলে যায়। তাই একটি সতর্ক হোন। আর যদি একেবারেই না পারেন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিন অবশ্যই।

https://fb.watch/t3nLspRln_/

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

 

Exit mobile version