।। প্রথম কলকাতা ।।
Walking: শরীর ফিট রাখতে হাঁটার কোনও বিকল্প নেই। সারা পৃথিবীর তাবড় চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা হাঁটার প্রশংসায় পঞ্চমুখ। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা থেকে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ কিংবা ওজন কমানো সব সমস্যার সমাধান লুকিয়ে রয়েছে হাঁটায়। এখন প্রশ্ন হল হাঁটতে হবে কতটা? দিনে কত পা হাঁটলে শরীর সুস্হ থাকবে? দিনের কোন সময়ে হাঁটলে বেশি উপকার মিলবে? জেনে নিন চটপট।
চিকিৎসকরা বলছেন, দিনে হাঁটতে হবে ১০ হাজার পা। তাহলেই ডায়াবিটিস, ওবিসিটির মতো হাজারটা রোগের ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব। হাঁটা একটি সহজ এরোবিক এক্সারসাইজ।তাই শুধুমাত্র হেঁটেই সুস্থ-সবল জীবনযাপন করার কাজে অনেকটা এগিয়ে থাকতে পারবেন। নিয়মিত হাঁটলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে একাধিক ক্রনিক অসুখও। তবে মনে রাখবেন, হেঁটে সুস্থ-সবল জীবন কাটাতে হলে একটা রুটিন মেনে চলতে হবে। হেলেদুলে হাঁটার থেকে না হাঁটাই ভালো। উপকার পেতে চাইলে একটু জোর গতিতে হাঁটতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন হাঁটার সময় ঘাম বেরয়। এভাবে হাঁটার কৌশলকে বিজ্ঞানসম্মত ভাষায় ব্রিসক ওয়াকিং বলা হয়। নিয়মিত ব্রিসক ওয়াক করলেই আর আলাদা করে শরীরচর্চা করার প্রয়োজন পড়ে না।
দিনে ৩০ মিনিট হাঁটতেই হবে। সপ্তাহের হিসাবে মোট ১৫০ মিনিট হাঁটা মাস্ট। এই সময়টুকু হাঁটতে পারলেই কিন্তু আপনি অনায়াসে রোগের ফাঁদ এড়িয়ে যেতে পারবেন। তবে শুরুর দিকে অনেকেই এক নাগাড়ে ৩০ মিনিট হাঁটতে পারবেন না। সেক্ষেত্রে প্রথম কয়েকদিন একটু কম সময় হাঁটুন। তারপর ধীরে ধীরে সময় বাড়ান। সকালের দিকে হাঁটলেই উপকার মিলবে বেশি। তবে আপনি চাইলে দিনের যে কোনও সময়ই হাঁটতে পারেন। এমনকি সারাদিন সময় না পেলে অফিস থেকে ফেরার পথে ১ বা ২টো স্টপেজ আগে বাস-আটো-গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে বাড়ি ফিরুন। এই নিয়ম মেনে চললেই আপনি অনায়াসে সুস্থ-সবল জীবনযাপন করতে পারবেন।
তবে কর্মব্যস্ত জীবনে অনেকের ক্ষেত্রেই আলাদা করে সময় বার করে রোজ ১০ হাজার পা হাঁটা সম্ভব হয় না। কাজের ফাঁকেই তা পূরণ করা যায়। এজন্য বাড়ির ছাদে, লনে হাঁটুন। এ ঘর থেকে ও ঘর একটু জোরে হাঁটাহাঁটি করলেই দেখবেন ঘাম ঝরছে। প্রাতরাশ খাওয়ার মিনিট দশেক পরে হাঁটুন। দুপুরের বা রাতের খাবার খেয়ে বসে থাকবেন না বা শুয়ে পড়বেন না। বাড়ির ভেতরে বড় উঠোন বা বাগান থাকলে খুব ভাল। না থাকলে ছাদে গিয়ে হাঁটতে পারেন। অনেকেই বলেন, হাঁটার সময় কোথায়? রোজ তো অফিস থাকে। তাতেও সমস্যা নেই। অফিসে গিয়ে সারাদিন গ্যাঁট হয়ে বসে না থেকে হাঁটাহাঁটি করুন।
কাজের ফাঁকে বিরতিতে করিডরে গিয়ে হেঁটে আসুন। দুপুরের খাওয়ার পরেও হাঁটুন। বাইরে যেতে মন না চাইলে অফিসের ভিতরেই হাঁটুন। অফিসে চেষ্টা করতে হবে, সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করার। অফিস দশ তলায় হলে দুই থেকে তিন তলা অন্তত সিঁড়ি দিয়ে ওঠার চেষ্টা করুন। বাড়িতে থাকার সময়টুকু বার বার সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করলেও খুব ভাল ব্যায়াম হয়। তবে হার্টের রোগ, আর্থ্রাইটিস বা অন্য অসুখ থাকলে সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা করবেন কি না, সেটা চিকিৎসকের থেকে জেনে নেওয়াই ভাল। যাঁদের আর্থ্রাইটিসের ব্যথা রয়েছে, তাঁরা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া হাঁটার ভুল করবেন না।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম