।। প্রথম কলকাতা ।।
Health Tips: জল (Water) মেপে খাচ্ছেন তো? জল শরীরের জন্য কতটা উপকারী তা বলার অপেক্ষা রাখে না। আবার অতিরিক্ত পরিমাণে জল খেলেই সর্বনাশ। হিতে বিপরীত হবে। শরীরে বাসা বাঁধবে জটিল রোগ। তখন সেই পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে মুশকিলে পড়বেন। অতিরিক্ত পরিমাণে জল পান করলে শরীরের যে ঠিক কি সর্বনাশ হয় তা ধারণার বাইরে। জল দৈনন্দিন জীবনের (Daily Life) সুস্থ থাকার একটি অপরিহার্য অঙ্গ। চিকিৎসক থেকে শুরু করে গুরুজনেরা, প্রতিনিয়ত আমাদের কানের ধারে পরামর্শ দেন জল খাওয়ার জন্য। ছোটবেলায় বাচ্চাদের পিছনে রীতিমত বাবা-মায়েরা জলের গ্লাস নিয়ে দৌড়ান। কিন্তু প্রতিনিয়ত অত্যাধিক জল খাওয়ার জন্য নিজের শরীরে মারাত্মক বিপদ ডেকে আনছেন না তো ? জল কম খেলে শরীরের ক্ষতি, তা প্রত্যেকেই জানেন। কিন্তু বেশি খেলেও তার ক্ষতির পরিমাণ খুব একটা কম নয়। তাই আগে থেকে বুঝুন শরীরে জলের চাহিদা রয়েছে কিনা। প্রতিদিন পরিমিত পরিমাণে জল খান।
জলের চাহিদা বুঝবেন কীভাবে?
- অনেকে ব্যায়াম করার পর জল খান না। সেক্ষেত্রে পর্যাপ্ত পরিমাণে জলের অভাবে শরীরের মাংস পেশিতে টান দেখা দিতে পারে।
- যদি অনেকক্ষণ মাথা ধরে থাকে বা দীর্ঘক্ষণ মাইগ্রেনের ব্যথার সমস্যায় ভোগেন তাহলে দ্রুত একটু ফলের রস, সরবত কিংবা এক গ্লাস জলে চুমুক দিন। কারণ আপনার শরীরে জলের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
- যদি বেশ কয়েকদিনের জন্য হঠাৎ করে বারংবার মিষ্টি খাওয়ার প্রবণতা দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই বুঝবেন শরীরে জলের ঘাটতি রয়েছে। কারণ পরিমিত পরিমাণে জল না খেলে, আমাদের শরীরে লিভার ঠিকমত কাজ করেনা। জলের সাহায্যে লিভারের উৎপন্ন হয় গ্লাইকোজেন। যা শরীরে শক্তি উৎপন্ন করে। যখনই জলের অভাব দেখা দেয় তখনই নানান মিষ্টিজাতীয় খাবার খাওয়ার ইচ্ছা প্রবল হয়ে ওঠে।
অত্যাধিক পরিমাণে জল পানে ক্ষতি
- প্রতিদিন লাগামছাড়া অত্যাধিক পরিমাণে জল খেলে হার্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এছাড়াও অত্যধিক জল পানে শরীরে সোডিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট হয়। শরীরের জন্য সোডিয়াম অত্যন্ত উপকারী। কিন্তু অত্যধিক জল পান করলে শরীরে সোডিয়ামের ভারসাম্যহীনতার কারণে দেখা দেয় বমি বমি ভাব বা মাথা ঝিমঝিম করার মতো সমস্যা। এই অবস্থায় বারংবার টয়লেটে যেতে হয়।
- জলের অভাবে কিডনির নানান রোগ, কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। তেমনি অত্যাধিক জল খেলে দেখা দেবে নানান শারীরিক গোলযোগ। ২০০৭ সালে একটি রেডিও স্টেশনে জল পানের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে একজন প্রতিযোগী তিন ঘন্টার মধ্যে জল পান করেছিলেন প্রায় ৬ লিটার। তিনি বাড়ি ফেরার কিছুক্ষণ পরে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং ওয়াটার ইনটক্সিকেশনের কারণে মারা যান।
তাই জল কম পানেও বিপদ আবার অত্যাধিক পরিমাণে পান করলেও বিপদ। জল পান করতে হবে পরিমিত পরিমাণে। আপনার দৈহিক ওজন এবং শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী দৈনন্দিন কত লিটার কিংবা কত গ্লাস জলের প্রয়োজন, সেই সম্পর্কে চিকিৎসকের কাছে পরামর্শ নিয়ে নিন। সেই অনুযায়ী জল পান করুন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম