Zika Virus: ভারতে খোঁজ মিলল এক নতুন ভাইরাসের, সতর্ক থাকতে জেনে নিন লক্ষণ

। প্রথম কলকাতা ।।

Zika Virus: বিগত প্রায় দুটি বছর যেভাবে করোনা (Corona) একের পর এক প্রাণ কেড়ে চলেছিল তা বিশ্ববাসীর কাছে ভয়ঙ্কর স্বপ্নের থেকে কম কিছু নয়। যদিও এখন পরিস্থিতি একেবারেই স্বাভাবিক সবকিছু নিয়ন্ত্রণে। আবার স্বাভাবিক জীবন ছন্দে ফিরে এসেছে সাধারণ মানুষ। যদিও পশ্চিমবঙ্গে চলতি বছরে ডেঙ্গুর (Dengue) ব্যাপক বাড়বাড়ন্ত চোখে পড়েছিল। ডেঙ্গুর কারণে প্রাণ হারিয়েছেন এই রাজ্যের বহু মানুষ। তবে এবার মশা বাহিত আরও একটি রোগ ভারতে থাবা বসাতে চলেছে। কারণ এই দেশে খোঁজ মিলেছে নতুন জিকা ভাইরাসের (Zika Virus)। গবেষকরা বলছেন এই ভাইরাস হতে পারে মারাত্মক।

জিকা ভাইরাসের ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় ১৯৪৭ সালে প্রথমবার উগান্ডাতে (Uganda) এই ভাইরাসের খোঁজ মেলে। এটি মশা বাহিত একটি অসুখ। অর্থাৎ ডেঙ্গি যেমন মশার কামড়ে ছড়ায় এটাও ঠিক মশার কামড়েই ছড়ায়। তবে ডেঙ্গির নির্দিষ্ট কিছু উপসর্গ রয়েছে নির্দিষ্ট চিকিৎসা রয়েছে। জিকা ভাইরাসের আক্রান্ত হওয়া ব্যক্তির তেমন কোন নির্দিষ্ট উপসর্গ কিংবা চিকিৎসা নেই। এটাই বর্তমানে ভাবাচ্ছে গবেষকদের। তাদের মতে জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত কোনো মহিলা যদি গর্ভবতী হন তবে গর্ভস্থ সন্তানের ওপর এটি ভয়ঙ্কর প্রভাব ফেলতে পারে।

* কী লক্ষণ দেখা দেয় ?

WHO বা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে ব্যাক্তি জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হন তাঁর শরীরে তেমন গুরুতর কোন উপসর্গই দেখা দেয় না। খুব কম সংখ্যক মানুষের শরীরে উপসর্গ দেখা দেয়। তবুও সেগুলি একেবারেই সামান্য। যেমন এই ভাইরাস সংক্রমনের ৩ থেকে ১৪ দিনের মাথায় জ্বর, পেশি ও জয়েন্টে ব্যথা, মাথায় ব্যথা, কনজাংটিভাইটিস প্রভৃতি দেখতে পাওয়া যায়।

কীভাবে রোগ নির্ণয় করা হয় ?

যেহেতু এই রোগের নির্দিষ্ট কোন উপসর্গ নেই তার জন্য রোগ নির্ণয় করা খানিকটা মুশকিল হয়ে থাকে। তবে রক্ত পরীক্ষা এবং অন্যান্য ফ্লুইড পরীক্ষার মাধ্যমে এই রোগ ধরতে পারেন চিকিৎসকরা।

এই রোগ থেকে কী কী জটিলতা সৃষ্টি হয় ?

সাধারণত এই রোগে আক্রান্ত মহিলা যদি সেই সময় গর্ভবতী হন তবে তাঁর গর্ভের সন্তান বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। যেমন ওই শিশুর চোখে দেখতে সমস্যা হতে পারে। অনেক সময় শিশুর শ্রবণ শক্তি পর্যন্ত থাকে না। এছাড়াও শিশুর মাসল টোনে জটিলতা দেখা যায় জিকা ভাইরাসের প্রভাবে।

* চিকিৎসা পদ্ধতি

যেহেতু এই রোগের উপসর্গগুলি একেবারে সামান্য জ্বর, মাথা যন্ত্রণা, গায়ে হাতে পায়ে যন্ত্রণার মত তাই এই গুলির চিকিৎসা নির্দিষ্ট অসুবিধাগুলির ওষুধ দিয়েই করা হয়। জিকা ভাইরাসের আক্রান্ত রোগীর জন্য আলাদা কোন চিকিৎসা নেই। শুধুমাত্র ওই রোগীর যে সকল লক্ষণ গুলি দেখা দেয় সেগুলিরই চিকিৎসা করেন চিকিৎসকরা। গবেষকরা বলছেন, এতেই বেশিরভাগ মানুষ সুস্থ হয়ে ওঠেন। তবে এই ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। যেহেতু এটি মশা বাহিত রোগ তাই মশা থেকে বাঁচতে পারলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যায় এক প্রকারে। আর যদি উল্লেখিত কোন উপসর্গগুলি দেখা যায় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version