Reverse Walking: অভ্যাস বদলে পিছনে হাঁটুন দেখি ! সমাধান পেতে পারেন একগুচ্ছ সমস্যার

।। প্রথম কলকাতা ।।

Reverse Walking: কোন মানুষই জন্মের পর থেকে হাঁটাচলা করতে পারেন না। এমনকি কথাও বলতে পারেন না। ধীরে ধীরে সময়ের সাথে সাথে অভ্যাস (Habit) তৈরি হয়। টলমল পায়ে উঠে দাঁড়ানো, এক পা- দু পা করে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া আর তারপর শক্তসবল পায়ে হেঁটে দৌড়ে বাকি জীবনটা কাটিয়ে দেওয়া সাধারণত আমরা সামনের দিকে হেঁটে যেতেই শিখি। কেউ আমাদের পিছন দিকে হাঁটা শেখায় না। যদিও আমরা নিজেরাই পিছনদিকে হয়তো হা্ঁটতে চাই না। কিন্তু সম্প্রতি একটি গবেষণা বলছে, প্রতিদিন কিছুক্ষণের জন্যও যদি আপনি রিভার্সে হাঁটা (Reverse Walking) শুরু করেন তাহলে বহু উপকার পেতে পারেন।

ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ স্পোর্টস মেডিসিনে প্রকাশিত একটি গবেষণার রিপোর্টে এই তথ্যই দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে পিছন দিকে হাঁটা কিংবা পিছন দিকে দৌড়ানো একটি দারুণ কার্ডিও এক্সারসাইজ (Cardio Exercise)। এটা আপনার ওজন কমাতে ভীষণভাবে সাহায্য করতে পারে। শুধুমাত্র এক্সারসাইজই নয়, এই পিছনে হাঁটার আরও একাধিক গুণ রয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেইগুলি সম্পর্কে-

১. পায়ের পেশি মজবুত হয় : ওই গবেষণার মতে হাঁটাচলা করলেই পায়ের পেশি শক্ত হয়। সামনের দিকে হাঁটলেও যেমন পা শক্ত হয় তেমন ঠিক পেছনে হাঁটলেও উপকার পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে পায়ের পেছনের দিকে যে মাসেল গুলি রয়েছে সেগুলোর উপরে চাপ পড়ে। তাই সেইগুলি ক্রমশ শক্ত হতে থাকে।

২. মস্তিষ্ক সচল হয় : যখন আমরা দীর্ঘ দিন ধরে একই কাজ করতে থাকি তখন সেটাই আমাদের অভ্যাসে পরিণত হয়। আর সেই অভ্যাসকে কিছুক্ষণের জন্য বদলে নিজের মস্তিষ্কের (Brain) কথা অনুযায়ী ঠিক উল্টো কাজ করা সবার পক্ষে সম্ভব হয় না। কেউ যদি সেটা করতে পারেন তাহলে অবশ্যই তাঁর মস্তিষ্ক এবং শরীর একসাথে কাজ করছে অর্থাৎ তিনি দুটোই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন। তেমনভাবেই এই পেছনে হাঁটার কসরত করতে পারলে মস্তিষ্ক এবং শরীরকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

৩. গোড়ালির উপর কম চাপ: হাঁটতে গেলে অবশ্যই পায়ের গোড়ালিতে চাপ পড়বে। কিন্তু ওই গবেষণাতে বলা হয়েছে, আপনি যদি পিছনদিকে হাঁটতে থাকেন তাহলে আপনার গোড়ালিতে তুলনামূলকভাবে কম চাপ পড়ে। অনেকেই এমন রয়েছেন যারা স্থূলতায় ভুগছেন। তাদের ক্ষেত্রে এই গোড়ালি ব্যথা, পায়ে ব্যথার সমস্যা গুলি খুবই সাধারণ। তাঁরা এই রিভার্সে হাঁটার এক্সারসাইজ করতে পারেন। এক্ষেত্রে গোড়ালির ব্যথা কমার প্রবল সম্ভবনা থাকে।

৪. পিঠের ব্যথা কমে: যারা পিঠের ব্যাথায় (Back Pain) দীর্ঘদিন ধরে ভুগছেন তাঁরা পিছন দিকে হাঁটার অভ্যাস করুন সকালে অথবা বিকালে। কিছুটা সময় এর জন্য বের করুন। এতে পিঠের মাসল গুলি নমনীয় হবে যা আপনাকে পিঠে ব্যথা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করবে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version