।। প্রথম কলকাতা ।।
Vastu Tips: আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই রয়েছেন যাদের দিনের শুরুটাই হয় ভগবানের পায়ে একেবারে তাজা সুগন্ধি ফুল নিবেদনের মাধ্যমে। অনেকে আবার সেই ফুলের মালা তৈরি করে তা অর্পণ করেন দেবতাদের উদ্দেশ্যে। আমরা প্রত্যেকেই বাড়িতে হোক কিংবা কর্মস্থলে হোক সেখানে থাকা ঠাকুরকে বেশ সাজিয়ে গুছিয়ে পুজো-পাঠ করি প্রতিদিন সকালের দিকে। দেওয়া হয় ভোগ। জ্বালানো হয় সুগন্ধি ধূপ দীপ। কিন্তু পুজো দেওয়ার পরে যে ফুল ঠাকুরকে কিংবা মন্দিরে নিবেদন করা হল তা সরাতে ভুলে যাই। বাস্তু মতে একে চরম অশুভ বলে মনে করা হয়। যদি ঠাকুরকে নিবেদিত ফুল সঠিক সময় না সরিয়ে নেওয়া হয় এবং সেটি যদি শুকিয়ে কাঠ হয়ে যায় তবে আপনার পরিবারেও নেমে আসতে পারে অশান্তির কালো ছায়া।
কেন শুকনো ফুল রাখতে নেই ঠাকুরের কাছে ?
বাস্তুশাস্ত্র অনুযায়ী, আমরা সকালবেলায় মন্দিরে দেবতাদের পায়ে কিংবা গলায় যে মালা বা ফুল অর্পণ করছি সেইগুলি সন্ধ্যের মধ্যে সরিয়ে ফেলা উচিত। কখনই সেই ফুলগুলিকে শুকনো অবস্থায় মন্দিরে বা ঠাকুরের সামনে রাখবেন না। প্রথমত তা দেখতে অত্যন্ত খারাপ দেখায়। ধীরে ধীরে শুকিয়ে গিয়ে পচে একটা দুর্গন্ধ তৈরি হতে পারে। তাই বাস্তুর নিয়ম মেনে সন্ধ্যের আগেই সরিয়ে ফেলুন ওই ফুলগুলি। শুকনো ফুল ঘরে কিংবা কর্মস্থলে নেগেটিভ এনার্জির প্রভাব ভীষণভাবে বাড়িয়ে দেয়। তাতে আপনার জীবনে অশান্তি রোজকার ঘটনা হয়ে দাঁড়াতে পারে। এছাড়াও যদি বাড়ির মন্দিরে দেবতার গলায় কিংবা সিংহাসনে থাকে শুকনো ফুল তবে গৃহদেবতা অসন্তুষ্ট হন।
ঠাকুরের সামনে শুকনো ফুল রাখলে কী হতে পারে ?
সকালে দেওয়া ফুল যদি সন্ধ্যের পর শুকিয়ে যায় আর আপনি তা ঠাকুরের সামনে থেকে সরাতে ভুলে যান তবে ক্রমশ পেশাগত এবং ব্যক্তিগত জীবনে ক্ষতির শিকার হতে থাকবেন। আর্থিক দিক থেকেও কোনরকম উন্নতি নজরে পড়বে না। অন্যদিকে যদি প্রতিদিন নিয়ম মেনে তাজা ফুল ভগবানকে নিবেদন করেন এবং সন্ধ্যের আগে সেগুলি সরিয়ে নেন তাতে বাস্তুতন্ত্র অনুযায়ী ছড়িয়ে পড়বে ইয়াং এনার্জি। এমনিতেও বিশ্বাস করা হয় যে, তাজা ফুল যেখানে থাকে সেখানে পজেটিভ এনার্জির বসবাস। কথায় বলে , কোন ব্যক্তি যদি শারীরিক এবং মানসিক দিক থেকে অসুস্থ থাকেন তবে তা্র ঘরে একদম তরতাজা রঙবেরঙের ফুল রাখা উচিত। তাতে মন ভালো থাকে সেই ব্যক্তির।
শুকনো ফুলগুলি দিয়ে কী করতে পারবেন ?
নিজের সংসারে কিংবা কর্মস্থলে কেউই অশান্তি চাইবেন না। তাই বাস্তুর নিয়ম মেনে সকালে দেওয়া ঠাকুরকে ফুল সরিয়ে নেবেন সন্ধ্যেবেলায় । তবে ঠাকুরকে নিবেদন করা সেই শুকনো ফুলগুলি দিয়ে কী করবেন? এই প্রশ্ন অনেকের মনেই ওঠে । একেবারে পুরাতন প্রচলিত নিয়ম মেনে আপনি সেই ফুল কোন ভালো জায়গায় রেখে দিন । একসাথে কিছু ফুল জমার পড়ে তা গঙ্গা কিংবা পরিষ্কার পুকুরের জলে ভাসিয়ে দিন। এছাড়াও তুলসী মঞ্চের মাটিতে সেই ফুল পুঁতে রাখতে পারেন।
তবে বর্তমানে ভীষণভাবে প্রচলিত হয়েছে আরও এক রীতি। ঠাকুরকে দেওয়া ফুলগুলি জমাতে থাকুন। সেইগুলি একেবারে শুকনো হয়ে গেলে বেশ কিছু ফুল গুঁড়ো করে নিন। চেষ্টা করবেন কিছুটা মিহি করে গুঁড়ো করার। এরপর অল্প একটু আতর কিংবা সুগন্ধি কোন তরল মিশিয়ে দিন সেই ফুলগুলিতে। বিভিন্ন আকার দিয়ে শুকিয়ে নিন কড়া রোদে । যেমন ধরুন কোনটাকে গোল চ্যাপ্টা আকার, আবার চৌকো কিংবা ত্রিভুজ আকার করে নিতে পারেন। একদম কড়া ভাবে শুকিয়ে যাওয়ার পর রোজ সন্ধ্যেবেলায় সেই গুলিকে জ্বালিয়ে একটি পাত্রে রেখে দিন। পাত্রটিকে এমন কিছু দিয়ে ঢাকা দেবেন যাতে ছোট ছোট ছিদ্র রয়েছে। এতে আপনার ঘরে সুন্দর গন্ধ ছড়িয়ে পড়বে। শুকনো ফুলের সদ্ব্যবহারও হবে। আর আপনার ঘরে কিংবা অফিসে বজায় থাকবে পজিটিভ এনার্জির আনাগোনা।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম