Haldi Ceremony : গায়ে হলুদ ছাড়া বিয়েই অসম্পূর্ণ! হিন্দু ধর্মে কেন এত প্রাধান্য পায় এই রীতি?

।। প্রথম কলকাতা ।।

Haldi Ceremony : ভারতীয় বিয়েতে গায়ে হলুদ থাকবে না তা আবার হয় নাকি ! হিন্দু ধর্ম মতে বিয়ে করলে এই রীতি অবশ্যই পূরণ করতে হবে। না হলে বিয়ে সম্পূর্ণ হয়েছে তা মানাই হয় না। যারা আনুষ্ঠানিকভাবে সকল রীতি মেনে বিয়ে করেন তাদের জন্য এই গায়ে হলুদের রীতি কিন্তু বেশ গুরুত্ব রাখে। মূলত বিয়ের দিন সকালে বর এবং কনের গায়ে কাঁচা হলুদ বেটে তারপরে মাখানো হয়। প্রথমে বরকে হলুদ মাখানো হয় আর তারপর সেই হলুদ নিয়ে যাওয়া হয় কনের বাড়িতে। কনেকে হলুদ মাখিয়ে তারপর রীতি পূরণ করা হয়।

এই অনুষ্ঠানকে ঘিরে রীতিমতো আনন্দের মেতে ওঠেন পরিবার বন্ধু আত্মীয়-স্বজন সকলেই। কিন্তু হিন্দু ধর্মে কেন এত বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয় গায়ে হলুদের রীতিকে? আসলে এর পেছনে কি কোন আধ্যাত্বিক বিশ্বাস লুকিয়ে রয়েছে নাকি রয়েছে অন্য কোন যুক্তি? চলুন জানা যাক ভারতীয় সংস্কৃতির হিন্দু বিয়েতে গায়ে হলুদের রীতি কেন প্রচলিত।

প্রথমত, যেটা না বললেই নয় তা হল ভারতীয় সংস্কৃতিতে হলুদ এক প্রকার আশীর্বাদের প্রতীক। যে কোন শুভ কাজ করার আগে হলুদ এবং সিঁদুরের ফোঁটা খুবই শুভ বলে মনে করা হয়। তাই বর এবং কনে তাদের নতুন জীবনে পদার্পণ করার দিন সকালে এই গায়ে হলুদের নিয়ম পালন করা হয়। প্রচলিত বিশ্বাস এই হলুদ তাদেরকে আগামী বাধা-বিপত্তি থেকে দূরে রাখবে। এছাড়াও বজায় রাখবে তাদের জীবনে শান্তি। হলুদ বর এবং কনেকে যে কোন রকমের নেতিবাচক শক্তির প্রভাব থেকে রক্ষা করে হলুদ। কারণ এটা নিজেই শুভশক্তির প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হিন্দু ধর্মে।

জ্যোতিষ শাস্ত্রে বলছে, বিয়ের দিন গায়ে হলুদের আরও একটি কারণ রয়েছে। মনে করা হয় এই হলুদের সঙ্গে সেই দিন দেবগুরু বৃহস্পতির আশীর্বাদ মিশে থাকে। বিয়ের অনুষ্ঠান যাতে নির্বিঘ্নে সুন্দরভাবে কেটে যেতে পারে তাই এই গায়ে হলুদের রীতি যুগের পর যুগ ধরে পালন করে আসা হচ্ছে। প্রচলিত বিশ্বাস এবং জ্যোতিষ শাস্ত্রের পাশাপাশি আয়ুর্বেদেও হলুদের আরও বেশকিছু গুণ রয়েছে বলেই মনে করা হয়। যেমন ধরুন কাঁচা হলুদ প্রাকৃতিক জীবাণুনাশক হিসেবে বহুল প্রচলিত।

যেকোনো ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করার জন্য হলুদের জুড়ি মেলা ভার। কোথাও কেটে ছিঁড়ে গেলেও কাঁচা হলুদ বেটে লাগিয়ে রাখার নিয়ম রয়েছে। বিয়ের দিন সকালে কনে এবং বরের গায়ে কাঁচা হলুদ বাটা লাগালে তা একদিকে যেমন ত্বকের জেল্লা বাড়াবে তেমনই তাদেরকে যেকোনো ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে রক্ষা করবে বলেই মনে করা হয়। আবার মনকে শান্ত করতেও নাকি হলুদ দারুন ভাবে সাহায্য করে । তাই বিয়ের দিন সকালে এত উদ্বেগ অনুষ্ঠানের মধ্যে বর- কনের মনকে শান্ত করার জন্য এই হলুদ কাজে আসে। সর্বোপরি ভিন্ন ক্ষেত্রে ভিন্ন মতামতের পর এটাই বলা যায় হিন্দু ধর্মে শুভ জিনিসের প্রতীক হল হলুদ। তাই বিয়ের মতো শুভ কাজের আগে তার ব্যবহার অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করেন সকলেই।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version