।। প্রথম কলকাতা।।
Winter Diet : চলতি বছরে ঠান্ডা বেশ ভালোই কাবু করেছে বঙ্গের মানুষকে। কেউ কেউ অবশ্য শীতকাল (Winter) পছন্দ করে থাকেন। আবার কারও কাছে শীতকাল বড্ড অপছন্দের। যাদের কাছে অপছন্দের তাদের সঙ্গে কথা বললে জানা যায়, বেশিরভাগ মানুষই শীতকালে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এই কারণে শীতকালকে বিশেষ পছন্দ করেন না তাঁরা। এই ঠান্ডায় শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (Immunity Power) কমে যাওয়ার কারনে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক অসুস্থতা ঘিরে ধরে। সেই তালিকায় জ্বর সর্দি-কাশি ছাড়াও থাকে পেট ব্যথা, বদহজম, কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো রোগগুলি।
শীতকালে যদি শরীরকে ভেতর থেকে যথেষ্ট পরিমাণে গরম রাখা যায় ,তাহলে অর্ধেক সমস্যা সেখানেই মিটে যেতে পারে। আর রোজকার ডায়েটে এমন কিছু খাবার রাখতে হবে যেগুলি শরীরে পুষ্টি যোগাবে। এই দুটি যদি একই ধরনের খাবার থেকে পাওয়া যায়, তাহলে একেবারে সোনায় সোহাগা। আজকের প্রতিবেদনে এমনই বেশ কিছু খাবারের হদিশ রইল যেগুলি খেলে শীতে একদিকে যেমন ইমিউনিটি পাওয়ার বৃদ্ধি পাবে , তেমনি শরীর গরম থাকার কারণে ছোটখাটো রোগ ব্যাধি সহজে কাবু করতে পারবে না।
*খেজুরে মিলবে উপকার : খেজুরের (Dates) মধ্যে থাকে ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম। আর এই উপাদান গুলি প্রত্যেকটি শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এছাড়াও খেজুর ফাইবারের একটি দারুণ উৎস। তাই খেজুর খেলে পেটের বিভিন্ন সমস্যা নিরাময় হতে পারে। আর প্রতিদিন যদি নিয়ম করে সকালে খেজুর খাওয়া যায় তাহলে একদিকে যেমন শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে, তেমনি অন্যদিকে বিভিন্ন যে শীতকালীন রোগ সেগুলি থেকেও মুক্তি মিলবে।
* প্রতিদিন ডিম খান : শীতকালে অবশ্যই রোজ ডিম (Egg) খাওয়া উচিত, এমনটাই বলেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। কারণ ডিম শরীরের পক্ষে কতটা উপকারী তা আলাদা করে বলবার প্রয়োজন নেই। ভেতর থেকে শরীরকে পুষ্টিগুণ দিতে পারে ডিম । এছাড়াও ফ্লু ও ঠান্ডা লাগার মত সমস্যা গুলিও মিটে যেতে পারে। ডিম যেহেতু প্রোটিনের ভালো উৎস তাই পেশির বিকাশকে ত্বরান্বিত করতে ডিম খাওয়া উচিত । এছাড়াও শীতকালে প্রতিদিন ডিম খেলে শরীর গরম থাকে যা শীতকালীন রোগকে আমাদের থেকে দূরে রাখে।
* গুড় খান : সকালের দিকে ছোলা আর গুড় (Jaggery) খেলে শরীরে আয়রনের ঘাটতি পূরণ হয়, এমনটাই বলে থাকেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা । এছাড়াও যাদের রক্তাল্পতার মতো সমস্যা রয়েছে এই ছোলা গুড় সেই সমস্যা থেকেও মুক্তি দিতে পারে। গুড়ের মধ্যে থাকে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং জিঙ্ক। যা শীতকালে শরীরকে সুস্থ রাখতে দারুন সাহায্য করে । এছাড়াও গুড়ের মধ্যে পাওয়া যায় অ্যান্টি অক্সিডেন্ট । এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে । যারা খুব সহজেই ঠান্ডা লাগিয়ে ফেলেন কিংবা হাঁচি-কাশির সমস্যায় ভোগেন, তাঁরা গুড়ের কাড়া খেতে পারেন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম