।। প্রথম কলকাতা ।।
Incense Stick: বাড়িতে সকালউচিত-সন্ধ্যা পুজো করার নিয়ম রয়েছে। বিশেষ করে হিন্দু ধর্মাবলম্বী বাড়িতে পুজো করা মানেই একগুচ্ছ ধূপকাঠি (Incense Stick) জ্বালিয়ে তাঁর সুগন্ধি ধোঁয়া গোটা বাড়িতে ছড়িয়ে দেওয়া। মা ঠাকুমারা এই ভাবেই দিনের পর দিন বাড়ির অশুভ শক্তিকে দূরে সরিয়ে আসছেন। কিন্তু এই অভ্যাস নেতিবাচক শক্তিকে কতটা দমিয়ে রাখতে পারে তা প্রমাণিত না হলেও ধূপকাঠির ধোঁয়া (Smoke) মানবদেহে কী কী ক্ষতি করতে পারে তা এক প্রকার প্রমাণিত । তবে এক্ষেত্রে অনেকেরই মনে হতে পারে ধূপকাঠির ধোঁয়ার সঙ্গে শরীরের কি আদৌ কোন সম্পর্ক রয়েছে?
সম্প্রতির কয়েকটি গবেষণা একথা প্রমাণ করেছে। ধূপকাঠির মধ্যে এমন কিছু ক্ষতিকারক উপাদানের (Harmful Elements) উপস্থিতি রয়েছে যেগুলি আগুনে জ্বালিয়ে দেওয়ার পর একটা দূষিত ধোঁয়া উৎপন্ন হয়। আর এই ধোঁয়া শরীরের প্রবেশ করা মাত্রই দেহে তার খারাপ প্রভাব পড়তে থাকে। সিগারেটের ধোঁয়া শরীরে কতটা ক্ষতি করে তা কারও অজানা নয়। ঠিক ততটা অথবা তার থেকেও কিছুটা বেশি ক্ষতি করতে পারে ধূপের ধোঁয়া । কারণ এই ধোঁয়া নিয়মিত সকাল-বিকাল আমাদের দেহে প্রবেশ করছে। চলুন জানা যাক কী কী ক্ষতি হতে পারে ধূপের ধোঁয়া থেকে।
* শরীরের প্রদাহ বৃদ্ধি: প্রতিনিয়ত যদি ধূপে ধোঁয়া গিলতে থাকা হয় তাহলে শরীরে বেড়ে যায় প্রদাহের মাত্র। খারাপ হতে থাকে ফুসফুস এবং কিডনি। এই অতিরিক্ত ধোঁয়া শরীরে ক্যান্সারের মতো জটিল রোগও সৃষ্টি করতে পারে।
* অ্যাজমার আশঙ্কা বৃদ্ধি: দিনের পর দিন যদি ধূপকাঠির ধোঁয়া গ্রহণ করা হয় তাহলে ফুসফুসের উপরে এর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। যার কারণে অ্যাস্থমার শিকার হতে পারেন বাড়ির সদস্যরা । একটি গবেষণা দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে যে ধূপের ধোঁয়ার সঙ্গে সংযোগ রয়েছে অ্যাজমার।
* ভালো কোলেস্টরেল কমে যাওয়া: সাধারণত সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য চেষ্টা করা হয় যাতে শরীরে ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পায় এবং খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানো যায় কিন্তু ধূপের ধোঁয়া ক্রমশ ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে শুরু করে। যা হার্টের স্বাস্থ্য বিগড়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট । তার ওপর আবার এই ধোঁয়ার কারণে হজমের ক্ষমতা ক্রমশ কমে যেতে পারে যে কোন মানুষের। বাড়িতে যদি কারও ছোট বাচ্চা থাকে তাহলেও ধূপকাঠি ব্যবহার করা উচিত নয়। বর্তমানে বাজারে মশা মারার জন্য ধূপকাঠি পাওয়া যায়। সেগুলির গন্ধ হয় আরও তীব্র। ওই গন্ধের দ্বারা বাচ্চা কিংবা বৃদ্ধদের অ্যালার্জি হতে পারে। চোখ লাল হয়ে যাওয়া বা চোখ চুলকানোর মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
ধূপের বিকল্প হিসেবে বাড়িতে ব্যবহার করা যেতে পারে কর্পূর। পুজো দেওয়ার সময় ধূপকাঠির বদলে জ্বালানো যেতে পারে ঘি বা তেলের প্রদীপ। এছাড়াও যদি সুগন্ধ প্রয়োজন হয় তাহলে এসেনশিয়াল অয়েল ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে বাড়ির পরিবেশ যেমন সুন্দর হয় তেমনি স্ট্রেসের প্রভাব কমতে থাকে। আজকের এই প্রতিবেদনে দেওয়া প্রত্যেকটি তথ্য কেবলমাত্র সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা। এই সম্বন্ধিত কোন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত তথ্য পেতে অবশ্যই চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম