Saree Cancer: ‘শাড়ি ক্যানসারে’র নাম শুনেছেন?আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকেই, কেন হয় জানেন!

।। প্রথম কলকাতা ।।

Saree Cancer: আপনি কি সবসময় শাড়ি পরে থাকেন? কিংবা বেশিরভাগ সময় পরে থাকেন টাইট জিন্স? তাহলে একটু সাবধান হোন। কারণ দিনে দিনে বাড়ছে শাড়ি ক্যানসার। আপনারা অনেক রকমের ক্যানসারের নাম শুনেছেন। কিন্তু শাড়ি ক্যানসার কথাটা নতুন ঠেকছে, তাই না? তবে আমাদের দেশে এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকেই। কী এই শাড়ি ক্যানসার? কীভাবে শরীরে বাসা বাঁধে এই মারণ রোগ?

বুঝতেই পারছেন,এই রোগের পেছনে রয়েছে শাড়ি। ভারতেই মহিলারা সবথেকে বেশি শাড়ি পরেন৷ অনেকেই শাড়ি পরে থাকেন সারা দিনই। আর তা থেকেই ক্যানসারের আশঙ্কা বেড়ে যায়৷ ভাবছেন, তাও আবার হয় নাকি। হ্যাঁ। সেটাই হয়। দিল্লির পিএসআরআই হাসপাতালের ক্যানসার সার্জনরা বলছেন, মহিলারা যেভাবে শাড়ি পরেন তাতেই ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যায়৷ ওই চিকিৎসকদের মতে, মহিলারা কোমরের কাছে শাড়ি গুঁজে রাখেন৷ দীর্ঘক্ষণ এ ভাবে শাড়ি গুঁজে রাখার ফলে ওই জায়গায় ত্বকের সঙ্গে ঘর্ষণ হয়৷ অনেক সময় ছাল উঠে কালো দাগ পড়ে যায়৷ নিজে থেকেই তা ঠিক হয়ে যায়৷ এ ভাবে বার বার ছাল উঠে যাওয়ার ফলেই চামড়ার ক্ষতি হয়। তা থেকেই ক্যানসারের আতঙ্ক বেড়ে যায়৷

ফলে কোমরের ওই অংশ নিয়মিত পরিষ্কার রাখা অত্যন্ত জরুরি৷ গরম এবং আর্দ্রতা বেশি এমন এলাকায় এই ধরনের ক্যানসারের ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়৷ বিহার এবং ঝাড়খণ্ডে এই ক্যানসারে আক্রান্ত রোগীর খোঁজ পাওয়া গিয়েছে৷ মেডিক্যাল পরিভাষায় একে স্কুয়ামস সেল কারিকম বলা হয়৷ ভারতে একশো জন ক্যানসার আক্রান্ত মহিলার মধ্যে একজন আক্রান্ত হন শাড়ি পরে থাকার কারণে৷ তাহলেই বুঝতে পারছেন সংখ্যাটা নেহাত কম নয়। মুম্বইয়ের আর এন কুপার হাসপাতালে এই শাড়ি ক্যানসার নিয়ে গবেষণাও হয়েছে৷ যেহেতু ধুতিও শাড়ির মতো করে পরা হয়, তাই ধুতিকেও এই গবেষণায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল৷ তবে ধুতি থেকে ক্যানসারের আশঙ্কা অনেক কম।

শাড়ি ক্যানসার নামটি দিয়েছিলেন বম্বে হাসপাতালের চিকিৎসকরা৷ সেখানে ৬৮ বছর বয়সি এক মহিলার এই রোগ ধরা পড়েছিল৷ ওই মহিলা ১৩ বছর বয়স থেকে শাড়ি পরতেন৷ শাড়ির মতো দীর্ঘক্ষণ টাইট জিন্সের প্যান্ট পরে থাকলেও ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে৷ শরীরের কোনও অংশে খুব টাইট হয়ে আটকে থাকে এমন কোনও জিনিসই দীর্ঘক্ষণ পরে থাকা উচিত নয়।

https://www.facebook.com/100082942485331/posts/409239888517424/?mibextid=NTRm0r7WZyOdZZsz

আসলে শাড়ি বেশিরভাগ ভারতীয় মহিলাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক। গরম আর আর্দ্র আবহাওয়ায় সারাদিন কোমরে জড়িয়ে থাকে শাড়ি।কোমর প্রায়শই ধুলো এবং ঘামে নোংরা হয়। অনেক ক্ষেত্রে সেই জায়গা সঠিকভাবে পরিষ্কারও করা হয় না। তার ফলে কোমরের ওপর পিগমেন্টেশন হয়। হালকা স্কেলিং এর পরিবর্তন হয়। এটি দীর্ঘস্থায়ী জ্বালা সৃষ্টি করে। ধীরে ধীরে কোমরের ত্বকে ম্যালিগন্যান্সি বিকশিত হয়। একই সমস্যা হতে পারে টাইট জিন্সের প্যান্ট পরলেও। তাই এক ধরণের পোশাক সব সময় নয়। শাড়ি পরুন, আবার থাক চুড়িদারও। আর পরিচ্ছন্ন তো থাকতেই হবে। তাহলে দূরে থাকবে অন্য রোগও।

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version