।। প্রথম কলকাতা ।।
Health Care: ঘন ঘন প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া ভাব, যদি এই সমস্যায় দীর্ঘদিন ধরে ভুগতে থাকেন তাহলে বিষয়টি একেবারেই অবহেলা করবেন না। হয়ত শরীরের বাসা বাঁধছে জটিল রোগ। তাই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এই ধরনের সমস্যা হলে অনেকেই ভাবেন শরীর গরম হয়েছে, তাই জল খেলে হয়ত ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু সমস্যা যদি গভীর হয় তাহলে মুশকিল। ঘন ঘন প্রস্রাব আর তার সঙ্গে জ্বালাপোড়া ভাব কেন হয়? এর থেকে মুক্তির উপায় কী? আপনার জন্য কিছু উপকারী তথ্য রইল এই প্রতিবেদনে।
• কিডনির বিপদ সামান্য সমস্যায় !
সাধারণত এই ধরনের সমস্যা বয়স ভেদে নির্ভর করে। যাদের খুব ঘন ঘন ইউরিন ইনফেকশন হয় সেক্ষেত্রে কিন্তু ভবিষ্যতে বড় বিপদ আসতে পারে। কিডনির নানান সমস্যা দেখা দেওয়া সম্ভাবনা রয়েছে। ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে হলে তা মূলত চিকিৎসকরা এর লক্ষণ দেখে বোঝেন। ইনফেকশন যদি বারবার হতে থাকে তাহলে তা কিডনি পর্যন্ত পৌঁছে যেতে পারে। যারা বিশেষ করে ডায়াবেটিসে ভুগছেন তাদের ক্ষেত্রে এই ধরনের ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এক্ষেত্র দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ এই ইনফেকশন যদি ভুলেও রক্তে ছড়িয়ে পড়ে তাহলে তা মারাত্মক, যাকে বলা হয় সেপটিসেমিয়া। এই সমস্যায় দীর্ঘদিন ভুগলে কিডনিতে এফেক্ট পরে। এমনকি পরিস্থিতি মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছালে কিডনি নষ্ট পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে। এই সমস্যা স্টোনের জন্য হতে পারে। প্রস্রাবের নালীতে স্টোন জমলে তা ব্লক করে দেয়। যার কারণে এফেক্ট পড়ে কিডনিতে।
• সমস্যার সমাধান
যদি সমস্যা গভীর না হয় তাহলে আপনি ঘরোয়া কিছু উপায়ের মাধ্যমে সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন। জল পানের পরিমাণ বাড়াতে হবে। পরিমিত পরিমাণে জল পান করলে দূষিত ব্যাকটেরিয়া গুলি শরীর থেকে বার হয়ে যাবে। এর ফলে প্রস্রাবের সময় এই সমস্যা দূর হবে। এছাড়াও পাশাপাশি জল জাতীয় ফল, সবজি, বিভিন্ন জুস, স্যুপ খেতে পারেন। স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া সমৃদ্ধ দই শরীরের পিএইচ এর ভারসাম্য বজায় রাখে। প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া ভাব কমাতে কয়েক দিন নিয়ম করে দুই থেকে তিন কাপ দই খেলে উপকার পাবেন। যদি সমস্যা বারবার হয় তাহলে আমিষ জাতীয় খাবার থেকে একটু দূরে থাকুন। তার পরিবর্তে বেছে নিন প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি জাতীয় খাবার। এছাড়াও হিটিং প্যাড ব্যবহার করতে পারেন বা বাড়িতে থাকা নরম সুতির কাপড় সামান্য গরম করে তলপেটে আলতো করে পাঁচ মিনিট ধরে চেপে রাখবেন। এভাবে কয়েকবার করলে একটু হলেও উপকার পাবেন। তবে এই সমস্যা একেবারেই ফেলে রাখা উচিত নয়। দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম