।। প্রথম কলকাতা ।।
Uric Acid: শীত পড়তেই ইউরিক অ্যাসিডের (Uric Acid) জ্বালায় জেরবার অনেকেই। গাঁটে গাঁটে ব্যথা যেন অসহ্যকর হয়ে উঠছে। সাধারণত আমাদের শরীর যখন পিউরিন নামক একটি পদার্থকে বিপাক করে তখনই শরীরে তৈরি হয় ইউরিক অ্যাসিড (Uric Acid)। আর পিউরিন আসে খাবার থেকে, তাই আপনি ঠিক কি খাচ্ছেন তার উপর নির্ভর করবে কতটা বশে রাখতে পারবেন ইউরিক অ্যাসিডকে। সাধারণত কিডনি শরীরের ইউরিক অ্যাসিড প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বার করে দেয়। কিন্তু যখন অতিরিক্ত পরিমাণে ইউরিক অ্যাসিড জমতে থাকে তখন কিডনি তা পারে না। স্বাভাবিক ভাবেই শরীরের মধ্যে জমতে থাকে অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিড। যার কারণে শুধুমাত্র গাঁটে গাঁটে ব্যথা নয়, কিডনিতে পাথর পড়া সহ নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে।
শীতকাল মানে নানান রংবেরঙের সবজির বাহার। তাই এই শীতে বিশেষ করে কয়েকটি সবজি আপনাকে অবশ্যই এড়িয়ে চলতে হবে। যে খাবার কিংবা সবজিতে পিউরিন রয়েছে সেগুলি এড়িয়ে চলাই ভালো। উৎসবের মরশুমে মিষ্টি একটু এড়িয়ে চলুন। নলেন গুড়ের রসগোল্লা, চা, কফি প্রভৃতির লোভ না সামলানো গেলেও এগুলি খান পরিমিত পরিমাণে। শীতকাল মানে চারিদিকে শুধু পার্টির আমেজ, তবে অ্যালকোহল থাকে দূরে থাকুন। কারণ এতে পিউরিনের পরিমাণ বেশি থাকে। পাশাপাশি রেড মিট খেতে হবে পরিমিত পরিমাণে। সামুদ্রিক মাছ, রেড মিট, মাংসে প্রচুর পরিমাণে পিউরিন থাকে।
NHI এর প্রতিবেদন অনুযায়ী মটরশুঁটি, মাশরুম, ফুলকপি, অ্যাসপারাগাস, পালং শাক প্রভৃতি সবজিতে প্রচুর পরিমাণে পিউরিন রয়েছে। সাধারণত চল্লিশ বছর বয়সের পর ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা দেখা দেয়। অনেকেই আছেন যারা দ্রুত ওজন কমাতে কার্বোহাইড্রেট বাদ দিয়ে প্রোটিন বেশি খান। এখান থেকেও সমস্যার সূত্রপাত হতে পারে। ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে টমেটো খাওয়া ছেড়ে দিন। রান্নায় অল্প পরিমাণে টমেটো, পেঁয়াজ ব্যবহার করতে পারেন, তবে কাঁচা পেঁয়াজ কিংবা টমেটো একেবারেই খাবেন না। ডাল থেকে তৈরি জিনিস যেমন সয়াবিন রাজমা, কাবুলি ছোলা, মটর এগুলো একটু এড়িয়ে চলুন। কিডনি স্টোনের সমস্যা থাকলে একেবারেই খাবারের লবণের পরিমাণ কমিয়ে দিন। প্যাকেটজাত খাবার একেবারেই খাবেন না। কারণ এতে অধিক পরিমাণে লবণ থাকে। এছাড়াও রং দেওয়া জেলি, সিরাপ, কৌটো বন্দী ফ্রুট জুস, আচার, চানাচুর, নোনা মাছ এগুলি খাওয়া বন্ধ করতে হবে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম