Flax Seeds: ওজনের পাশাপাশি বাড়ছে ব্লাড সুগার ? চুমুক দিন ফ্ল্যাক্স সিডের পানীয়তে

।। প্রথম কলকাতা ।।

Flax Seeds: বর্তমানে প্রতিদিনের কাজের চাপ তার পাশাপাশি মানসিক চাপের কারণে বিভিন্ন ধরনের রোগ ঘিরে ধরছে মানুষকে। তার উপরে সঠিক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার ডায়েটে না থাকার কারণে সেই সমস্ত রোগ আরও চেপে বসছে। ওবেসিটি, উচ্চ কোলেস্টেরল ,উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ইত্যাদি দেখা যায়। এগুলি কমানোর জন্য সর্বপ্রথম আমরা ডাক্তারের উপর ভরসা রাখতেই পছন্দ করি। কিন্তু শুধুমাত্র ওষুধে সব রোগ কমে না। এর জন্য খাওয়া-দাওয়া ঠিক রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন। উল্লেখিত এই রোগ গুলি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভীষণভাবে সাহায্য করে ফ্ল্যাক্স সিড (Flax Seeds) ।

আপনি যদি আপনার প্রতি দিনের ডায়েটে ফ্ল্যাক্স সিড জুড়তে পারেন তাহলে মুক্তি পাবেন বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকে। যেমন আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই বীজের মধ্যে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলার মতো বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এছাড়াও এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। যাদের মানসিক স্বাস্থ্য (Mental Health) কোনো কারনে বিগড়ে রয়েছে তাঁরা এই বীজ খেতে পারেন। তাতে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয় । এছাড়াও মহিলাদের মেনোপজ (Menopause) লক্ষণ গুলি কমাতে সাহায্য করে ফ্ল্যাক্স সিড।

* কীভাবে ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করবেন ফ্ল্যাক্স সিড ?

এই বীজ সরাসরি খেলে সেটি যতটা না কাজে লাগে তার অনেক গুণ বেশি কাজ করে এই বীজকে গুঁড়ো করে খেলে। সারারাত জলের মধ্যে ফ্ল্যাক্স সিড গুলিকে ভিজিয়ে রাখুন। আর তারপর সকালবেলা সেই জল পান করুন। পেট সংক্রান্ত কোনো সমস্যা থাকলে তার সমাধান হবে। এছাড়াও আপনি ওজন কমানোর জন্য যদি ডায়েটে ফ্ল্যাক্স সিড রাখতে চান তাহলে তৈরি করে নিন এই বীজের স্মুদি। এই স্মুদি একেবারে পাতলা হয় না যার কারণে দীর্ঘক্ষন পেটে থাকে। আর ওজন কমাতে দারুনভাবে সাহায্য করে। এটা রক্তে শর্করার মাত্রাকেও নিয়ন্ত্রণে রাখে।

* কীভাবে তৈরি করবেন ফ্ল্যাক্স সিডের স্মুদি ?

স্মুদি বিভিন্নভাবে তৈরি করা যায়। তবে এই ফ্ল্যাক্স সিড দিয়ে স্মুদি তৈরি করার সবথেকে সহজ পদ্ধতি হল একটি ব্লেন্ডারের মধ্যে এক কাপ দুধ, এক কাপ স্ট্রবেরি টুকরো, হাফ কাপ মত কলার টুকরো এবং দুই চামচ মত ফ্ল্যাক্স সিডের গুঁড়ো দিয়ে দিন। তাজা ফল থেকে এমনিই স্মুদি কিছুটা মিষ্টি হবে। তবে আর একটু মিষ্টি যোগ করতে চাইলে দু চামচ মধু দিয়ে দিতে পারেন। আর তারপর একটি গ্লাসে ঢেলে তার উপরে কিছু টাটকা ফল টুকরো করে কেটে পরিবেশন করুন। এটা ওজন (Obesity) কমাতে যেমন সাহায্য করবে তেমন শরীরে সঠিক পুষ্টিগুণ পৌঁছে দিতেও সাহায্য করবে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version