Cold Sore : শীত আসতেই ঠোঁটের কোণে উঁকি দিয়েছে ঘা ? ঘরোয়া উপায়ে মুক্তি পান জ্বরঠোসা থেকে

।। প্রথম কলকাতা ।।

Cold Sore : শীতকালে অধিকাংশ মানুষ জ্বর সর্দি কাশির মতো সমস্যায় ভুগতে থাকেন। যাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তুলনামূলকভাবে কম তাঁরাই শীতকালে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হন। সর্দি কাশি জ্বরের মতো ঠোঁটের ঘা হল শীতকালীন আরও একটি সমস্যা। এটি ঠোঁটের আশেপাশে হয়ে থাকে। কখনও এই ঘা জলভরা ফোসকার মত হয়, কখনও আবার সেটা কোনোভাবে ফেটে গিয়ে রক্তাক্ত কাণ্ড হতে পারে। একে ডাক্তারি ভাষায় বলা হয় কোল্ড সোর (Cold Sore) আর চলতি ভাষায় জ্বরঠোসা বলেই চেনেন সাধারণ মানুষ।

এই ঘা খুব বেশিদিন থাকে না। এর একটি ভালো বিষয় হচ্ছে এটি নিজে থেকেই কিছুদিন পরে কমে যায়। কিন্তু যে কয়দিন থাকে সেই কয়দিন ভীষণভাবে ভুগতে হয় মানুষকে। ঠোঁটে কিংবা ঠোঁটের আশেপাশে জ্বরঠোসা হলে খেতে গেলে ভীষণ কষ্ট হয়। অনেকে এই কষ্ট থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বাজারের ওষুধ কিনে আনেন। তাতে অবশ্য জ্বরঠোসা কমে যায়। কিন্তু সব সময় বাজারের ওষুধ ব্যবহার না করে ঘরোয়া টোটকার ওপরেও ভরসা রাখতে হয়। জ্বরঠোসা বা কোল্ড সোর কমানোর জন্য ঘরেই এমন বেশ কিছু উপাদান রয়েছে যেগুলি আপনাকে সাহায্য করতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে ঘরোয়া কৌশলে এই জ্বরঠোসার যন্ত্রণা থেকে দ্রুত নিষ্কৃতি পেতে পারেন আপনি।

১. অ্যালোভেরা : অ্যালোভেরা (Aloe vera) হল এমন একটি গাছ যেটি আপনার বাড়িতে থাকলে কোন না কোন কাজে অবশ্যই লাগবে। অ্যালোভেরা জেল ত্বক চুলের যত্নে ব্যবহার করা হয়। একই সঙ্গে বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে অ্যালোভেরা জুস খাওয়াও হয়। আর জ্বরঠোসা কমানোর জন্যও এই অ্যালোভেরা সাহায্য করে। এর শাঁস অল্প পরিমাণে নিয়ে আপনি ঘায়ের ওপরে লাগিয়ে দিতে পারেন। তাতে দ্রুত যন্ত্রণা কমবে।

২. মধু : মুখের ঘা এর উপরে টাটকা মধুর (Honey) প্রলেপ যদি দেওয়া যায় তাহলে প্রদাহ কমে। তবে দিনে অন্তত আপনাকে দুই থেকে তিনবার মনে করে ঘা এর উপরে মধুর প্রলেপ দিতে হবে।

৩. ঘি: বাড়িতে যদি আপনার একেবারে টাটকা ঘি (Ghee) থেকে থাকে তাহলে এই মুখের ঘা কমাতে সেটা কাজে লাগবে। ঘি অল্প গরম করে সেটাকে ঘায়ের উপরে দিয়ে দিন। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগেই কাজটি করুন। আর সারাদিনে অন্ততপক্ষে দুবার ঘি লাগাতে পারেন। এতে আরাম মিলবে।

৪. রসুন বাটা: বলা হয় মুখের ঘা কমানোর জন্য রসুন বেটে (Garlic Paste) তার প্রলেপ লাগানো উচিত। দিনে যদি দু-তিনবার এই প্রলেপ লাগানো যেতে পারে তাহলে ঘা কমে খুব তাড়াতাড়ি।

৫. ভিনিগার : অনেকের বাড়িতে গিয়ে অ্যাপেল সিডার ভিনিগার (Apple Cider Vinegar) থাকে । সেটার অবশ্য অনেক রকমেরই গুণ রয়েছে। এই মুখের ঘা কমানোর জন্যও কিন্তু অ্যাপেল সিডার ভিনিগার ব্যবহার করা হয়। একটা নরম কাপড়ের মধ্যে অ্যাপেল সিডার ভিনিগার নিয়ে ঠোঁটের ঘা এ লাগাতে পারেন। তাতে ঘায়ে থাকা ভাইরাসগুলি নষ্ট হয়ে যায় এবং খুব তাড়াতাড়ি এই সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে।

প্রতিবেদনে উল্লেখিত প্রত্যেকটিই ঘরোয়া উপাদান। তাই এদের সাইড এফেক্ট হওয়ার মতো কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে ঘরোয়া কৌশলে যদি মুখের ঘা না সারে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে ।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version