।। প্রথম কলকাতা ।।
Botox : ধুলোবালি প্রভৃতি পরিবেশ জনিত দূষণের কারণে বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের অসুখ দেখা দিচ্ছে মানবদেহে। এই দূষণের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে আমাদের ত্বক। কম বয়সে বুড়িয়ে যাচ্ছে ত্বক যা ব্যাপক অস্বস্তিকর। অনেকেই ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করে নিজের বলি রেখা দূর করার চেষ্টা করে থাকেন। কিন্তু সব ক্ষেত্রে সফল হন না। তাই এখন দারুণভাবে প্রচলিত বোটক্স চিকিৎসা। এই চিকিৎসার মাধ্যমে যে কোন মানুষ তার মুখের বলিরেখা এবং অবাঞ্ছিত দাগকে দূর করতে পারবেন। ত্বক থাকবে একেবারে কাঁচের মতো স্বচ্ছ।
বিগত প্রায় কুড়ি বছর ধরে এই চিকিৎসা পদ্ধতির ওপর ভরসা করেছেন বহু মানুষ। বলিউড-হলিউডের অভিনেত্রীরা এর আশ্রয় নেওয়ার পর সাধারণ মানুষের মধ্যেও এর প্রচলন ভীষণভাবে বৃদ্ধি পায়। এখনও বহু মানুষ বোটক্স চিকিৎসা করাতে আগ্রহী, কিন্তু তাদের মনের মধ্যে কোথাও গিয়ে একটা ভয় কাজ করে। কারণ কিছু ভ্রান্ত ধারণা মনে পোষণ করে রেখেছেন তাঁরা। তাই যারাই বোটক্স করানোর চিন্তা ভাবনা করছেন অবশ্যই ভুল ধারণা গুলি প্রথমে সরিয়ে ফেলার চেষ্টা করুন । জেনে নিন আসল বিষয়টি।
বেশ কিছু ভ্রান্ত ধারণা :
অনেকে মনে করেন বোটক্স চিকিৎসা ত্বকের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক। কিন্তু আসলে ব্যাপারটা তেমন নয়। সারা বিশ্ব জুড়ে বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা এই চিকিৎসা দিয়ে আসছেন মানুষকে। আবার অনেকেই মনে করেন বোটক্স করালে ত্বকের স্বাভাবিক আকার বদলে যেতে পারে। বেশ খানিকটা কৃত্রিম লুক আসতে পারে। এক্ষেত্রে বলতে হয় চিকিৎসার পর আপনার ত্বক কেমন দেখতে লাগবে সেটা পুরোপুরি নির্ভর করবে চিকিৎসা পদ্ধতির ওপরে। বোটক্স করার পর যদি নিয়মিত চিকিৎসা পদ্ধতির মধ্যে না থাকা হয় তাহলে ত্বক আবার আগের জায়গায় ফিরে যাবে। এই ধারণাটা খুব একটা ভুল নয়। কারণ যেহেতু এটা সম্পূর্ণ রাসায়নিক চিকিৎসা প্রক্রিয়া সেক্ষেত্রে প্রথম বার বোটক্স করার পর আপনাকে কয়েকটি সিটিং করাতেই হবে।
যাদের মুখে নতুন নতুন বলিরেখা আসতে শুরু করেছে তাঁরা সময় না নষ্ট করে বোটক্স চিকিৎসা করাতে চাইলে অবশ্যই করিয়ে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে তা অত্যন্ত বেশি লাভদায়ক হবে। আর এই চিকিৎসা একেবারে নিরাপদ। কিন্তু একবার চিকিৎসা করানোর পর যদি কোনরকম সিটিং না নেওয়া হয় তাহলে কিন্তু তেমন কোন ফল আপনি দেখতে পাবেন না। বড় জোর তিন থেকে ছয় মাস পর্যন্ত সেই চিকিৎসার ফলাফল থাকবে। আর একটি বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখবেন বোটক্স করানোর সিদ্ধান্ত নিলে এমন কোন চিকিৎসকের কাছে করাবেন যিনি অভিজ্ঞ।
* কাদের বোটক্স করানো উচিত নয় ?
এমন অনেক মহিলায় রয়েছেন যারা ত্বকের সমস্যায় ভোগেন। বিশেষ করে অ্যালার্জি , ত্বকে লালচে ভাব এই সমস্ত দেখা দেয়। তাঁরা বোটক্স এড়িয়ে চলতে পারলেই ভালো। এছাড়াও যদি কোন মহিলা অন্তঃসত্ত্বা হন সে ক্ষেত্রে একেবারেই বোটক্স করাবেন না। কারণ এটি রাসায়নিক চিকিৎসা পদ্ধতি যা আপনার সন্তানের ক্ষতি করতে পারে। কারও যদি বিপাকহার বেশি থাকে তবে এই চিকিৎসা না করানোই ভালো। কারণ তেমন কিছু ফল হাতেনাতে দেখতে পাবেন না তিনি।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম