কালো জল পান করেন আলিয়া – বিরাট, সাধারণ জল নয়! ব্ল্যাক ওয়াটারে আসলে কী আছে ?

।। প্রথম কলকাতা ।।

বিরাট কোহলি থেকে আলিয়া – মালাইকা যৌবন ধরে রাখতে পান করেন এই কালো জল। জল কিনতে হাজার হাজার টাকা খরচ। এমন কী আছে এই ব্ল্যাক ওয়াটারে ? আপনার বাড়ির সাধারণ জল নয়! এক লিটারের দাম আকাশছোঁয়া। সেলিব্রেটিরা শুধু নয় বয়স ধরে রাখতে আমজনতাও বোতল বোতল কিনছেন ব্ল্যাক ওয়াটার। কেন এই কুচকুচে কালো জল খান সেলিব্রেটিরা? ফিটনেস হোক বা ফ্যাশন মালাইকা আরোরা বোল্ড লুক যেন ঝড় তোলে। দেখে কে বলবে ৫০ বছর বয়স। যৌবন ধরে রাখার রহস্যে কী লুকিয়ে এই কালো জলে?এমন কী আছে? ব্ল্যাক ওয়াটার-এ মিনারেল ওয়াটার-এর চেয়ে বেশি পুষ্টি থাকে। আপনি কি সুগার বা হাইপ্রেসারের রোগী? এই জলেই আপনার সব রোগ ভ্যানিশ হতে পারে।অনেকেই বলেন যে এটি পান করলে বার্ধক্য দেখা দেয় না। আপনার যৌবন ধরে রাখতে সাহায্য করে। সত্যিই কি তাই?

বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে যাঁদের গ্যাস অম্বল বা হজমের সমস্যা রয়েছে তাঁদের জন্য এই জল বেশ উপকারী জানেন? ত্বকের জেল্লা ফেরাতে ব্রণর সমস্যা দূর করতেও কিন্তু এই জল উপকারী। সাধারণ জলে পিএইচের মাত্রা ৬ থেকে ৭। কোনও খনিজ থাকে না অন্য দিকে, অ্যালকালাইন ওয়াটারের পিএইচের মাত্রা ৮-এর উপরে থাকে। প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। শুধু তা-ই নয় এতে ক্যালশিয়াম ক্লোরাইড ম্যাগনেশিয়াম সালফেট, পটাশিয়াম এবং সোডিয়াম বাইকার্বনেটের মতো খনিজ পদার্থও ভরপুর মাত্রায় থাকে। হাই প্রেসার বা ডায়বিটিসের সমস্যা থাকলেও এই জল খেয়ে দেখতে পারেন। নিয়মিত খেলে এই দুই রোগকে নিয়ন্ত্রণে থাকবে হজম ভাল হয়, ওজনও থাকে কন্ট্রোলে।

এই জল কেনা মধ্যবিত্তের ধরাছোঁয়ার বাইরে হবে। জানেন কত দাম? এক লিটার এই জলের দাম ৩০০০ থেকে ৪০০০ টাকা। তাহলে ধরুন যে দিনে ৪ লিটার জল খায় তার রোজ জলের জন্য খরচ হবে ১৬০০০ টাকা। মাসের খরচ প্রায় ৫ লক্ষ টাকার কাছাকাছি। যত দাম বেশি তত গুণও বেশি। কালো ক্ষারীয় জল ভারতে অনলাইনে খুব সহজেই পাওয়া যায়। বিরাট কোহলি জলের জন্য এত টাকাই খরচ করেন। জিমের পর কালো জল পান করলে শরীরের অনেক উপকার পাওয়া যায়। ‘এখন ব্ল্যাক ওয়াটার সেলেব্রিটি ট্রেন্ড। যাঁরা এই জল পান করার ক্ষমতা রাখেন, তাঁরা অত্যন্ত ধনী। কিন্তু খাবার থেকেও তাঁরা এই একই পুষ্টিগুণ পেতে পারেন। তার জন্য এই বিশেষ জলের প্রয়োজন কতটা, এই নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।

এটি বেছে নেওয়ার আগে আপনার চিকিৎসক বা ডায়েটিশিয়ানের সঙ্গে পরামর্শ করে নেওয়া উচিত। বিশেষ করে এটা জানার জন্য যে এর কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে কি না। যদি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া না থেকে থাকে, সেক্ষেত্রে আপনি চাইলে খেয়ে দেখতে পারেন।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version