Childhood obesity: ক্রমশ বেড়ে যাচ্ছে আপনার সন্তানের ওজন! বাবা-মা হিসেবে কী করণীয় ?

।। প্রথম কলকাতা ।।

Childhood obesity: রোগমুক্ত সুন্দর শান্ত জীবন যাপনের জন্য সর্বপ্রথম যেটা প্রয়োজন তা হল শারীরিক সুস্থতা। শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ সকলেরই শারীরিক সুস্থতা তাদের জীবন যাপনকে অন্য মাত্রায় নিয়ে যেতে পারে। কিন্তু খাদ্যাভাসে অনিয়ম, হেলদি লাইফ স্টাইল মেনে না চলার কারণে এমন অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে যা আপনার সন্তানকে ছোট থেকেই অন্যদের তুলনায় পিছিয়ে দেবে। বর্তমানে বাচ্চাদের অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার বিষয়টি পরিলক্ষিত হয়েছে। কেন বাচ্চাদের এইভাবে ওজন বেড়ে যাচ্ছে ? এমন ওজন বৃদ্ধি পাওয়া কি আদৌ ভালো নাকি খারাপ ? এটা নিয়ন্ত্রণ করতে কী কী করা উচিত বাবা মায়ের ? আজকের প্রতিবেদনে রয়েছে সেই সংক্রান্ত কিছু বিস্তারিত আলোচনা।

* কেন ওজন বেড়ে যাচ্ছে আপনার সন্তানের ?

শিশুদের অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার নেপথ্যে অনেক রকমের কারণ থাকতে পারে। তবে প্রাথমিকভাবে এই কারণগুলিকেই চিকিৎসাশাস্ত্রে উল্লেখ করা হয়েছে –

১. হরমোনের অসামঞ্জস্যতা
২. জেনেটিক সমস্যা
৩. একেবারেই আনহেলদি জীবনযাপন
৪. খেলাধুলার সঙ্গে কোন রকম সম্পর্ক না থাকা
৫. অতিরিক্ত চকলেট, চিপস বার্গার এবং সফট ড্রিংকস নিয়মিত খাওয়া
৬. সারাদিন প্রায় শুয়ে বসে কাটানো

* চাইল্ড ওবেসিটি থেকে কী কী সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে ?

চাইল্ড ওবেসিটি থেকে আপনার সন্তানের রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও ঘুমের মধ্যে নাক ডাকার সমস্যা , শ্বাসকষ্ট তৈরি হতে পারে। টাইপ টু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও বেশ প্রবল থাকে। চর্বি জমে লিভারে স্থায়ী সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে । আরেকটু বয়সে বড় হলে শারীরিক এবং মানসিক অবসাদের ঝুঁকি পর্যন্ত হতে পারে। এছাড়াও হার্টের সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা, কোমর ও শরীরের জয়েন্টে জয়েন্টে ব্যথা অনুভূত হতে পারে।

* বাবা-মা হিসেবে আপনার কী করণীয় ?

১. সর্বপ্রথম শিশুর বয়স অনুযায়ী তাঁর ওজন কতটা হওয়া উচিত সেই বিষয়ে ডাক্তারের কাছ থেকে পরামর্শ নিতে হবে।

২. প্যাকেটজাত যেকোনো ধরনের খাবার কিংবা কৌটোর দুধ থেকে দূরে রাখতে হবে শিশুকে। প্রথম ছয় মাস বুকের দুধ খাওয়ানো সব থেকে শ্রেয়। আর তারপর ঘরে তৈরি করা পুষ্টিকর খাবার এবং ফলমূল পরিমাণ মতো দিলে সুস্বাস্থ্য বজায় থাকবে শিশুর। চকলেট, চিপস, কোলড্রিংস, পিৎজা, বার্গার, ডোনাট এই ধরনের খাবার থেকে যতটা পারবেন নিজের সন্তানকে দূরে রাখুন।

৩. ঘরে আটকে রেখে কোন রকম ইলেকট্রিক্যাল ডিভাইসে আসক্ত হতে দেবেন না নিজের শিশুকে। এতে তাঁর শৈশব যেমন হারিয়ে যাবে তেমনই নানান রোগ বাসা বাঁধবে শরীরে। তাই তাকে টিভির সামনে না বসিয়ে রেখে বাইরে খেলাধুলা করার সুযোগ দিন।

৪ . কাছাকাছি যদি স্কুল হয় তাহলে গাড়ি কিংবা রিক্সা নয় শিশুকে পরামর্শ দিন হেঁটে যাতায়াত করার।

৫. সাইকেলিং করতে উৎসাহিত করুন । যেকোনো বাচ্চাকে দিয়ে প্রতিদিন ব্যায়াম করানো খুব একটা সহজ বিষয় নয়। সে ক্ষেত্রে প্রতিদিন সাইকেলিং এর অভ্যাস থাকলে সেই খামতি পূরণ হয়ে যাবে।

৬. নিজের সন্তানের ছোট ছোট কাজগুলি তাকে করার পরামর্শ দিন। আপনার সাহায্যের প্রয়োজন না হলেও তাঁর কাছ থেকে এমন কিছু কাজের জন্য সাহায্য চান যেটা সে সহজেই করতে পারবে।

সন্তানের অল্প বয়সে অতিরিক্ত ওজন কোন ভাবেই সুস্বাস্থ্যের লক্ষণ নয়। তাই তাঁর উচ্চতা অনুযায়ী সঠিক ওজন নির্ধারণ করার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিন আপনি যদি নিজে না বুঝতে পারেন যে আসলে তাঁর ওবেসিটি কোন দিকে যাচ্ছে তবে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সঙ্গে আলোচনা করুন বিষয়টি নিয়ে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version