Best Time To Eat Fish: দিনের কোন সময় খাবেন মাছ? জানুন কী বলছে গবেষনা

।। প্রথম কলকাতা ।।

Best Time To Eat Fish: কথাতেই আছে মাছে ভাতে বাঙালি। বাঙালির ঝালে ঝোলে অম্বলের সঙ্গে জড়িয়ে আছে মাছ।মাছ ছাড়া বাঙালীর খাওয়া একেবারেই অসম্পূর্ণ।সে রুই কাতলাই হোক কিংবা পাবদা বাটা। চিংড়ি ইলিশ হলে তো কোনও কথা হবে না। এই সব লোভনীয় সব মাছ দেখলে নিজেকে সামলে রাখা বেশ কঠিন ব্যাপার। তবে শুধু স্বাদে নয়, মাছ স্বাস্থ্যের পক্ষেও বেশ ভালো। আপনি নিশ্চয়ই জানেন, মাছের খাদ্যগুণ নিয়ে চলছে নানান গবেষণা। তাতে উঠে আসছে নিত্য নতুন তথ্য। উপকার পেতে মাছ কতটা খেতে হবে তা জানেন কি? দুপুরে না রাতে – মাছ কখন খাবেন আপনি?জানেন,কিভাবে তা রান্না করতে হবে? মিষ্টি জল নাকি সামুদ্রিক – কোন মাছে বেশি আস্থা রাখবেন?চলুন বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।

বাঙালির সবচেয়ে প্রিয় মাছের ঝোল ভাত। তার পাশাপাশি রুই পোস্ত, কাতলা মাছের কালিয়া, চিংড়ি মাছের মালাইকারি, ইলিশ পাতুরি তো রইলোই। গবেষণা বলছে, সপ্তাহে তিন দিন বা তার বেশি মাছ খেতে হবে। তাতে অনেকটাই বাড়বে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা। তৈলাক্ত মাছে থাকে ওমেগা থ্রি ,ফ্যাটি অ্যাসিড, প্রোটিন,আয়োডিন, ভিটামিন ডি, ফসফরাস সহ নানান খনিজ। তা আমাদের মস্তিষ্ককে উজ্জীবিত করার পাশাপাশি সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। আমেরিকার গবেষকরা এক সমীক্ষায় জানিয়েছেন, যেসব ৬০ পেরনো মানুষ সপ্তাহে দুদিন বা তার বেশিদিন মাছ খান তাদের দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে। মাছ খেলে বয়স্ক পুরুষদের মধ্যে ক্যান্সারের ঝুঁকিও কিন্তু কমে যায়। পুষ্টি বিজ্ঞানীদের পরামর্শ সপ্তাহে ৪০০ গ্রাম মাছ খেতে পারলে অনেক অসুখ দূরে সরিয়ে রাখা যাবে। ছোট থেকেই মাছ খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে ভালো হয়। মে কোনো ধরনের মাছ পাতে রাখুন এক টুকরো।

মাছে প্রচুর উপকার একথা সকলেরই জানা। তবু আমাদের মনে মাছ নিয়ে একাধিক প্রশ্নও রয়েছে।অনেকেই জানতে চান, দিনের ঠিক কোন সময় মাছ খেলে উপকার মিলবে। ডায়াটেশিয়ানরা বলছেন, মাছ একটি সহজপাচ্য খাবার। তাই দিনে যেকোনো সময় মাছ খেতে পারেন। এমনকি ব্রেকফাস্টেও মাছ রাখতে পারেন। তবে এটাও মনে রাখবেন, বেশি রাত করে মাছ খেলে খুব একটা লাভ মিলবে না। রাত দশটা এগারোটার পর মাছ সহ যে কোনো হাই প্রোটিন খাবার এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। নচেৎ এসিডিটি হতে পারে। গ্যাস হতে পারে। তাই সাবধান হন।

এবার আসা যাক নদী না সামুদ্রিক কোন মাছ খাবেন? আপনাকে জানাই, দুই ধরনের মাছের মধ্যে নদীর মাছ নিরাপদ। গভীর সমুদ্রের মাছে বেশ কিছু ভারী ধাতু মজুদ থাকে। যা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর।তাই মাঝেমধ্যে দু একদিন সমুদ্রের মাছ খেতে পারেন। তার বেশি নয়। তার চেয়ে বছর ভর আস্থা রাখুন রুই কাতলায়। তাতেই আপনারা সুস্থ সবল জীবন যাপন করতে পারবেন। কই বাটা মৌরলার মতো ছোট মাছ পেলে তো কথাই নেই। এইসব মাছ খুবই উপকারী। তবে রান্নার ক্ষেত্রেও কিছু সাবধানতা অবলম্বন করা কিন্তু প্রয়োজন। বাঙালিরা মাছ ভালো করে ভেজে নেন। তারপর তা দিয়ে ঝোল ঝাল হয়। এভাবে মাছ ভেজে নিলে কিন্তু কোন উপকার মেলে না। চেষ্টা করুন অল্প তেলেই সেদ্ধ করে মাছের পদ রান্না করার। তাহলে মাছে মজুত ভিটামিন খনিজ এবং অন্যান্য উপকারী উপাদান অক্ষত থাকবে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version