Garuda Purana : মৃত্যুর পর বাড়িতে জ্বলে না আগুন, এমন নিয়মের নেপথ্যে আসল কারণটা কী?

।। প্রথম কলকাতা ।।

Garuda Purana : মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সম্পূর্ণ সময়কাল একটা চক্রের মত আবর্তিত হয়। সেখানে একাধিক আচার নিয়মের অস্তিত্ব থাকে। কিন্তু সনাতন ধর্ম অনুযায়ী, একজন ব্যক্তির মৃত্যুর পরেও কিছু নিয়ম থেকে যায়। সেগুলি তাঁর জন্য না হলেও তাঁর পরিবারের সদস্যদের অবশ্যই মানতে হয়। এইরকমই একটি নিয়ম হল, বাড়িতে কোন ব্যক্তির মৃত্যু (Death Of a Family Member) হলে সেই বাড়িতে আগুন (Fire) না জ্বালানো। বলা হয় জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত ১৬ টি আচার রয়েছে । তার মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং শেষ আচার হল মৃত্যুর পরবর্তী বিভিন্ন কাজগুলি।

সেই কাজগুলির মধ্যে একটি হল বাড়িতে আগুন না জ্বালানো। গরুড় পুরাণে (Garuda Purana) মানুষের জন্ম থেকে শুরু করে মৃত্যু পর্যন্ত সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানেই বলা হয়েছে, কেন মৃত্যুর পর বাড়িতে আগুন জ্বালতে নেই এবং পাঠ করতে হয় গরুড় পুরাণ । সাধারণত দেখা যায় এই সময় বাড়িতে যেহেতু আগুন জ্বালানো হয় না তাই পরিচিত কোন ব্যাক্তি আত্মীয় কিংবা প্রতিবেশীদের কাছ থেকেই পরিবারের সদস্যদের জন্য খাবার আসে। কিন্তু কেন আগুন জ্বালানো যায় না ?

গরুড় পুরাণ বলছে, মৃত্যুর পর ১৩ দিন পর্যন্ত বাড়িতে কোনরকম পুজো করা হয় না এবং আগুনও জ্বালানো হয় না। যতক্ষণ না মৃত ব্যক্তির আত্মা মায়া মুক্ত হতে পারছে ততক্ষণ তাঁর বাড়িতে কোনরকম উনুনে আগুন জ্বালানো হয় না। মৃত ব্যক্তির শেষকৃত্য সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত সে বিভিন্ন মায়া থেকে পুরোপুরি মুক্ত হতে পারে না। এখানে ওখানে বিচরণ করে বেড়ায়। যদিও বাড়িতে আগুন না জ্বালানোর নিয়মটি ভিন্ন জনে ভিন্ন রকম ভাবে পালন করে থাকেন। অর্থাৎ কেউ ১৩ দিন পালন করেন , কেউ চারদিন পালন করেন আবার কেউ তিন দিনও পালন করেন।

শুধুমাত্র সনাতন ধর্মে নয়, ইসলাম ধর্মেও এই নিয়মের মান্যতা রয়েছে। যদিও তাদের ক্ষেত্রে এর কোন বাধ্যবাধকতা নেই। ইসলাম ধর্মে কোন ব্যক্তির মৃত্যুতে শোক পালনের জন্য তিন দিন সময়সীমা থাকে। ওই তিন দিন মৃত ব্যক্তির আত্মার শান্তি কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়, স্মৃতিচারণ করা হয় এবং নিকট আত্মীয়দের সঙ্গে সময় অতিবাহিত করা হয়। যদিও ওই তিনদিন তাদেরকে কাজকর্ম বন্ধ রাখতে হবে এমন নিয়মের প্রচলন নেই। কিন্তু সেই সময় প্রত্যেকের জীবনই কিছুটা স্থগিত হয়ে যায়। তাদের প্রতিবেশী কিংবা পরিচিতদের বাড়ি থেকে খাবার পাঠানো হয়। তবে এটা ইসলামীয় মতে, ভ্রাতৃত্ব ও সমবেদনার বহিঃপ্রকাশ মাত্র। এমন কোন নিয়মের বেড়াজাল নেই তাদের।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version