।। প্রথম কলকাতা ।।
Rights For Married Women: এদেশের বিভিন্ন প্রান্তে এখনও পর্যন্ত প্রতিনিয়ত নির্যাতিত হয়ে চলেছেন বহু গৃহবধূ। যা হাতে গুনে হিসেব করা হয়তো মুশকিল। নিজেদের আইনি অধিকার গুলি নিয়ে যতদিন সচেতন না হচ্ছেন ততদিন এইভাবেই নির্যাতিত হতে থাকবেন তাঁরা । বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেখা যায় বিবাহের পর মহিলারা শ্বশুরবাড়িতে যোগ্য সম্মান পান না। দিনের পর দিন শারীরিক এবং মানসিকভাবে অত্যাচার করা হয় তাদেরকে। এর জেরে অনেক সময় গৃহবধূর আত্মহত্যার ঘটনাও প্রকাশ্যে এসেছে। ভারতীয় আইন বিবাহিত মহিলাদের ঠিক কী কী অধিকার দিয়েছে ? জানুন এই প্রতিবেদনে
*সব ধর্মের মহিলাদের জন্য:
১) পুত্রবধূর উপর কোন রকম শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন করা যাবে না। তা ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স অ্যাক্টের লঙ্ঘন
২) ঠিক যেমনভাবে স্বামী এবং তাঁর পরিবার দৈনন্দিন জীবন কাটায় সেই রকম সমমানের জীবনযাত্রা দিতে হবে বাড়ির বধূকেও।
৩) দাম্পত্যে যদি তিক্ততা তৈরি হয় তাহলেও স্ত্রী এবং সন্তানের ভরণপোষণের দায়িত্ব থাকবে স্বামীর কাঁধেই।
* হিন্দু ধর্মের মহিলাদের জন্য
৪) বিয়ের সময় এবং সন্তানের জন্মের সময় বাড়ির বধূরা বিভিন্ন উপহার পেয়ে থাকেন। এই উপহারের মধ্যে গয়না, টাকা, স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তিও থাকে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে হিন্দু সাকসেশন অ্যাক্ট অনুযায়ী, ওই উপহার যাকে বলা হয় স্ত্রীধন তার উপরে বধূর সম্পন্ন অধিকার রয়েছে। তিনি চাইলেই সেই স্ত্রী ধন ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি করতে পারেন।
৫) কোন কারনে যদি বধূকে স্ত্রীধন ফিরিয়ে না দেন স্বামী কিংবা শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা তাহলে তা ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স ২০০৫ এর অন্তর্গত একটি অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হবে।
৬) যে বাড়িতে স্বামী থাকতেন সেই বাড়িটির উপরে তাঁর বিবাহিত স্ত্রীর সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে। তা সেই বাড়িটি পারিবারিক সম্পত্তি হোক , ভাড়া বাড়ি হোক কিংবা কর্মসূত্রে পাওয়া বাড়ি হোক না কেন। স্বামীর বর্তমানে এবং অবর্তমানে ওই বাড়িটিতে থাকার সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে স্ত্রীর।
৭) যতদিন স্বামীর সাথে স্ত্রীর সম্পূর্ণ আইনি প্রক্রিয়ায় বিচ্ছেদ না হচ্ছে ততদিন স্বামী অন্য কোন মহিলার সাথে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত থাকতে পারবেন না।
* মুসলিম মহিলাদের জন্য
৮) হিন্দুদের যেমন স্ত্রীধনের বিষয়টি রয়েছে মুসলিমদের ক্ষেত্রে সেটি মেহের। বিয়ের আগে স্ত্রীকে উপহার এবং প্রতিশ্রুতি হিসেবে এই মেহের দিয়ে থাকেন স্বামী। মেহের হিসেবে গয়না, নগদ অর্থ এছাড়াও অনেক কিছুই দেওয়া যেতে পারে। কোন কারনে যদি স্ত্রীকে বিয়ের আগে মেহের না দেওয়া হয় তবে স্ত্রী আইনের দ্বারস্থ হতে পারেন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম