Finger Astrology: হাতের পাঁচ আঙ্গুল কিসের প্রতিনিধিত্ব করে? এখানেই লুকিয়ে জীবনের রহস্য

।। প্রথম কলকাতা।।

Finger Astrology: প্রচলিত বাংলা প্রবাদ বাক্যের মধ্যে একটি হল ,হাতের পাঁচ আঙ্গুল সমান হয় না। কথাটা একেবারেই মিথ্যে নয়। সত্যিই আমাদের হাতের পাঁচটি আঙুল কখনও সমান হতে পারে না। এর গঠন, এর দৈর্ঘ্য সবকিছুই হয় আলাদা। আর এই পাঁচটা আঙুলের মধ্যেই একজন ব্যক্তির জীবনের একাধিক রহস্য লুকিয়ে রয়েছে। হস্তরেখা বিশেষজ্ঞরা হাতের আঙুল এবং তালু দেখেই ওই ব্যক্তির স্বভাব থেকে শুরু করে তাঁর ভবিষ্যৎ পর্যন্ত বলে দিতে পারেন। তবে আপনি জানেন কি আপনার হাতের পাঁচ আঙুল কিসের প্রতিনিধিত্ব করছে ? যদি কোন ভাবে আপনার কোন আঙুল দোষ যুক্ত হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে কী করবেন ? চলুন জেনে নেওয়া যাক।

১) বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ : চলতি ভাষায় আমরা যাকে হাতের বুড়ো আঙুল বলে থাকি। জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী, এই আঙুলের সঙ্গে ব্যক্তির স্বভাব আর ভবিষ্যৎ ওতপ্রোতভাবে জড়িত রয়েছে। বুড়ো আঙুলের তিনটি ভাগ হয়। উর্ধ্ব, মধ্য এবং শেষ। প্রত্যেকটি ভাগ একটি রেখা দ্বারা বিভক্ত করা থাকে। যদি কোন ব্যক্তির বুড়ো আঙুলের প্রথম অংশ খানিকটা লম্বা হয় তবে সে ইচ্ছা শক্তির বশে সবকিছুই করতে পারে। দ্বিতীয় অংশটি যদি বেশি লম্বা হয় তবে সেই ব্যক্তি জ্ঞানী বলে বিবেচিত হন। আর তৃতীয় অর্থাৎ শেষ ভাগ যদি লম্বা হয় তবে তা আত্মজ্ঞানের প্রতীক।

২) তর্জনী : এই আঙ্গুল দিয়েই সাধারণত আমরা কোন কিছু নির্দেশ করে থাকি বা কোন কিছু দেখিয়ে থাকি। জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে, তর্জনী প্রকাশ করে যে, কোন ব্যক্তির আধ্যাত্মিক বিকাশ কেমন বা তাঁর নেতৃত্ব ক্ষমতা কীরকম। এই আঙুলটি যদি কারো লম্বা এবং সোজা হয় তবে জীবনে সে উন্নতির শিখরে পৌঁছাবে। আবার বলা হয় তর্জনী এবং অনামিকার দৈর্ঘ্য যদি প্রায় সমান সমান হয় তবে সেই ব্যক্তি তীক্ষ্ণ বুদ্ধি সম্পন্ন হন। অনেকেই তর্জনীতে সোনার আংটি পড়েন। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী সোনার আংটি জীবনে বাধা দূর করতে পারে।

৩) মধ্যমা : আপনার পাঁচটি আঙুলের মধ্যে সবথেকে লম্বা এবং একেবারে মাঝখানের আঙুলটি হল মধ্যমা। এই আঙুল কোন ব্যক্তির রোজগার কিংবা ভবিষ্যৎ সম্পর্কে জানাতে সক্ষম। জ্যোতিষ শাস্ত্র মতে, এই আঙুল যতটা লম্বা হবে ততই নাকি সেই ব্যক্তি নিজের কেরিয়ারে সাফল্য লাভ করবেন। তবে মধ্যমার দৈর্ঘ্য যদি আপনার অনামিকার থেকে ছোট হয় তবে বহু সংঘর্ষের মুখোমুখি হতে পারেন আপনি। এই দোষ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য লোহার আংটি ধারণ করতে পারেন মধ্যমায়।

৪) অনামিকা : এই আঙুলটি আপনার স্বাস্থ্য আপনার নাম যশ সম্পর্কে এবং অবশ্যই আপনার আবেগ সম্পর্কে বেশ কিছু তথ্য জানায়। জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী এই আঙুল স্বাভাবিকের থেকে বেশ খানিকটা লম্বা হলে সেই ব্যক্তি অত্যন্ত রাগী এবং দুঃসাহসী হয়ে থাকেন। এই আঙ্গুলটিকে দোষ মুক্ত করতে সূর্যকে জল অর্পণ করা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়।

৫) কনিষ্ঠা : এটি হচ্ছে আমাদের হাতের সবথেকে ছোট আঙুল। কিন্তু এই আঙুল একজন ব্যক্তির সবথেকে বড় গুণগুলি সম্পর্কে জানায়। তাঁর বুদ্ধির স্তর এবং তাঁর আর্থিক পরিস্থিতি। জ্যোতিষবিদদের মতে এই আঙুল যত লম্বা হবে ততই সেই ব্যাক্তি বুদ্ধির অধিকারী হবেন। লম্বা কনিষ্ঠা থাকলে কর্মক্ষেত্রে উন্নতি লাভ করা যায়। আবার এই কনিষ্ঠা যদি বাঁকা হয় তবে জীবনেও বহু ওঠা পড়ার মুখে পড়তে হয় সেই ব্যক্তিকে। এই আঙুলকে দোষমুক্ত করার জন্য জ্যোতিষবিদরা দেবতা গণেশকে দূর্বা অর্পণ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version