রোজ ঘুম থেকে উঠেই হাঁচি শুরু হয়ে যায়? জানুন আপনার অস্বস্তি কমাতে কিছু সহজ উপায়

।। প্রথম কলকাতা ।।

সকালে ঘুম থেকে ওঠা মাত্রই কিংবা রাতে শুয়ে গায়ে চাদর টানলেই হাঁচি৷ পুরনো বইয়ের তাকে বই খোঁজা, এসি ঘরে থাকা, রাস্তায় বেরনো, হাঁচি যেন কিছুতেই পিছু ছাড়তে চায় না৷ ঠান্ডা লাগে নি, তাও হাঁচির দাপট বাড়তেই থাকে৷ এই হাঁচি কিন্তু অ্যালার্জির কারণ। সকাল থেকে রাতহাঁচি লেগেই রয়েছে। এর থেকে বাঁচার উপায় কী নেই? হতাশ হবেন না। ঘরের কয়েকটা সাধারণ জিনিসেই কমতে পারে দুর্ভোগ।

শীতের মরসুমে অ্যালার্জি বেড়ে যায়। বাতাসে ধুলো বেশি থাকে। সে জন্য সহজেই ব্যাক্টেরিয়া মানুষের শরীরে প্রবেশ করে।তারপরেই শুরু হয় একনাগাড়ে হাঁচি। রাস্তাঘাটে, যেখানে-সেখানে আচমকা হাঁচি শুরু হয়ে যাওয়া খুবই অস্বস্তিকর ব্যপার। জেনে নিন হাঁচি বন্ধ করার সহজ উপায়। নিয়মিত এমন খাবার খান যার মধ্যে ভিটামিন সি রয়েছে। পাতিলেবু, কমলালেবু, আঙুর প্রচুর পরিমাণে খান। ঘন ঘন হাঁচির সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে ভিটামিন সি খুবই কাজে দেয়। হার্বাল চায়ের সাথে লেবুর রস মিশিয়ে পান করলেও হাঁচির রোগ থেকে রেহাই পাবেন।

দেশে ৬০০ মিলিয়ন মানুষ এই অ্যালার্জির সমস্যায় ভুগছেন৷ ধুলো, ফুলের রেণু থেকে এই অ্যালার্জি হয়৷ পেরেনিয়াল রাইনাইটিস সারা বছর ধরেই চলে৷ ঘরে জমে থাকা ধুলো এর মূল কারণ৷ শ্বাসের মাধ্যমে অ্যালার্জেন্স শরীরে পৌঁছলে অ্যালার্জি হয়। আপনি কি জানেন হাঁচি কমাতে গোলমরিচ, মধু কতটা উপকারী?

অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিভাইরাল উপাদান রয়েছে গোলমরিচে।সামান্য গরম জলে গোলমরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে দিনে ২-৩ বার পান করুন। গার্গলও করতে পারেন। মধু নিমেষের মধ্যে হাঁচি কমাতে সাহায্য করে হাঁচি হওয়ার সময় এক চা চামচ মধু খেলে সাথে সাথে হাঁচি কমবে। অনেকের আবার রোজ ঘুম থেকে উঠেই একটানা হাঁচি শুরু হয়ে যায়। তাদের জন্য রইল কিছু সহজ টিপস।

ঘুম থেকে ওঠার পর বাইরের তাপমাত্রার সঙ্গে মানিয়ে নিতে আমাদের শরীরের বেশ কিছুটা সময় লাগে। তাই সকালে বিছানা ছেড়ে ওঠার পর গায়ে অবশ্যই গরম জামা-কাপড় জড়িয়ে রাখুন।ঘুম থেকে উঠে বিছানা ছেড়ে মাটিতে পা রাখার আগে সাবধান! ঠান্ডা মেঝেতে খালি পায়ে হাঁটলে চট করে ঠান্ডা লেগে হাঁচি, কাশি শুরু হয়ে যেতে পারে। তাই খালি পায়ে হাঁটার অভ্যাস বদলে ফেলুন। হাঁচি, কাশি, নাক দিয়ে জল পড়ার মতো সমস্যায় যাঁদের ফুলের রেণু থেকে অ্যালার্জি হয়। তাদের সব সময় ঘরে জানলা, দরজা বন্ধ রাখা উচিত। দূষণের কারণে ফুলের রেণু থেকে অ্যালার্জির মাত্রা ক্রমশই বাড়ছে।বাড়িতে পোষ্য থাকলে সপ্তাহে ২ দিন স্নান করানো উচিত। বাইরে থেকে বাড়ি ফিরে গা-হাত-পা পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে হবে। হাঁচি কমাতে বাজারে একাধিক ওষুধ-পত্র, নাজাল ড্রপ রয়েছে। তবে এগুলি ব্যবহারের আগে অবশ্যই চিকিত্সকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

আলমারি থেকে শীতের পোশাক বার করলে তার গন্ধে হাঁচি শুরু হয়ে যায়? তাহলে কিছু বিষয়ে সতর্ক হলেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। উলের চাদর, সোয়েটার পরার পর রোদে দিয়ে রাখুন। বাড়ির ভিতর যতটা সম্ভব খোলামেলা রাখার চেষ্টা করুন। ঘরে রোদ ঢুকতে দিন। রোদ না ঢুকলে সমস্যায় পড়তে পারেন অ্যালার্জির রোগীরা। পরিবারে কারও বা বাবা-মায়ের অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে তা থেকেও পরবর্তী প্রজন্মের অ্যালার্জি হওয়ার প্রবণতা অনেক বেশি থাকে৷ যত তাড়াতাড়ি চিকিৎসা শুরু হবে, রোগ সারবেও তত তাড়াতাড়ি৷ বাচ্চাদের ক্ষেত্রে রোগ সেরে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি৷

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version