Herbs For Viral Fever: আবহাওয়ার ভোলবদলে ভাইরাল জ্বর! মুক্তি মিলবে কয়েকটি পাতাতে

।। প্রথম কলকাতা ।।

Herbs For Viral Fever: বসন্তের হাওয়াতে ভেসে বেড়াচ্ছে অজানা বেশ কিছু ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া। যেগুলি শরীরে প্রবেশ করে ভেতর থেকে শরীরের দফারফা করে ফেলতে পারে। আর এই সময় সবথেকে বেশি রোগ ব্যাধিতে ভোগেন বয়স্ক ও শিশুরা। ভাইরাল জ্বর (Viral Fever) থেকে শুরু করে সর্দি কাশি ,গলা ব্যথা, মাথা যন্ত্রণা, শরীরে ব্যথা, শ্বাসকষ্টের মতো একগুচ্ছ সমস্যা উপহার হিসেবে দিয়ে থাকে বসন্ত। যদি এই উপসর্গগুলি গুরুতর আকার ধারণ করে, তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। বাড়িতেও অল্প জ্বর, সর্দি কাশির চিকিৎসা করা সম্ভব।

আয়ুর্বেদ (Ayurvedic) অনুযায়ী এমন বহু গাছপালা রয়েছে যাদের গুণাগুণ আমাদের কাছে এখনও পর্যন্ত অজানা। প্রাচীন যুগে মানুষ বড় বড় ওষুধের কোম্পানির নাম জানতেন না। তাদের কাছে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা সমাধানের পথ ছিল বিভিন্ন ধরনের গাছের পাতা, তাদের বাকল, গাছের পাতার রস, ফুল ফল প্রভৃতি। সময়ের সাথে সাথে মানুষের পছন্দ এবং ভরসা করার জায়গা খানিকটা বদলে গিয়েছে। এখন বাজারের ওষুধ খেলেই শরীর সুস্থ হবে, এমন একটা ধারনা মনে গেঁথে গিয়েছে। কিন্তু আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ভাইরাল জ্বর, সর্দি কাশি এই সংক্রান্ত সমস্যাগুলি প্রথম পর্যায়ে মিটিয়ে ফেলতে পারে বেশ কিছু পাতা আর তার সঙ্গে স্বাস্থ্যকর ডায়েট।

তুলসী পাতা: তুলসী পাতার (Tulsi Leaves) গুণাগুণ কোন কারখানায় তৈরি ওষুধের থেকে কম নয়। এই পাতার মধ্যে ইউজেনাল, সিট্রোনেলল এবং লিনালুল এর মতো তৈল উপাদান থাকে। এছাড়াও থাকে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল , অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি বৈশিষ্ট্য গুলি। তাই তুলসী পাতা ভাইরাল জ্বর কমাতে সাহায্য করে । মাথা ব্যথা ,সর্দি কাশি, ফ্লু প্রভৃতি নিরাময় করতেও দারুণ উপকারী এই পাতা। সময়ে রোজ সকালে তুলসী পাতার চা তৈরি করে খাওয়া শরীরের পক্ষে উপকারী হতে পারে।

ধনেপাতা: শুধুমাত্র রান্নার স্বাদ বৃদ্ধি করার জন্য এবং সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্যই যে ধনেপাতা (Coriander) ব্যবহার করা হয় এমনটা কিন্তু নয়। ধনেপাতার মধ্যে রয়েছে ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। এছাড়াও ধনে পাতার মধ্যে পাওয়া যায় অ্যান্টিবায়োটিক যৌগ। আর এই যৌগটি খুব ভালোভাবে ভাইরাল সংক্রমণ রুখে দিতে পারে। রোজ যদি ধনেপাতা মেশানো জল খাওয়া যেতে পারে তাহলে জ্বর সর্দি কাশির মতো সমস্যাগুলি উপশম হতে পারে।

অড়হর পাতা: অড়হর ডাল (Pigeon pea) সম্পর্কে কমবেশি সকলেরই জানা রয়েছে, অনেকের কাছে খুব পছন্দের অড়হর ডাল। কিন্তু অড়হর পাতার বৈশিষ্ট্য কি আদৌ জানেন ? এই পাতাটি ভাইরাল সংক্রমণ কমাতে বহু প্রাচীন কাল থেকে ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। এর মধ্যে একটি অ্যান্টিভাইরাল উপাদানের উপস্থিতিও রয়েছে। তাই অড়হড় পাতা সিদ্ধ করে সেই জলটি যদি দিনে বেশ কয়েকবার খাওয়া যায় তাহলে শরীরে হঠাৎ হঠাৎ জ্বরের আগমন আটকানো সম্ভব।

অরিগ্যানো পাতা: পিৎজার ওপরে অরিগ্যানো দিয়ে খাবার অভ্যাস তো রয়েছে কিন্তু এই অরিগ্যানো পাতা কতটা উপকারী সেই সম্বন্ধে জানা আছে ? অ্যান্টিভাইরাস বৈশিষ্ট্যপূর্ণ পাতা হল Origano । এটি অবশ্য পুদিনা প্রজাতির একটি ভেষজ উদ্ভিদ। এই পাতার মধ্যে থাকে কার্ভাক্রোল নামক একটি উপাদান। হলুদ গুঁড়ো দিয়ে অরিগ্যানো পাতা জলের সঙ্গে ফুটিয়ে নিয়ে যদি সেই জল দিনে অন্ততপক্ষে দুবারও পান করা যায় তাহলে ভাইরাল জ্বর সর্দি-কাশি সমস্যা মেটানো সম্ভব।

সজনে পাতা: এই সময়ে বাজারে সজনের ডাঁটা এবং সজনে পাতার ভিড় লক্ষ্য করা যায়। বছরের অন্যান্য সময়ে তেমন খুব একটা সজনে ডাটা বা পাতা বাজারে পাওয়া যায় না। সজনে পাতার মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সহ ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ রয়েছে। এই গুলি শরীরে গিয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, যা ভাইরাল জ্বর সারাতেও সাহায্য করে। এমনকি বেশ কয়েকটি গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, সজনে গাছের বাকল যেকোনো ব্যক্তির জ্বর সারাতে সক্ষম।

আজকের প্রতিবেদনে উল্লেখিত প্রত্যেকটি তথ্য একেবারেই সাধারণ জ্ঞানের উপর ভিত্তি করে লেখা হয়েছে। বিভিন্ন পাতা, গাছপালার মাধ্যমে আয়ুর্বেদিক পদ্ধতিতে শরীর সুস্থ রাখতে গেলে অবশ্যই পরামর্শ নিতে হবে আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version