।। প্রথম কলকাতা ।।
Hugging Your Partner: নানা কারণে মেজাজ খিটখিটে হয়ে থাকে অনেকের। তখন যেন কিছুই ঠিক থাকে না। তুচ্ছ কারণেই পার্টনারের সঙ্গে মনোমালিন্য হয়ে যায়। দিনের পর দিন এমনটা হলে দুটি মনের মাঝে দূরত্বও বাড়ে। এভাবে চলতে চলতে সম্পর্ক এক সময় তলানিতে ঠেকে। কিন্তু জানেন কি, খুব সহজেই আপনি এই সমস্যা মিটিয়ে ফেলতে পারেন নিমেষে! সেজন্য করতে হবে ছোট্ট একটি কাজ। তাতেই ফল পাবেন অনেক। শুধু মুন্নাভাইয়ের মতো জাদু কি ঝাপ্পি দিতে হবে আপনাকে। তাতেই কাজ হবে ম্যাজিকের মতো। হ্যাঁ, সব সমস্যা মিটবে একে অপরকে জড়িয়ে ধরলেই। তাকে কী কী উপকার পাবেন জানেন?
এখন ব্যস্ত সকলেই। অফিস, বাড়ি, সংসার সামলাতে সামলাতে নিঃশ্বাস নেওয়ারও ফুরসত নেই। দিনের শেষে ঘিরে ধরছে স্ট্রেস, হতাশা ও ক্লান্তি। এ সবের কারণে হয়তো পার্টনারের সঙ্গে কথা বলার ফুরসতও মিলছে না। ফলে স্ট্রেসের প্রভাব সরাসরি এসে পড়ছে সম্পর্কে। তাতে সঙ্গীর সঙ্গে মনের দূরত্ব তো বেড়েছে অনেকটা। এই অবস্থায় একটা ‘জাদু কি ঝাপ্পি’ই কিন্তু পুরো খেলা ঘুরিয়ে দিতে পারে। তাতেই দুটি মনের দূরত্ব নিমেষে ঘুচে যাবে। নিমেষে মিটে যাবে দীর্ঘদিনের জমে থাকা মান অভিমান।
আপনি নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন, অফিসের বাড়তি চাপে ক্লান্ত স্বামী। তাহলে তাঁকে দূরে না ঠেলে একবার জড়িয়ে ধরুন। দেখবেন নিমেষে তাঁর স্ট্রেস দূর হয়ে গিয়েছে।আপনার এমন কাজে স্ট্রেসে ডুবে থাকা স্বামী বুঝতে পারবেন তিনি একা নন। বুঝবেন এই মুহূর্তে আপনিও তাঁর পাশে রয়েছেন। মনে রাখবেন,পার্টনারকে জড়িয়ে ধরার কারণে শরীরে কর্টিসল নামক স্ট্রেস হরমোনের মাত্রাও কম হয়। তাতেই স্ট্রেস কমে চটজলদি।
কিংবা ধরুন পার্টনার কোনও অজানা কারণে মুষড়ে রয়েছেন। সেই সময় পার্টনারের জড়িয়ে ধরাই কিন্তু ‘জাদু কি ঝাপ্পির’ কাজ করতে পারে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, পার্টনারকে জড়িয়ে ধরার কারণে এন্ডরফিনের ক্ষরণ বাড়ে। যা আসলে প্রাকৃতিক পেইন কিলারের কাজ করে। তাতে মন শান্ত হয়। মন আনন্দে নেচেও ওঠে। একাধিক গবেষণায় উঠে এসেছে, রোজ নিয়ম করে পার্টনারকে জড়িয়ে ধরলে শরীরে অক্সিটোসিন ও সেরোটোনিনের ক্ষরণ বাড়ে। এসব হ্যাপি হরমোেন শরীরে রোগ প্রতিরোেধ ক্ষমতাকেও শক্তিশালী করে তোলে। তাতে নিজেদের মধ্যেকার দূরত্বও যে কমবে, তা তো বুঝতেই পারছেন।
মনে রাখবেন,প্রতিটি ভালোবাসার সম্পর্কেই ফিজিক্যাল টাচ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ডুবতে থাকা যে কোনও সম্পর্ক কূল খুঁজে পায় তাতেই। পার্টনার জড়িয়ে ধরলে আমাদের মন ভালো হয়। আমাদের মনে হয়, আমরা সেই মুহূর্তে একা নেই। আমাদের কেউ আগলে রেখেছে। তাতে আমরা খুব নিরাপদ অনুভব করি। ফলে যে কোনও বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করার শক্তি পাই আমরা। এইভাবে মানসিকভাবে শক্তিশালী করে তোলা যায় পার্টনারের জড়িয়ে ধরাই। কিন্তু পার্টনারকে দিনে কতবার জড়িয়ে ধরবেন? দিনে যতবার খুশি পার্টনারকে জড়িয়ে ধরতে পারেন আপনি। তাতে আপনাদের মধ্যেকার বন্ধনই দৃঢ় হবে। এর কোনও সীমা নেই। পার্টনারকে ভেঙে পড়তে দেখলেই তাঁকে জড়িয়ে ধরুন। দেখবেন নিমেষে বদলে যাবে পরিবেশ।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম