।। প্রথম কলকাতা ।।
Corona: কিছুতেই করোনা (Corona) থেকে একেবারে রেহাই মিলছে না। প্রায় তিন বছর হয়ে গেল। গোটা বিশ্বজুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এই সংক্রামক ভাইরাস (Virus)। বিগত কয়েক মাস ধরে ভারতে (India) করোনার দাপট কম থাকলেও নতুন করে আতঙ্ক আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। বাড়ছে সংক্রমণের সংখ্যা। করোনার একের পর এক ভ্যারিয়েন্ট (Variant) চেনা ছকের উপসর্গ নিয়ে ধরা দিচ্ছে অচেনা রূপে। যদিও বিষয়টি নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই। গত কয়েক বছরে সাধারণ মানুষ বুঝে গিয়েছে, কোরোনাসুরকে বধ করতে গেলে একটু সচেতন থাকলেই যথেষ্ট। পাশাপাশি খাবারের তালিকায় একটু বিশেষভাবে নজর দিতে হবে। কিন্তু সমস্যা তৈরি হয়েছে অন্য জায়গায়। ছোট ছোট শিশু, বয়স্ক ব্যক্তি এবং যারা জটিল রোগে ভুগছেন তাদের ক্ষেত্রে করোনা সংক্রমণ মারাত্মক হতে পারে। পুনরায় সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় বিষয়টি নিয়ে চিন্তায় পড়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। করোনা রুখতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক দেশের হাসপাতালগুলির (Hospital) কাঠামো ঠিক কতটা প্রস্তুত তা খতিয়ে দেখতে মহড়ার নির্দেশ দিয়েছে।
বিশেষজ্ঞ মহলের যুক্তি অনুযায়ী, এখনো রয়ে গিয়েছে করোনা ভাইরাস। আইএমএ বলছে এই ভাইরাস প্রতিনিয়ত তার চরিত্র বদলাচ্ছে। সামনে আনছে নতুন নতুন উপপ্রজাতি। বর্তমানে ভারতে ৪০ শতাংশ করোনা সংক্রমণের পিছনে দায়ী করা হচ্ছে করোনার এক্সবিবি ১.১৬ ভ্যারিয়েন্টকে। বিষয়টি নিয়ে আতঙ্কের কিছু না হলেও শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি কিংবা বয়স্কদের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি জটিল পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে। এমনকি দেখা দিতে পারে মৃত্যুর সম্ভাবনা। তাই সংক্রমণকে রুখে দিতে হবে। যাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের ক্ষেত্রে মারাত্মক হয়ে উঠতে পারে করোনা। অনেকেই আছেন যাদের মধ্যে উপসর্গ থাকলেও পরীক্ষা করাচ্ছেন না। বিষয়টি হালকা ছলে নিচ্ছেন। হয়ত ভাবছেন, আবহাওয়া বদলের কারণে জ্বর, সর্দি, কাশি, ঠান্ডা লাগার মতো উপসর্গ রয়েছে। যার কারণে সন্তর্পণে ছড়াচ্ছে সংক্রমণ।
ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন অর্থাৎ আইএমএ পুনরায় নতুন করে উপসর্গের দিকে গুরুত্ব দিতে বলছে। যেভাবে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে এক্ষেত্রে জ্বর, সর্দি, কাশি জনিত লক্ষণ দেখা দিলে পরীক্ষা করানো উচিত। অনেকেই আছেন যারা নিজের অজান্তেই বয়ে বেড়াচ্ছেন করোনা ভাইরাস। যাদের থেকে অন্যদের শরীরে খুব দ্রুত এটি ছড়িয়ে পড়ছে। গত তিন বছরের অভিজ্ঞতায় করোনা নামক এই ভাইরাস থেকে মানুষ মৃত্যু ভয় কাটিয়ে উঠেছে। যার কারণে অনেকেই সর্দি, কাশি, ঠান্ডা লাগার মতো বিষয়গুলিকে একেবারেই গুরুত্ব দিচ্ছেন না। কিন্তু অসুস্থ, বয়স্ক কিংবা শিশুদের স্বার্থে বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া অত্যন্ত দরকার।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম