Winter Depression: শীতের সন্ধ্যায় ঘিরে ধরছে মন খারাপ, কী কারনে হচ্ছে এমনটা ?

।। প্রথম কলকাতা ।।

Winter Depression: গুটিগুটি পায়ে এগিয়ে আসছে শীত। এখনও পর্যন্ত বঙ্গে জাঁকিয়ে শীত পড়েনি অবশ্য। তবে পড়বে নিশ্চিত। এই শীতকালে বিয়ে বাড়ির আমন্ত্রণ, পৌষ পার্বণ, বড়দিনের মতো কত উৎসব থাকে। কিন্তু তারপরেও কোথাও না কোথাও কিঞ্চিৎ মন খারাপ উঁকি দেয়। এমন অনেকেই রয়েছেন যারা শীতকালে খানিকটা উদাসীনভাবে নিজের সময় কাটান। কাজেও তেমন এনার্জি থাকে না। এমনটা কেন হয় জানেন ? চিকিৎসকদের ভাষায় এই মন খারাপকে সিজনাল অ্যাফেক্টিভ ডিসঅর্ডার বলা হয় । আবার চলতি ভাষায় এই মন খারাপ উইন্টার ডিপ্রেশন বা উইন্টার ব্লুজ নামেও পরিচিত।

সিজনাল অ্যাফেক্টিভ ডিসঅর্ডার আসলে কী ?

বিজ্ঞানে মানসিক অবসাদের অন্যতম কারণ বলা হয় কম সূর্যালোকের সংস্পর্শে থাকাকে। শীতকালে দিন ছোট হয় আর রাত হয় বড়। যার কারণে সূর্যের আলো কম সময়ের জন্য পান মানুষ। আর শীতকালের রোদে তেমন তেজ থাকে না। বরং সেই রোদ আমাদের নিতে বেশ ভালই লাগে। কিন্তু তা যথেষ্ট নয়। আবার অনেক সময় দেখা যায় শীতকালের কোন কোন দিন সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত আকাশে চাপ চাপ মেঘের মেলা থাকে। খুব তাড়াতাড়ি সূর্যাস্ত হয়ে যায়। যার কারণে আমাদের মস্তিষ্কের জৈবিক রাসায়নিক উপাদানের ভারসাম্যে কিছুটা গরমিল হয়। আর তার জন্য প্রায় সারাদিনই যেন মন খারাপে ডুবে থাকি আমরা। বিশেষত সন্ধ্যের পর থেকে এর প্রভাব খানিকটা বেশিই পড়ে আমাদের ওপরে। তখন শীত ভাবটাও যথেষ্ট বেশি কাজ করে। আর বাইরে ঘনিয়ে আসা অন্ধকার নিস্তেজ করে দেয় আমাদের মস্তিষ্ককে। একে বলা হয় সিজনাল অ্যাফেক্টিভ ডিসঅর্ডার।

উইন্টার ডিপ্রেশনের উপসর্গগুলি কী কী?

যদি শীতকালে আপনি অতিরিক্ত ক্লান্ত অনুভব করেন কিংবা সারাদিন ধরে অতিরিক্ত ঘুম পাওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করেন তাহলেই বুঝবেন শীতকালীন অবসাদ গ্রাস করতে চলেছে আপনাকেও। এছাড়া উপসর্গ হিসেবে দ্রুত ওজন বেড়ে যাওয়া, চিন্তাভাবনার ব্যাঘাত ঘটা, খাবার খাওয়ার ইচ্ছে বৃদ্ধি আর কোনো কিছুই ইন্টারেস্টিং না মনে হওয়া এই উইন্টার ডিপ্রেশনের একটা বড়সড় উপসর্গ।

উইন্টার ডিপ্রেশন কাটানোর উপায় ?

মন খারাপ নিয়ে থাকতে কেই বা চাইবেন ? কিন্তু তবুও সিজন বা ওয়েদার বদলে যাওয়ার জন্য আমাদের শরীরের অভ্যন্তরে বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটতে থাকে। যার ফল স্বরূপ শীতকালেও একটা অবসাদ ধেয়ে আসে আমাদের দিকে। প্রাথমিক পর্যায়ে এই অবসাদ কাটানোর জন্য আপনি নিজের পরিবার, প্রিয় জন কিংবা বন্ধুর সাথে প্রাণ খুলে কথা বলতে পারেন। যদি পরিবারের কোনো সদস্য এইরকম ডিপ্রেশনে রয়েছে বুঝতে পারেন তবে তাঁর সাথে কথা বলার চেষ্টা করুন। তাঁর কথা শোনার চেষ্টা করুন। কিন্তু তাতেও যদি সমস্যা না মেটে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকদের পরামর্শ নিন । এই বিষয়টি নিয়ে মনোবিদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। অ্যান্টি ডিপ্রেশন ওষুধ খেতে পারেন কিন্তু যদি চিকিৎসকরা পরামর্শ দেন তবেই।

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version