Mounted Howitzers: ইন্ডিয়ান আর্মির রেঞ্জে গোটা পৃথিবী ? এবার হবে অ্যাকশন

।। প্রথম কলকাতা ।।

Mounted Howitzers: ভারত দেবে ইলেকট্রিক শক, পাক-চীনের পাতাল ফুঁড়ে খুঁজে আনবে শত্রুকে? ঝাঁকে ঝাঁকে পঙ্গপাল ঘিরে ধরে করবে অ্যাটাক। ইন্ডিয়ান আর্মির কোন অস্ত্রে কুপোকাত হবে গোটা বিশ্ব? বর্ডারে লালফৌজের হার্টবিট বাড়াবে আগুনের গোলা? এটাই মেক ইন ইন্ডিয়ার কেরামতি। ১০ সেকেন্ডেই অ্যাকশন। ভারত পাতাল ফুঁড়ে বের করছে এ কোন গোপন অস্ত্র? এটাই সেই সুপার উইপন? শত্রুদেশের যম, এবার ইন্ডিয়ান আর্মির হাতে মাউন্টেড হাউইৎজার। ক্ষমতা জানেন? চীন সীমান্তে আরও জোরদার নিরাপত্তা। ইন্ডিয়ান আর্মির পাওয়ার বাড়াবে ২০০ মাউন্টেড হাউইৎজার‌।

মাউন্টেড হাউইৎজারে ১০৫ মিমি ৩৭ ক্যালিবার বন্দুক রয়েছে। এই কামান দিয়ে শুধু গোলা ছোড়াই যাবে না, নির্ভুল ফায়ারিং এর পাশাপাশি উড়বে রকেট, ড্রোনও। এর সঙ্গে ৪০০ টাওয়াড আর্টিলারি গান সিস্টেম ভারতের ফায়ার পাওয়ারকে আরও বেশি বুস্ট আপ করবে বলে মনে করা হচ্ছে। কোথায় বসানো হবে মাউন্টেড হাউইটজারগুলো? এলএসি সহ বর্ডারের উঁচু এলাকায় এগুলো মোতায়েন করা হতে পারে। জানিয়ে রাখি, গত এক দশকে, ইন্ডিয়ান আর্মি ১৫৫ মিমি হাউইটজারের জন্য চারটি চুক্তি সম্পন্ন করেছে। এই গান সিস্টেমগুলো অলরেডি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং বেশ কয়েকটি রেজিমেন্টকে ধনুশ, শারাং, আল্ট্রা লাইট হাউৎজার এবং কে-৯ বজ্র দিয়ে সজ্জিত করা হচ্ছে।

ধনুশ বন্দুক হল বফর্স কামানের একটি ইলেকট্রনিক আপগ্রেড, যেখানে শারাং বন্দুকগুলো ১৩০ মিমি থেকে ১৫৫ মিমি ক্যালিবার পর্যন্ত আপ-গান করা হয়েছে। সাতটি রেজিমেন্ট ইতিমধ্যেই আল্ট্রা লাইট হাউৎজার দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছে আর পাঁচটি রেজিমেন্ট সেল্ফ প্রপেলজ গান দিয়ে সজ্জিত করা হয়েছে। এগুলো কেনার জন্য ‘মেক ইন‌ ইন্ডিয়া’ প্রকল্পের অধীনে ভারতীয় সংস্থাগুলোর জন্য টেন্ডার জারি করা হবে। এই প্রথম ভারতীয় আর্টিলারিতে এই ধরনের ১০৫ মিমি মাউন্টেড হাইইৎজার থাকবে। এর সঙ্গেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রক শীঘ্রই ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’র অধীনে ৪০০টি নতুন টাওয়াড গান সংগ্রহের বিষয়টাও গ্রহণ করেছে।

৪০০ টাওয়াড আর্টিলারি বন্দুক সিস্টেম সংগ্রহের প্রস্তাব ৩০ নভেম্বরের বৈঠকে নির্ধারিত হলেই এগোবে কাজ। ভারতের দিকে চোখ তুলে তাকালেই হবে অ্যাকশন। চীন পাকিস্তান সীমান্তে এইসব অস্ত্র প্রয়োজনী অনুযায়ী ব্যবহার করা হবে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version