।। প্রথম কলকাতা ।।
Weather Update: দেশজুড়ে বরফ পড়বে? ভারতে আবহাওয়ার ভয়ঙ্কর খেলা শুরু? কেন বঙ্গোপসাগর ভয়ানকভাবে ফুঁসছে? ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই ঘটবে ম্যাসিভ পরিবর্তন? গভীর নিম্নচাপ, বাংলা জুড়ে তুষারপাতের সঙ্গে বৃষ্টি? জানেন কেন কাটছে না মিধিলির আফটার শক? পাহাড়ের থেকে বেশি ঠান্ডা সমতলে? এবার শীতেই কী ফেস করতে হবে বন্যা? আইএমডির ওয়েদার অ্যালার্ট না জানলে ভুল করবেন। যাকে বলে হাড়কাঁপানো ঠাণ্ডা। আবহাওয়ার এই পূর্বাভাস শোনার সাথে সাথে নিজেকে কিন্তু মানসিক ভাবে তৈরি করবেন। একদিকে হু হু করে নামবে পারদ, অন্যদিকে বাড়বে বৃষ্টি। দেশের দুটো অংশে দু’রকমের খেল দেখাবে আবহাওয়া। ফের আবহাওয়ার ব্যাপক রদবদলের ইঙ্গিত দিল ভারতের আবহাওয়া দফতর, আইএমডি কিন্তু এতো ঠান্ডার মধ্যে ঝড় বৃষ্টি? বাংলাও কিন্তু আছে এই চক্রব্যূহে।দেশজুড়ে কী ঘটছে জানুন।
উত্তর ভারত-সহ দেশের অন্যান্য বেশ কিছু জায়গায় মোটের উপর আবহাওয়ার ধরণ বদলেছে। অনেক রাজ্যে, সকালে এবং রাতে ঠান্ডা বেশি অনুভূত হচ্ছে কিন্তু দিল্লিতে যা ঘটতে যাচ্ছে সেটা মারাত্মক। আবহাওয়া দফতরের মতে, আগামী দিনগুলোতে রাজধানী দিল্লিতে তাপমাত্রার বেশ কিছুটা পতন রেকর্ড করা হতে পারে। দিল্লিতে তরতড়িয়ে নামবে পারদ। আবহবিদদের অনুমান, দিল্লির তাপমাত্রা দেরাদুন এবং সিমলা সহ সমস্ত পার্বত্য শহরের তুলনায় কম হতে পারে। আগামী ২৩ নভেম্বর দিল্লির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রিতে পৌঁছে যেতে পারে। তাপমাত্রা নামার পাশাপাশি কুয়াশার চাদরে ঢেকেছে রাজধানীর রাজপথ। যা এতো তাড়াতাড়ি দেখা যায় না। দিল্লির পাশাপাশি এনসিআর, বিহার, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান-সহ সংলগ্ন রাজ্যেও হালকা কুয়াশা দেখা যাচ্ছে।
স্বাভাবিকভাবেই ভোরের দিকে চাদর, টুপি জড়িয়ে ঘর থেকে বেরোচ্ছেন মানুষজন। দিল্লির পাশাপাশি আগামী কয়েকদিনে এনসিআর-সহ মধ্যপ্রদেশ, পঞ্জাব, হরিয়ানার তাপমাত্রাও নামবে এবং শৈত্যপ্রবাহ শুরু হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। উত্তর-পূর্ব রাজ্য অসম, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, মণিপুরে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস আবহাওয়া দফতরের। এদিকে বাংলাতে কিন্তু মিধিলির এফেক্ট এখনো কাটছে না।
আইএমডি সর্বশেষ পূর্বাভাস, ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’-র কারণে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় জেলা উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, হাওড়া ও পূর্ব মেদিনীপুর আগামী ২৪ ঘণ্টায় ২০ থেকে ১১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বঙ্গোপসাগরে কিন্তু আবার একটা সিস্টেম তৈরি হয়ে গেছে। চলতি মরশুমে দ্বিতীয়বারের মতো গভীর নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়েছে বঙ্গোপসাগরে। আগের ঘূর্ণিঝড় হামুনও বাংলাদেশের উপকূলের দিকেই অগ্রসর হয়েছিল। এবারও একইভাবে বাংলাদেশের দিকে এগিয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’। আর তার জেরেই বৃষ্টির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে উপকূলীয় জেলাগুলোতে। অন্যদিকে, পাহাড়ে অলরেডি বরফ পড়া শুরু হয়ে গেছে। চলতি বছর নির্ধারিত সময়ের আগেই পার্বত্য অঞ্চলে তুষারপাত শুরু হয়েছে। পাহাড়ি এলাকায় তুষারপাতের সঙ্গে বৃষ্টিও হচ্ছে। যার ফলে সমতলে দ্রুত ঠান্ডা পড়ছে।
এখনই বাংলায় হাড় কাঁপানো ঠান্ডা পড়বেনা। কবে জাঁকিয়ে শীত পড়বে এখনই নির্দিষ্ট করে কিছু বলা যাচ্ছে না। এল নিনোর এফেক্টে আদেও প্রচন্ড শীত অনুভূত হবে কিনা বাংলায় সেটাও পরিষ্কার নয়। তবে হুড়মুড়িয়ে পারদ পতন ঘটলে, দিল্লি যে ঠান্ডায় থরহরিকম্প হবে সেটা একদম পরিষ্কার।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম