Shankh: শ্বেত শঙ্খের ধ্বনি দূর করে অশুভ শক্তি ! শাস্ত্র কী বলছে জানেন?

।। প্রথম কলকাতা ।।

Shankh: শ্বেত শঙ্খের ব্যবহার হিন্দু সংস্কৃতিতে বহু প্রাচীন। প্রত্যেক হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষের বাড়িতেই আপনি পেয়ে যাবেন শঙ্খ। এটি বিশেষত পুজোপাঠ করতে ব্যবহার করা হয়। শঙ্খের ধ্বনি অশুভ শক্তিকে বিনাশ করতে সাহায্য করে। এছাড়াও কালা জাদুর প্রভাব কাটাতে ভীষণভাবে সহায়ক শঙ্খ, এমনটাই বলছে শাস্ত্র। শুধু তাই নয় বিজ্ঞান পর্যন্ত মেনে নিয়েছে যে, এই শঙ্খের পবিত্র ধ্বনি নানান জীবাণু থেকে শরীরকে রক্ষা করতে পারে। তবে শঙ্খ কিন্তু দু’রকমের। আর সেই দুরকমের শঙ্খ বাড়িতে রাখার আচার নিয়মে রয়েছে কিছু পার্থক্য।

মূলত প্রতিটি হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষের বাড়িতেই পুজো অর্চনা করার সময় শঙ্খ বাজানো হয়। সেই শঙ্খটি হয় খানিকটা বড়। আরও এক ধরনের শঙ্খ থাকে যা আকারে ছোট। কিন্তু একেবারেই বড় শঙ্খের মতো দেখতে। সেটা বাজানো যায় না। তবে তাতে রাখতে হয় গঙ্গাজল কিংবা দুধ। এই ছোট শঙ্খটিকে বলা হয় শঙ্খপাণি কিংবা জলশঙ্খ। কোথায় এবং কীভাবে রাখবেন শঙ্খ ? জেনে নিন তার আচার নিয়ম।

* বাড়িতে যেখানে ঠাকুরের জন্য আলাদা জায়গা তৈরি করেছেন সেখানেই রাখুন জল শঙ্খ এবং বড় শঙ্খটিকে।

* কোনভাবেই দেবাদিদেব শিবের মাথার উপরের দিকে শঙ্খ রাখবেন না। অবশ্যই নজর রাখবেন কোনোভাবেই যেন শিবলিঙ্গে শঙ্খের জল না পড়ে।

* জল শঙ্খের সরু দিকটি ভগবানের দিকে রাখবেন।

* ছোট শঙ্খের মধ্যে রাখবেন গঙ্গাজল কিংবা দুধ।

* আরও ভালো হয় যদি শঙ্খের ওপরে স্বস্তিক চিহ্ন এঁকে দিতে পারেন । এক্ষেত্রে দুটি শঙ্খতেই স্বস্তিক চিহ্ন আঁকা যায়।

* যেই শঙ্খটি বাজাবেন সেটি হলুদ কাপড়ে মুড়ে রাখবেন। আর ছোট শঙ্খটিকে সাদা কাপড়ে মুড়ে রাখবেন। এতে সংসারে শুভ শক্তির আগমন ঘটবে।

* বাজার থেকে কিনে আনার পরেই ওই দুই ধরনের শঙ্খ কিন্তু ব্যবহার করবেন না। সেগুলিকে ভালো করে গঙ্গা জলে ধোবেন । তারপরে ভিন্ন ভিন্ন কাপড়ে মুড়ে সযত্নে রেখে দেবেন।

* মাথায় রাখবেন যেই শঙ্খটি বাজানো হচ্ছে পুজোর সময় সেই শঙ্খের জল কোনোভাবেই পুজোতে ব্যবহার করা যায় না।

* প্রতিদিন সকালে নিয়ম করে স্নান সেরে শঙ্খ ধ্বনি দিতে পারেন। তাতে বাড়িতে পজিটিভ এনার্জি বজায় থাকে।

শাস্ত্র কী বলে ?

পুরানে বর্ণিত রয়েছে, সমুদ্র মন্থনের সময় উঠে এসেছিল এই শঙ্খ। পরবর্তীতে তা ভগবান বিষ্ণুর হাতে নিজের জায়গা করে নেয়। শাস্ত্রে প্রচলিত রয়েছে যে, শঙ্খের একেবারে নিচের দিকে অবস্থান করেন চন্দ্র-সূর্য এবং বরুণ দেব। মধ্যভাগে অবস্থান করেন প্রজাপতি এবং বাকি ভাগে অবস্থান গঙ্গা ও সরস্বতীর। তাই শঙ্খ ধ্বনি মাধ্যমে সকল ঈশ্বরের আশীর্বাদ প্রার্থনা করা হয়। এই শঙ্খের ধ্বনি সত্যিই সকল ঈশ্বরের মিলিত আশীর্বাদ পেতে সাহায্য করে বলে উল্লেখিত রয়েছে শাস্ত্রে। পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য এবং সংসারে শান্তি ধরে রাখতে এই প্রাকৃতিক উপাদানটির গুরুত্ব অপরিসীম, এমনটাই বলা রয়েছে শাস্ত্রে।

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version