।। প্রথম কলকাতা ।।
Neem Leaves Benefit: নিম পাতা এই নামটি শুনলেই যেন মুখের মধ্যে অজান্তেই একটা তিতো স্বাদ চলে আসে। এমন মানুষ খুব কমই রয়েছেন যারা স্বেচ্ছায় খুশি খুশি নিমপাতা খেয়ে নিতে পারেন। অধিকাংশ মানুষই এই পাতায় এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু ভারতীয় চিকিৎসা শাস্ত্র বলছে , এই ছোট ছোট পাতাগুলি অবহেলা করা উচিত নয়। কারণ এর মধ্যে এমন গুণ রয়েছে যা বহু শারীরিক সমস্যাকে ম্যাজিকের মতো সারিয়ে দিতে পারে। নিম গাছের পাতা থেকে শুরু করে কান্ড সবটাই ব্যবহার করা যায়। এগুলির মধ্যে রয়েছে ঔষুধি গুণ। বাড়ির আশেপাশে এলাকার যে কোন জায়গায় চোখ ঘোরালে দু- একটা নিম গাছ অবশ্যই দেখতে পাওয়া যায়।
কিন্তু তারপরও স্বভাববশত কারনে এই নিম পাতা অবহেলা করাই অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে অধিকাংশের। নিম পাতার (Neem Leaves) মধ্যে থাকে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি গুণ। যা একাধিক রোগ প্রতিরোধ করতে সক্ষম। চলুন জানা যাক কী কী রোগ সারিয়ে তুলতে পারেন নিমপাতা। নিয়মিত নিম পাতা খেতে পারলে কী লাভ পাওয়া যেতে পারে?
- ডায়াবেটিস এখন ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়েছে। প্রত্যেক পরিবারে অন্ততপক্ষে একজন সদস্য অবশ্যই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। এইরকম পরিস্থিতিতে এই অসুখটাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য দামি ওষুধের প্রয়োজন নেই। কিছু নিয়ম মেনে চললে এবং নিয়মিত নিম পাতা খেতে পারলে এমনিতেই রক্তে সুগারের (Sugar) লেভেল অনেকটা কমে আসবে।
- যারা শীতকালে খুশকির (Dandruff) সমস্যায় ভীষণভাবে ভোগেন তাদের জন্য নিমপাতা কম খরচের উপকারী বস্তু। শুধুমাত্র গরম জলে নিমপাতা দিয়ে ফোটাতে হবে । আর তারপর সেই জল ঠান্ডা করে তা দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে। এতে খুশকির সমস্যা অনেকটাই কমে আসবে।
- ছোটখাটো আঘাত পেলে অথবা হাত পা কেটে গেলে সেখানে নিম পাতা বেটে তারপর লাগানো যেতে পারে। এর সাহায্যে খুব তাড়াতাড়ি ক্ষত সেরে যায় । আর নিম পাতায় থাকা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে রক্ষা করে।
- ইমিউনিটি পাওয়ার (Immunity power) বাড়াতে অবশ্যই পুষ্টি যুক্ত খাবার খাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু মনে রাখবেন নিম। পাতা খেলেও ইমিউনিটি কয়েক গুণ বৃদ্ধি পেতে পারে রোগবালাই থাকবে বহুদূরে । বেশি পরিমাণে তেলে ভাজা না খেয়ে সাধারণ পুষ্টিযুক্ত খাবার খেয়ে যদি প্রতিদিন নিমপাতা খাওয়া যায় তাহলে মিলবে উপকার।
- অনেকের চোখ থেকে জল কাটা কিংবা চোখ চুলকানো আর অতিরিক্ত চোখ চুলকানোর ফলে চোখ লাল হয়ে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যা মেটাতেও নিম পাতার জল সাহায্য করে। নিম পাতা দিয়ে জল ফুটিয়ে সেটি ঠান্ডা করে চোখে দু এক ফোঁটা দিলে সমস্যা দূর হতে পারে। তবে দিনে তিন থেকে চারবার করতে হবে কাজটি।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম