।। প্রথম কলকাতা ।।
Cyclone Biparjay: ঘূর্ণিঝড় বিপর্যয়ের ল্যান্ডফল হল অতি ভয়ানক রূপ নিয়ে। মাঝরাতে কি হতে পারে? মারাত্মক অবস্থার কথা জানাল মৌসম ভবন। ২০২১র টাউকটের স্মৃতি মনে করাচ্ছে এই বিপর্যয়। বিপর্যয়ের জেরে কীভাবে তছনছ হয়ে যাচ্ছে গুজরাতের উপকূল এলাকা? ভারত-পাকিস্তান দুই দেশ কাঁপছিল বিপর্যয়ের আতঙ্কে৷ মারাত্মক বেগে ঝড় ও মেঘভাঙা বৃষ্টি নিয়ে গুজরাত উপকূলে বিপর্যয়ের ল্যান্ডফল শুরু হয়ে গেল বলে জানাল আইএমডি। কিন্তু এত সহজে বাগে আনা যাচ্ছে না ক্যাটাগরি-৩ এর ঘূর্ণিঝড়কে।
আরব সাগরের সবথেকে বড় এই ঝড় বৃহস্পতিবার মাঝরাত পর্যন্ত চালাবে তান্ডব। প্রশাসনের তরফ থেকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে৷ বিপত্তি থামলেও শুরু হবে কাজ। আর তাতে ঠিক কি কি ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে সেটা পরিস্কার হওয়া যাবে। একমাত্র দিনের আলো ফুটলেই ঘূর্ণিঝড়ের ‘আই’ অর্থাৎ চোখ ৫০ কিলোমিটার বিস্তৃত বলে জানিয়েছেন আইএমডি প্রধান মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র। তিনি জানিয়েছেন, আছড়ে পড়ার সময় ঝড়ের বেগ ছিল ঘণ্টায় ৬০-৮০ কিলোমিটার। এখানেই শেষ নয়। যত রাত বাড়বে এবং বিপর্যয় স্থলভাগের দিকে যত এগিয়ে আসবে। ততই তার বেগ বাড়বে বলে জানিয়েছেন আইএমডি প্রধান। আবহাওয়া দফতরের তরফে বেশ কয়েকটি জেলায় লাল এবং কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বিপর্যয় পাকিস্তানে কতটা প্রভাব ফেলল সেই ছবিটা এখনও পরিস্কার জানা না গেলেও ধীরে ধীরে বোঝা যাবে ঠিক কতটা পরিমাণে তান্ডব চালিয়েছে বিপর্যয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০২১ সালের টাউকটের স্মৃতি উস্কে দিচ্ছে বিপর্যয়। ভারী বৃষ্টি সঙ্গে ভূমিধসও শুরু হয়ে গিয়েছিল। ৬৭ জন প্রাণ হারিয়ে ছিলেন এই ঘূর্ণিঝড়ে। এদিকে ভারতীয় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী এবং ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী স্থানীয় জনগণকে সহায়তা দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়ে রেডি। জানতে পারা যাচ্ছে ল্যান্ডফলের আগে উপকূল থেকে ১০ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত ২০টি গ্রামের প্রায় ১ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১৮টি দল, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১২টি দল রাজ্য সড়ক ও বিল্ডিং বিভাগের ১১৫টি দল এবং বিদ্যুৎ দফতরের ৩৯৭টি দলকে উপকূল এলাকার বিভিন্ন জেলাগুলিতে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এনডিআরএফের মোট ৪৫ হাজার কর্মীকে আপৎকালীন পরিস্থিতির জন্য তৈরি রাখা হয়েছে।
এনডিআরএফের ডিজি অতুল কারওয়াল জানিয়ে দিয়েছেন গুজরাত ছাড়াও রাজস্থানের দক্ষিণ অংশেও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে পারে। এদিকে মহাকাশ থেকে ঘূর্ণিঝড় বিপর্য়ের ছবি তুলে পোস্ট করেছেন সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মহাকাশচারী সুলতান আল-নেয়াদি। তাঁর পোস্ট করা সেই ছবিগুলি ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এবার দেখা বিপর্যয়ের ফলে কি অবস্থা দাঁড়াল গুজরাত ও পাকিস্তানের করাচির৷
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম