।। প্রথম কলকাতা ।।
Oil Pulling : মুখে সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য বর্তমানে অনেক বেশি চাহিদায় রয়েছে বাজারজাত কৃত্রিম মাউথওয়াশগুলি। এগুলি দামে যেমন অনেকটাই বেশি তেমনই এদের গুণাগুণও যথেষ্ট ভালো। কিন্তু প্রাচীন ভারতীয় আয়ুর্বেদ (Ayurveda) শাস্ত্রে এমন একটি পদ্ধতির উল্লেখ রয়েছে, যা এই ধরনের মাউথওয়াশ (Mouth Wash) গুলিকেও সমানে সমানে টেক্কা দিতে পারে। আর সেই উপাদানটি প্রত্যেকের বাড়িতেই থাকে। আপনার হেঁশেলে নারকেল তেল বা তিলের তেল থাকলে সেখানেই সমস্যা সমাধান।
যেখানে মাউথওয়াশ বা জল দিয়ে কুলকুচি করা হয় সেই জায়গায় তেল দিয়ে কুলকুচি করতে হবে। শুনতে বিষয়টি বেশ খানিকটা আশ্চর্যজনক লাগলেও পশ্চিমের দেশ গুলিতে কিন্তু এই পদ্ধতি এখনও পর্যন্ত প্রচলিত রয়েছে। একে বলা হয় অয়েল পুলিং (Oil Pulling)। এরও একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতি রয়েছে। যেমন ধরুন আপনাকে সর্বপ্রথম মুখ ভর্তি করে নারকেল তেল কিংবা তিলের তেল নিতে হবে। আর তারপর ঠোঁট দুটোকে শক্ত করে চেপে রাখতে হবে। যাতে কোনভাবেই আপনার মুখ থেকে তেল বাইরে না বেরিয়ে যায়।
পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে আপনাকে মুখের ভেতরে থাকা তেলকে দাঁতের ফাঁকের মাঝখান দিয়ে মুখের বাইরের দিকে ঠেলতে হবে। একই সঙ্গে করতে হবে ঠিক উল্টোটাও। আর সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি চলবে দাঁতের ফাঁক দিয়ে। এতে আপনার দাঁত আর মাড়ি উভয়েই উপকৃত হবে। বলা হয় এই পদ্ধতির ক্ষেত্রে সব থেকে বেশি কাজে আসে নারকেল তেল। তবে এই অয়েল পুলিংয়ের মাধ্যমে আর কী কী উপকার পাওয়া যায় ? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
১. প্রতিদিন ব্রাশ করছেন অথচ তারপরেও মুখে দুর্গন্ধ থেকে যাচ্ছে। এই বিষয়টি অনেকের ক্ষেত্রেই হয়। এর পেছনে আসল কারণ হল মুখের জীবাণু সংক্রমণ অথবা জিভে জমে থাকা ময়লার স্তর । এক্ষেত্রে আপনি মুখের দুর্গন্ধ দূর করার জন্য এই অয়েল পুলিং ব্যবহার করতে পারেন।
২. যেটাকে আমরা সাধারণ ভাষায় দাঁতে পোকা লাগা বলি ডাক্তাররা তাকে ক্যাভিটি (Cavity) বলে। বাচ্চাদের এই ক্যাভিটি হয়ে থাকে অতিরিক্ত পরিমাণে মিষ্টি খাবার খাওয়ার জন্য। বড়দের ক্ষেত্রেও অবশ্য কারণটা একই। দাঁতের মাঝে কোনভাবে যদি মিষ্টি জাতীয় খাদ্য কণা আটকে থাকে তাহলে সেটার উপরে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ ঘটে। ব্যাকটেরিয়ার ক্রিয়ায় অ্যাসিড উৎপন্ন হয়। সেটি আমাদের দাঁতের ক্ষতি করে । অয়েল পুলিং নিয়মিত করতে পারলে এই ধরনের সমস্যা থেকেও মুক্তি মিলবে।
৩. নিয়মিত ব্রাশ করা কিংবা মাউথওয়াশ ব্যবহার করার পরেও দাঁতের সমস্যা দেখা দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে যদি কোন ব্যক্তি দুই সপ্তাহ টানা ১০ মিনিটের মতো সময় নিয়ে অয়েল পুলিং করতে পারেন তাহলে মুখে ব্যাকটেরিয়া জন্মানোর সংখ্যা অনেকটাই কমে। একই সঙ্গে দাঁতে ব্যথা সহ মাড়ির ব্যথায় ভুগলে সেই সমস্যারও সমাধান হতে পারে এই অয়েল পুলিংয়ের মাধ্যমে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম