Mental Health: মনের যত্ন নিন, মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সঠিক পন্থা মানছেন তো ?

।। প্রথম কলকাতা ।।

Mental Health Tips: শরীরে কোন সমস্যা দেখা দিলে তড়িঘড়ি চিকিৎসকের কাছে ছুটে যাই আমরা। কিন্তু মনের কোন সমস্যা দেখা দিলে, অসুখ দেখা দিলে তাকে নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামাই না। মনের আবার যত্ন! এটি কোন এক্সটার্নাল বডি পার্ট নাকি যে যত্ন নেওয়া যাবে? এই ধরনের প্রশ্ন মনে আসতেই পারে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরাই বলছেন আপনার শরীরকে সব দিক থেকে সুস্থ রাখতে গেলে সর্বপ্রথম মনের নিয়মিত যত্ন নিতে হবে। নিজের মনকে অবহেলা করে কখনই আপনি পরিপূর্ণভাবে ভালো থাকতে পারবেন না।

তাই মনের যত্ন মাস্ট। আপনার মানসিক স্বাস্থ্য যত ভালো থাকবে আপনি শারীরিক দিক থেকেও ততটাই সুস্থ থাকবেন। অসুস্থ থাকলেও মনের জোরে তা থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব। এমন উদাহরণ বহু রয়েছে। বিভিন্ন মনোবিদ এবং বিশেষজ্ঞরা তাই মনকে ভালো রাখার বেশ কিছু পরামর্শ দিয়ে থাকেন। আজকের প্রতিবেদনে আপনার মনের যত্ন নেওয়ার কিছু টিপস রইল। এই পথ অবলম্বন করলে নিজের মানসিক স্বাস্থ্যের পরিবর্তন লক্ষ্য করবেন একেবারে অন্তর থেকে।

* রেখে দিন, নয় ছেড়ে দিন

এমন অনেক কিছুই থাকে যা আমরা ভীষণভাবে করার বা পাওয়ার চেষ্টা করি। তবে আসলে তা আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। তাই যেই জিনিসটি আপনার নিয়ন্ত্রণের বাইরে তাকে নিয়ে চিন্তা করে সময় নষ্ট করবেন না বরং ছেড়ে দিন। হতে পারে সম্পর্কের ক্ষেত্রে আবার হতে পারে আপনার দৈনন্দিন জীবনে কাজের ক্ষেত্রে। যদি মনে হয় আপনি অবশ্যই সেটা ঠিক করে নিতে পারবেন তবেই তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করুন নচেৎ সেটা নিয়ে ভাবা বন্ধ করে দিন। সময়ের সাথে সাথে যদি আপনার সমস্যা সমাধান হয় তবে তো ব্যাপারটা ভালোই। আর যদি না হয় তবে আপনি সেই সমস্যা থেকে অনেকটাই দূরে সরে আসবেন।

* দুশ্চিন্তা করুন

‘দুশ্চিন্তা করুন’ এই শব্দগুলি পড়েই আশ্চর্যবোধ হচ্ছে ? মানুষ মাত্রই বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত। দুশ্চিন্তা তো আসবেই। আপনি সম্পূর্ণভাবে দুশ্চিন্তাকে নিজের থেকে সরিয়ে রাখতে পারবেন না। তাই সারাদিনভর দুশ্চিন্তা না করে একটা নির্দিষ্ট সময় সেটা নিয়ে ভাবনা চিন্তা করুন। আর তারপর হবে আসল কাজ । কী হয়েছে? কেন হয়েছে? আপনার সাথে কেন হল ? এই ধরনের কথাগুলি ভাবার পর এবার ভাবতে শুরু করুন ইতিবাচক। কীভাবে সমস্যা থেকে আপনি বেরিয়ে আসতে পারবেন ? ভবিষ্যতে কী করলে এই ধরনের সমস্যা সম্মুখীন হবে না ? নিয়মিত ইতিবাচক ভাবার সময়টা বাড়ান। তাহলেই ধীরে ধীরে সেটা অভ্যাসে পরিণত হবে।

* ধ্যান

মেডিটেশন বা ধ্যান করা মনের যত নেওয়ার ক্ষেত্রে ভীষণভাবে উপকারী। চিকিৎসকেরা বহু যুগ থেকে এই পরামর্শই দিয়ে আসছেন। সত্যিই মনকে ভালো রাখার একটা শক্তিশালী হাতিয়ার হল ধ্যান। এতে আপনার উদ্বেগ এবং বিষন্নতা উভয়ই কমে। পজিটিভ এনার্জি আসে।

* আমি পারবই

যতক্ষণ আপনি নিজেকে কোনো কাজের জন্য উৎসাহিত না করবেন ততক্ষণ বাইরের কোন উৎসাহই কাজে আসবে না। তাই নতুন কিছু শুরু করার আগে কিংবা ইতিমধ্যেই গন্ডগোল হয়ে রয়েছে এমন কোন কাজ ঠিক করার আগে নিজেকেই বলুন ‘আমি পারব’। এই দুটো শব্দ আপনার মনে গেঁথে গেলে অসাধ্য সাধন করাও কিন্তু সম্ভব।

* নিজের জন্য সময়

আমাদের বেড়ে ওঠার সাথে সাথে কাঁধের উপর দায়িত্বের বোঝাটা ক্রমশ ভারী হতে থাকে। তাই একটা সময় নিজের পছন্দগুলিকে সরিয়ে রেখে সেখানেও আরও কিছু দায়িত্ব যুক্ত করে নিতে হয়। তবে নিজের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য , নিজের মনকে ভালো রাখার জন্য পছন্দের কাজ গুলি করতে হবে। কোথাও ঘুরতে যাওয়া, গান শোনা, গল্পের বই পড়া, বন্ধুদের সাথে আড্ডা গল্প, পরিবারের সাথে সময় কাটানো, রান্না করা, বাগান তৈরি করা, লং ড্রাইভে যাওয়া আরও কত রকমের কত কাজ আছে যেগুলি মানুষ করতে পছন্দ করেন। তাই নিজের মনকে কিছুটা সময় দিন। তাঁর ভালো লাগাগুলির কথা অবশ্যই খেয়াল রাখুন।

* নিয়মিত ব্যায়াম

প্রতিদিন যদি আধ ঘন্টা সময় বের করে ব্যায়াম করতে পারেন তবে আপনার শরীরের পাশাপাশি মনও ভালো থাকবে। বিভিন্ন সংস্থার রিপোর্টে বলা হয়েছে, নিয়মিত হাঁটলে স্ট্রেস অনেক কমে। আর স্ট্রেস কমলে মন ভালো থাকবে এটাই স্বাভাবিক।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version