Ear Health Tips: কানের যত্ন নিন! আপনার কিছু অভ্যাস কানের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে

।। প্রথম কলকাতা ।।

Ear Health Tips: কানের যত্ন নিন! আপনার করা কিছু ভুল কানের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে।কিছু অভ্যাস এড়িয়ে না গেলে বার্ধক্যের আগেই কম শোনার সমস্যা দেখা দেবে। বয়স বাড়লে শ্রবণশক্তি কমতে থাকে। খেয়াল রাখলে দেখা যাবে বাড়ির বয়স্ক সদস্যেদের অনেক সময় কানে শুনতে সমস্যা হয়। একই কথা বার বার বলতে হয়। প্রয়োজনে একটু চেঁচাতেও হয়। বয়সের চাকা যত সামনের দিকে এগোতে থাকে, শরীরের প্রতিটি অঙ্গেরও কার্যক্ষমতা কমতে থাকে।

মূলত ৬০ থেকে ৬৯ বছর বয়সি মানুষদের মধ্যে প্রায় ১৫ শতাংশ মানুষ শ্রবণ সংক্রান্ত সমস্যায় ভোগেন। তবে ইয়ারফোন, মোবাইলের অত্যধিক ব্যবহারে অবশ্য ইদানীং কম বয়সিদের মধ্যেও শ্রবণজনিত বেশ কিছু সমস্যা দেখা দিচ্ছে। তাই কান ভাল রাখতে কয়েকটি অভ্যাস এড়িয়ে চলা জরুরি। স্নানের পরে কান ভালো করে টাওয়াল দিয়ে শুকিয়ে নিন। কানের ভিতরে যেন জল না থাকে। কানের ওয়াক্স বা ময়লা এমনিই বেরিয়ে আসে। আলাদা করে ইয়ারবাড ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। সেফটিপিন বা কাঠি দিয়ে খোঁচাখুঁচিও করতে হয় না। বরং এই ধরনের জিনিস ব্যবহার করতে গিয়ে হিতে বিপরীত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। কানের ক্ষত তৈরি হতে পারে। সেখান থেকে হতে পারে সংক্রমণ।

কানে ওয়াক্স জমে পাথর হয়ে গেলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। সেক্ষেত্রে তিনি কানে দেওয়ার জন্য ড্রপ দেবেন। সেই ড্রপ কয়েকদিন ব্যবহারে কানের ওয়াক্স নরম হয়ে যায়। এরপর ইএনটি চিকিৎসক সহজেই সেই ওয়াক্স বের করে দেন।
কান ভাল রাখতে গেলে সব চেয়ে আগে যা করতে হবে তা হল পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা। নিজের ইয়ারফোন নিজেই ব্যবহার করবেন। অন্য কাউকে ব্যবহার করতে দিলে অবশ্যই তুলোয় জীবাণুনাশক দিয়ে ইয়ারফোন পরিষ্কার করুন ও তারপর ব্যবহার করুন।

কানে তেল দেওয়া ভাল, অনেকেই তা বিশ্বাস করেন। কিন্তু চিকিত্‍সকদের মতে, এই অভ্যাসের ফলে শ্রবণযন্ত্রটি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ঠান্ডায় কানের প্রচণ্ড ক্ষতি হতে পারে। এই বিষয়টির দিকে নজর দিতেই হবে। তাই ঠান্ডায় কান ঢেকে রাখাটাই সঠিক কাজ। যাঁরা এটি করেন না, তাঁরা ভুল করেন। ট্রেন বা যেকোন গাড়ির জানলা ধারে বসলেও কানে প্রবল জোরে হাওয়া লাগে। এতেও কিন্তু কানের ক্ষতি হয়। তাই চেষ্টা করবেন সেই সময় ও কান ঢেকে রাখার।

সারা ক্ষণ কানে হেডফোন দিয়ে গান শোনার অভ্যাসও কিন্তু কানের ক্ষতি করে। এমনিতে যে কোনও আওয়াজের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৬৪ ডেসিবেলের মাত্রা বেঁধে দেওয়া থাকলেও হেডফোনের তেমন কোনও বিধি-নিষেধ নেই। কিন্তু তীক্ষ্ম যে কোনও আওয়াজই যে কানের ক্ষতি করে, তেমনটাই মত চিকিত্‍সকেদের। আর কানে যে কোনো রকমের ব্যথা বা সংক্রমণ বুঝলেই সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। নিজে ডাক্তারি করতে যাবেন না একেবারেই। তাহলেই আপনি আপনার কানকে সুস্থ রাখতে পারবেন।

 

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version