।। প্রথম কলকাতা ।।
Mind Reader Suhani Shah: ফোনে পাসওয়ার্ড (Phone Password) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জিনিস, তা ফাঁস হলেই ব্যক্তিগত তথ্য (Personal Information) চলে যাবে অন্যের হাতে। আপনার ফোন কাউকে দিলেন না, জাস্ট আপনার মুখের দিকে তাকিয়ে একজন বলে দিল পাসওয়ার্ড। শুনতে একটু অবাক লাগলেও এমনটা সত্যি হয়। একজন হুবহু বলে দিতে পারে আপনার ফোনের পাসওয়ার্ড। আপনার মন পড়ে ফেলতে পারবেন ভারতের এই মেয়ে। আমি ঠিক কি ভাবছেন, কি করতে চলেছেন তা হুবহু বলে দিতে পারেন সুহানি শাহ। এই মেয়ের নাম শুনলে অনেকে রীতিমত টানটান হয়ে বসেন। জাদু বলতেই অনেকে ভাবেন অবাস্তব কাল্পনিক কিছু ব্যাপার। হয়ত বা আন্দাজে ঢিল ছুঁড়ে দিলে তা মিলে যায়। কিন্তু সুহানির ক্ষেত্রে এমনটা নয়। তিনি মানুষের মন পড়ে বহু বছরের পুরনো স্মৃতি টেনে হুবহু বর্ণনা করতে পারেন। বয়স একেবারেই বেশি না। ইতিমধ্যেই ভারতের এই মেয়ের জনপ্রিয়তা উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। সুহানি শাহকে (Suhani Shah) বলা হয় ভারতের জাদুকরী। হয়ত ভাবছেন এমনটা কি আদৌ সম্ভব? আপনার সামনে থাকা মানুষের মন আপনি কীভাবে পড়বেন? এর পিছনে অবশ্যই কিছু লজিক রয়েছে, যা জানলে একটু অবাক হবেন।
স্মার্টফোন হাতে না নিয়ে, আপনার থেকে অনেক দূরে দাঁড়িয়ে থেকে শুধু আপনার মুখের দিকে তাকিয়ে বলে দিতে পারে ফোনের পাসওয়ার্ড। শুধুমাত্র তার সামনে পাসওয়ার্ডটা মনে মনে আপনাকে বলতে হবে। তখনই আপনার মনের কথা পড়ে ফেলবে সুহানি। এই মায়াজালের মায়ায় মাত্র ৬ বছর বয়সেই তিনি প্রবেশ করেছেন। তিনি ছোট থেকেই ঠিক করেছিলেন যে জাদু নিয়ে ভবিষ্যতে জীবনে পাড়ি দেবেন। পাশে পেয়েছেন পরিবারের সদস্যদের। এখন সুহানির বয়স প্রায় ৩২ বছর। ভারতের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাকে দেখা গিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারতের এই জাদুকরী রীতিমত ভাইরাল। তাকে বিভিন্ন সময়ে নানান রিয়েলিটি শোতে দেখা যায়। তার কীর্তিতে হতবাক বলিউড তারকারাও। আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, তাহলে কি তিনি এই ভাবে কুসংস্কার তৈরি করছেন? যদিও এই বিষয়টিকে তিনি খুব একটা পাত্তা দেন না। তার মতে তিনি কোন ধরনের কুসংস্কার ছড়ান না। আসলে তিনি এক ধরনের ইল্যুশন তৈরি করেন যা এক প্রকার শিল্প।
কী ভাবে মনের কথা পড়া যায় ?
শুধুমাত্র মানুষের অভিব্যক্তি দেখে মনের কথা বোঝার ক্ষমতা কিন্তু সকলের থাকে না। অনেকেই আছেন যারা এই পেশায় রয়েছেন এবং অনেক উন্নতি করেছেন। তবে তারাই উন্নতি করতে পারেন যারা মানুষের বাহ্যিক লক্ষণ দেখে তার মনের কথা সহজে পড়তে পারেন। মনোবিজ্ঞানীদের মতে, মানুষের দৈহিক কিছু আচরণ বা গুরুত্বহীন অঙ্গভঙ্গি তার চিন্তাধারাকে প্রকাশ করে। ১৯৬৬ সালে এই বিষয়টি প্রথমে নজরে আসে । সেই সময় ব্রিটিশ টেলিভিশন ‘লাই টু মি’ ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। মনরোগীরা কোন কথা না বলেই কিভাবে ভাব বিনিময় করছে তার সন্ধান করতে গিয়ে আবিষ্কার হয়ে যায় মাইক্রোমোমেন্টারি এক্সপ্রেশনস। তখন মনোবিদরা বুঝতে পারেন, মানুষের অসতর্ক ভঙ্গিমা খুব খুঁটিয়ে পরীক্ষা করে তার মনের মধ্যে চলা চিন্তাভাবনার নাগাল পাওয়া যায়।
সাধারণ মুখ ভঙ্গি আড়াল করা গেলেও সূক্ষ্ম ভঙ্গি গুলি লুকানো বেশ মুশকিল। সেই সূক্ষ্ম ভঙ্গিমা চোখে পড়ে যায় বিশেষজ্ঞদের। ভঙ্গিমা দেখে সেই মানুষটির মনে দুঃখ, ভালবাসা, আনন্দ, ভয়, বিশ্বাসের মতো একাধিক অনুভূতি ঠিক কিভাবে কাজ করছে তা বুঝতে পারা যায়। এক্ষেত্রে মূলত বিচার করা হয় সামনে থাকা মানুষটির ভয়, আনন্দ, ক্ষোভ, লজ্জা, বিনয়, ভালোবাসা, বিস্ময়, ফ্লাটিং প্রভৃতি বিষয়গুলি। এক্ষেত্রে বিচারের নির্দিষ্ট একটি পদ্ধতি রয়েছে যা নিয়ে অনেকেই এখন গবেষণা করছেন। বর্তমানে দেশ-বিদেশে এই মাইন্ড রিডিংয়ের ব্যাপারটি বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এত ইন্টারেস্টিং একটা বিষয় জানলে কার না ভালো লাগে। সম্প্রতি গোটা ভারতকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন সুহানি শাহ। তার মাইন্ড রিডিংয়ের (Mind Reading) দক্ষতার কারণে তিনি হুবহু মানুষের মন পড়তে পারেন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম