পেটের নানান সমস্যায় নাজেহাল হয়ে উঠেছেন? ফলো করুণ এই ডায়েট চার্ট

।। প্রথম কলকাতা ।।

বদহজম, এসিডিটি, পেটের নানান সমস্যায় নাজেহাল হয়ে উঠেছেন? পরিবর্তন প্রয়োজন খাদ্যভ্যাসে। কি কি রাখবেন খাদ্য তালিকায়? কি কি বাদ দেবেন? আজই তৈরী করুণ ডায়েট চার্ট। এই ডায়েট চার্ট ফলো করলে দেখবেন আপনি একদম সুস্থ হয়ে গেছেন। পেটের কোনও সমস্যা আপনার ধারের কাছে ঘেসবে না। দেখে নিন আপনার ডায়েট চার্ট। বদহজমের সমস্যা দূর করতে পারে ইয়োগার্ট। ইয়োগার্টের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোবায়োটিকস। এই উপকরণ বদহজমের সমস্যা দূর করে। সেই সঙ্গে অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। জলখাবারে ইয়োগার্টের সঙ্গে ফল মিশিয়ে খেতে পারেন। যেকোনও সময়েই এই খাবার খাওয়া যায়। ইয়োগার্ট এবং ফল দিয়ে তৈরি স্মুদি খুবই স্বাস্থ্যকর খাবার। খেতেও বেশ সুস্বাদু।

বদহজমের সমস্যা হলে অনেকক্ষেত্রেই আমাদের মনে হয় যেন পেটের ভিতরে একটা অস্বস্তি হচ্ছে। চলতি কথায় একে পেট ফুলে বা ফেঁপে যাওয়াও বলা হয়। এইসব সমস্যা দূর করার জন্য প্রতিদিনের মেনুতে রাখতে পারেন আপেল। এটি এমনিতেই একটি অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর ফল । আপেল খাওয়ার অনেক উপকারিতাও রয়েছে। আপেলের মধ্যে রয়েছে পেকটিন নামের একটি উপকরণ। এই উপকরণ আপনার কোলনে ইনফ্লেমেশনের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে কমায় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও ।

চিয়া সিডস অনেকেই খেয়ে থাকেন। বিশেষ করে যাঁরা ওজন কমানোর জন্য কড়া ডায়েট করছেন, তাঁদের মেনুতে চিয়া সিডস থাকেই। বদহজমের সমস্যা কমাতে এই উপকরণও সাহায্য করে। চিয়া সিডসের সাহায্যেও জলখাবারে তৈরি করে নিতে পারেন স্মুদি। এছাড়া জলে ভিজিয়েও খাওয়া যায় চিয়া সিডস। এই চিয়া সিডসের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা বদহজমের সমস্যা কমায় এবং আপনার অন্ত্রে প্রোবায়োটিকস জন্মাতে সাহায্য করে যা সব মিলিয়ে অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখে।

পাকা পেঁপে খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে। আপনার লিভারের খেয়াল রাখে এই ফল। এর পাশাপাশি ভিটামিনে ভরপুর এই খাবার আমাদের স্বাস্থ্যের সার্বিক ভাবে খেয়াল রাখে। পেঁপের মধ্যে পেপিন নামের একটি উৎসেচক রয়েছে। এই এনজাইম বা উৎসেচক প্রোটিন জাতীয় খাবার সহজে হজম হতে সাহায্য করে। ফ্রুট স্যালাড খেলে তার মধ্যে অবশ্যই রাখতে পারেন পাকা পেঁপে।

পেটের সমস্যা থাকলে রোজ একগ্লাস করে ঈষদুষ্ণ জলপান করতে পারেন। সবথেকে ভালো হয়, কেউ যদি সকালে খালি পেটে এই জলপান করতে পারেন।

আর পেট ভালো রাখতে গেলে বাইরের খাবার থেকেও দূরে থাকতে হবে। আর বাড়ির খাবারেও অতিরিক্ত তেলমশলা এড়িয়ে চলুন। আর বেশি পরিমানে জল পান করুণ। দেখবেন পেটের সমস্যা অনেকটাই দূর হয়ে গেছে। আর তার পরেও সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version