Power of Flowers: ফুলের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে আধ্যাত্মিক শক্তি ! একবার পরখ করতে ক্ষতি কী ?

।। প্রথম কলকাতা ।।

Power of Flowers: ফুল মানেই তা যেন ইতিবাচক শক্তির উৎস। রঙবেরঙের ফুল আমাদের চোখের সামনে থাকলে এমনিতেই চোখ এবং মন দুক্ষেত্রেই প্রশান্তি মেলে। ঈশ্বর আরাধনার জন্য ফুল হল অপহরিহার্য একটি উপকরণ। ফুল ছাড়া দেবতার পুজো যেন মেনে নেওয়া যায় না । অনেকে আবার বাড়িতে নানান ধরনের ফুল গাছ লাগিয়ে রাখেন মানসিক শান্তি বজায় রাখার জন্য। এমনকি চিকিৎসকরাও বলেন যে কোন সতেজ ফুল অসুস্থ মানুষকে মানসিকভাবে সুস্থ করে তুলতে পারে। তবে আপনি কি জানেন এই ফুলের মধ্যে রয়েছে কিছু ঐশ্বরিক এবং ঔষধি গুণ। বাস্তুশাস্ত্রে (Vastu Shastra) বিশেষজ্ঞরা বলেন নির্দিষ্ট কিছু ফুল বাড়িতে রাখলে জীবনে নিশ্চিত ভাবে পরিবর্তন আসে।

দেখে নেওয়া যাক কোন কোন ফুল বদলে দিতে পারে আপনার জীবন :

* গাঁদা ফুল () : উজ্জ্বল হলুদ কিংবা কমলা রঙের এই ফুলটি সূর্য রশ্মির প্রতিনিধিত্ব করে। বলা হয় সূর্যের যে তীব্র শক্তি তার প্রতীক হল গাঁদা ফুল । তাই এই ফুল বাড়িতে রাখলে যে কোন ব্যক্তির মধ্যে পরাক্রমী ভাব জাগরিত হয়। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ক্ষত, ত্বকে আঘাত কিংবা প্রদাহ নিরাময় করতে গাঁদা ফুলের পাতা ভীষণভাবে উপকার করে।

* পদ্মফুল (Lotus) : ধন-সম্পদের দেবী লক্ষ্মীর হাতে থাকে সুন্দর পদ্ম। এই ফুলটি একদিকে যেমন সৌন্দর্যের প্রতীক ঠিক তেমনি অন্যদিকে এটি শক্তির প্রতীক। হিন্দু ধর্মে পদ্ম ফুলের গুরুত্ব অনেক বেশি । পদ্ম মানেই হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে তা!র একটি আধ্যাত্মিক তাৎপর্য রয়েছে । বাস্তুশাস্ত্র মতে পদ্ম যার বাড়িতে রয়েছে তাঁর জীবনে উন্নতির পথ ক্রমশ প্রসারিত হয়। কারণ ভারতীয় পদ্মকে বিকাশের প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এছাড়াও চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে , পদ্ম স্নায়বিক উত্তেজনা কমাতে ভীষণভাবে সাহায্য করে । এছাড়াও ডায়রিয়া, জ্বর , নিউরোপ্যাথি ,ডায়াবেটিস, লিভারের রোগ প্রভৃতি সারানোর জন্য ব্যবহার করা হয় পদ্ম ফুল।

* কাঠগোলাপ (Plumeria) : কাঠ গোলাপ ফুলটি যেন নতুনত্ব এবং প্রেমের প্রতিনিধিত্ব করে । এই ফুলটি নিয়ে কম কাব্য হয়নি। এই ফুলটি আসলেই আশার প্রতীক। তাই যে কোন কাজের শুরুতে কাঠ গোলাপকে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। এই ফুলের কিছু ঔষধি গুণ রয়েছে । যেমন কাঠ গোলাপ ফুল প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে পরিচিত। এছাড়াও ত্বকের শুষ্ক ভাব কাটাতে , ত্বক ফাটা নিরাময় করতে এবং ত্বকে কোমল রাখতে ব্যবহার করা হয় এই কাঠগোল।

* ব্রহ্ম কমল (Brahma Kamal) : বহু হিন্দু পুরাণে এই ব্রহ্ম কমল ফুলের উল্লেখ পাওয়া যায়। হিমালয়ের কোলে জন্মায় এই ফুলটি। জ্যোতিষবিদরা বলেন, এই ফুলটির সঙ্গে পরমাত্মার সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে । আধ্যাত্মিক শক্তির প্রতীক এই ব্রহ্মকমল। ভগবত গীতায় এই ফুলটিকে সর্বোচ্চ সুন্দর এবং পরিপূর্ণতার প্রতিনিধি হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে । চিকিৎসা বিজ্ঞান বেশ কিছু গবেষণা করে জানতে পেরেছে, ব্রহ্ম কমলের মধ্যে এমন কিছু গুণ রয়েছে যা অন্ত্রের রোগ, হাড়ের ব্যথা, সর্দি কাশি নিরাময় করতে ভীষণভাবে কাজে লাগে।

* অপরাজিতা (Butterfly Pea) : অপরাজিতা ফুলকে গ্রহরাজ ভগবানের প্রিয় ফুল হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এর নীল রং নীলকণ্ঠের খুব পছন্দ বলেও উল্লেখ করা হয় বিভিন্ন পুরাণে। গলগন্ড কিংবা শরীরের যে কোন অংশ জমে থাকা ফ্লুইড সরিয়ে দিতে ভীষণভাবে কাজে লাগে এই অপরাজিতা। এছাড়াও চর্মরোগ, হজমের ব্যাধির মতো রোগ সারাতে অপরাজিতার জুড়ি মেলা ভার। এমনকি এই গাছের পাতাও অ্যান্টিবায়োটিকের মত কাজ করতে পারে।

* জবা ফুল (Hibiscus) : কালীপুজোর অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল লাল জবাব। সাধারণ মানুষের মনে থাকা বিশ্বাস অনুযায়ী জবা ফুলের সঙ্গে ঈশ্বরের যোগ রয়েছে। এটি ঐশ্বরিক চেতনার বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করে। তবে ঐশ্বরিক চেতনার বিকাশ ঘটুক আর নাই ঘটুক জবার ঔষধি গুণ অস্বীকার করার মত জায়গা নেই। উচ্চ রক্তচাপ কমাতে দারুন উপকারি জবা। এছাড়াও ত্বক এবং চুলের যত্ন নিতে রাসায়নিক প্রসাধনীর বদলে জবা ব্যবহার করাই যায়।

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version