Soybean Making: আশ্চর্য উপায়ে তৈরি সয়াবিন, তাইতো খেতে এত দারুণ! ফ্যাক্টরিতে কী হয়?

।। প্রথম কলকাতা ।।

Soybean Making: কোনদিন শুনেছেন, সয়াবিন চাষ কিভাবে করা হয়? সয়াবিনের চাষ করেই আয় করা যায় কোটি কোটি টাকা। সয়াবিন তো আপনি নিশ্চয়ই খান, খেতে ভীষণ ভালো। প্রোটিনে ভরপুর। স্বাস্থ্যকর খাবার। বলা হয়, মাংস আর ডিমের থেকেও বেশি প্রোটিন থাকে সয়াবিনের। চলুন, আজ জেনে নেওয়া যাক এই সয়াবিন কিভাবে বানানো হয় সেই সম্পর্কে। সরাসরি জমি থেকেই কি পাওয়া যায় সয়াবিন, নাকি পুরো প্রসেসটাই হয় ফ্যাক্টরিতে?

আপনি নিশ্চয়ই জানেন, সয়াবিন ঠিক এমনটা দেখতে হয় ( বিনের ছবি)। কিন্তু এরপরে অনেকটা বোনলেস চিকেনের টুকরোর মত কেন দেখতে লাগে? আসলে ফ্যাক্টরিতে সোয়াবিনকে বদলে দেয়া হয় সোয়া বড়িতে। যেটা আপনি কেনেন বাজার থেকে। সয়াবিন থেকে সোয়াবড়ি বানানোর যে প্রসেস চলে, তার মাঝেই পাওয়া যায় সয়াবিন তেল। সয়াবিন বানানোর প্রথমটা শুরু হয় ফসল কাটা থেকে। প্রথমে জমিতে হারভেস্টার এর সাহায্যে ফসল এক জায়গায় কেটে নেওয়া হয়। তারপর সেখান থেকে বিন আলাদা করে ট্রাকে করে চলে যায় ফ্যাক্টরিতে। এরপর চলে বাছাই পর্ব। বেছে নেওয়া হয় বেস্ট কোয়ালিটির বিন। সেই বিন মেশিনে ভালো করে পরিষ্কার করে নেওয়া হয়। যাতে কোনরকম নোংরা না থাকে।

এরপর চলে ক্র্যাকিং আর কন্ডিশনিং পর্ব। যেখানে সোয়াবিন গুলো ছোট ছোট টুকরো হয়ে যায়। তারপর হয় সোয়া ফ্লেক্স বানানোর পালা। একবার ফ্লেক্স তৈরি হয়ে গেলে এর থেকে আলাদা করে দেয়া হয় সয়াবিন তেল, অর্থাৎ সয়াবিন থেকে সোয়াবন তৈরি হওয়ার এই প্রক্রিয়ার মাঝেই সয়াবিন তেল আলাদা করে নেওয়া হয়। তেল ছাড়া ফ্লেক্স গুলিকে মিলিং সেকশনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে ভালো করে পিষে তৈরি করে নেয়া হয় এক ধরনের আটা। সেই আটা চলে যায় আরেকটি মেশিনে। সেখানেই বেরিয়ে আসে বড়ি আকারে। এরপর ল্যাবে টেস্ট করে পাঠানো হয় প্যাকিংয়ের জন্য। তারপর তা প্যাকেট বন্দী হয়ে বিক্রেতার মাধ্যমে সরাসরি চলে আসে আপনার রান্নাঘরে।

এই সয়াবিন চাষেই হতে পারে বিপুল আয়। কারণে চাহিদা প্রচুর। ভারতের মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, অন্ধপ্রদেশ এবং কর্নাটকে ব্যাপক পরিমাণে সয়াবিনের চাষ হয়। আমাদের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান বীরভূমের দিকেও কিছু কিছু এলাকায় সয়াবিনের চাষ হয়ে থাকে। এটি মূলত একটি বর্ষাকালীন ফসল। একর প্রতি আপনি পেতে পারেন প্রায় ৮০০ থেকে ১০০০ কেজি ফলন। ভাবতে পারছেন, ঠিক কতটা লাভ। তার উপর যারা সয়াবড়ি তৈরি করছেন, সেখানে তো পুরো এক ঢিলে দুই পাখি অর্থাৎ সয়াবিন থেকেই এক দিকে পাওয়া যাচ্ছে সোয়াবড়ি। অপরদিকে পাওয়া যাচ্ছে তেল। তাই তো সোয়াবিনের এত চাহিদা। বলা হয়, এটা পৃথিবীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শিম্বগোত্রীয় তৈলবীজ। ভারতে চিনা বাদাম আর রাই শস্যের পরই রয়েছে সয়াবিনের জায়গা। ফসলের থেকে এর পুষ্টিমান দ্বিগুণ, অথচ বেশ সস্তা। আজকের এই প্রতিবেদনটি আপনার কেমন লাগলো, জানাতে ভুলবেন না। আর সয়াবিন যদি আপনার পছন্দের খাবার হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই লাইক কমেন্ট আর শেয়ার করবেন।https://www.facebook.com/100069378195160/posts/709184791404121/?mibextid=NTRm0r7WZyOdZZsz

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version