Drinking water: কেউ বলছে ৩, কেউ বলছে ৪ লিটার, গরমে কতটা জল খাওয়া উচিত? বিপদ এড়াতে জেনে নিন পুষ্টিবিদের পরামর্শ

।। প্রথম কলকাতা ।।

 

Drinking water: গরমে সুস্থ থাকতে হলে খেতে হবে প্রচুর জল। কেউ বলছেন ৩ লিটার তো কেউ বলছেন ৪। তবে জানেন কি আপনার শরীরের প্রয়োজন ঠিক কতটা? সুস্থ থাকতে রোজ ঠিক কতটা জল খাবেন? বিপদ এড়াতে জেনে নিন পুষ্টিবিদদের পরামর্শ। জেনে নিন পানীয় জলের পরিমাণ নিয়ে কী বলছেন চিকিৎসকরা।

 

কাঠফাটা গরম! বেলা বাড়তেই অসহ্য লাগছে সূর্যের তেজ। মনে হচ্ছে এই বুঝি পৃথিবীটাকে গিলে ফেলল। ঘরে-বাইরে কোথাও মিলছেনা স্বস্তি। অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ছে শরীর। এমন আবহে প্রাণ বাঁচাতে বেশি বেশি জল খাচ্ছেন সকলে। তবে আদৌ জানেন কি আপনার শরীরের ঠিক কতটা জল প্রয়োজন। বেশি বেশি জল খেতে গিয়ে শরীরের ক্ষতি ডেকে আনছেন না তো? জল খাওয়া নিয়ে কী বলছেন চিকিৎসকরা?

 

আসলে আমাদের মধ্যে অনেকেই গরমে ঠিক কতটা পরিমাণ জল খেতে হয়, এই বিষয়ে সন্ধিহান। অনেকেই মনে করেন, গ্রীষ্ম মানেই বেশি বেশি জল খেতে হবে। তবে জল খাওয়ারও রয়েছে বিশেষ কিছু নিয়ম। সম্প্রতি হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি এই নিয়ে গবেষণা করেছে ৷

 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জল কেবল শরীরের তৃষ্ণা মেটায় না। শরীর ফিট রাখতেই জলের বিকল্প কিছু নেই। রক্ত তৈরি থেকে শুরু করে শরীর থেকে ক্ষতিকর পদার্থ বের করে দেওয়া সহ প্রায় সব শারীরবৃত্তীয় কাজেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে জল। যে কারণে দিনে অন্তত ৪ লিটার জল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞরা ‌। তবে এর জন্যেও রয়েছে কিছু শর্ত। দৈনিক ৪ লিটার জল পান করার অর্থ এই নয় যে, রোজ এতটা জল ঢকঢক করে গিলে খেয়ে নিলেন।

 

মনে রাখবেন আমাদের শরীরে জলের চাহিদা মেটায় মরশুমি ফল, জলজ সবজি, নানা ধরনের জুস ইত্যাদিও। এই ধরনের ফল খেলে এমনিই অনেকটা জল শরীর পেয়ে যায়। সেক্ষেত্রে দৈনিক ২ থেকে ৩ লিটার জল খেলেও আপনার শরীরে জলের ঘাটতি হবেনা। তবে কারও এইসব খাওয়ার অভ্যাস না থাকলে তিনি অবশ্যই অন্তত ৪ লিটার জল খান। আর বাইরে গেলে সেই পরিমাণ অন্তত ৫ লিটার হওয়া উচিত।

 

তবে যাদের কিডনির অসুখ, হার্টের অসুখ এবং লিভারের অসুখ রয়েছে তারা হুট করে জলপান বাড়াবেন না। বরং সেক্ষেত্রে আগে চিকিৎসকদের পরামর্শ নিন তারপরেই জলপান বাড়ানোর কথা ভাবুন। এছাড়াও এই গরমে বিশেষ খেয়াল রাখুন শিশুদের দিকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ৬ মাসের কম বয়সী শিশুদের আলাদা করে জলপান করানোর প্রয়োজন নেই। মায়ের দুধ থেকেই প্রয়োজনীয় জল সংগ্রহ করে নেয় তারা।‌ তবে শিশুর বয়স ছয় মাস পেরিয়ে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তারপরেই জল খাওয়ান।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version