।। প্রথম কলকাতা ।।
Sunshine: কনেকনে ঠাণ্ডা থেকে আরাম পেতে রোদের দিকে ছুটে যাচ্ছেন? ঘন্টার পর ঘন্টা বসে রয়েছেন টানা রোদে! আরামের মধ্যেই লুকিয়ে ভয়ঙ্কর বিপদ। রোদের সামান্য উত্তাপ নিতে গিয়ে এই মারাত্মক ভুল করছেন না তো? শীতের মিষ্টি রোদ আদতে মিষ্টি নয়। এবার প্রশ্ন রোদে যাবেন নাকি যাবেন না? রোদ পোহানোর ক্ষেত্রেও রয়েছে নির্দিষ্ট সময়।
ভালো খারাপের মিলেমিশেই শীতের রোদ। দুপুরে ভাত খাওয়ার পর অলস রোদে গা এলিয়ে সময় কাটে বিকেল পর্যন্ত। শীত মানেই নির্দ্বিধায় ছাতা ছাড়া বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়া। রিক্সার হুড তোলার কথা মনেই পড়ে না। শীতের মিষ্টি রোদ চেটেপুটে উপভোগ করতে কার না ভালো লাগে। কিন্তু অতিরিক্ত রোদ ডেকে আনতে পারে মহা সর্বনাশ। অনেকেই ভাবেন, শীতের রোদের প্রখরতা কম। তাই এর ক্ষতিও কম। কিন্তু এই ধারণা এক্কেবারে ভুল। বিশেষ করে পৌষ এবং মাঘ মাসে ঘন্টার পর ঘন্টা রোদে বসে থাকলে ঠিক কি কি ক্ষতি হতে পারে, জানলে কিছুটা আঁতকে উঠবেন।
শীতের রোদ যেমন খারাপ , তেমনই ভালো কিছু গুণ রয়েছে।
শীতে রোদ শরীরকে ভেতর থেকে চাঙ্গা করে এবং ত্বককে সুন্দর করে তোলে। কেউ যদি টানা চার সপ্তাহ সামান্য সময়ের জন্য সূর্যের আলো গায়ে মাখেন, তাহলে সোরিয়াসিসসহ একাধিক ত্বকের রোগ সেরে যায়। পেশির সচলতা বৃদ্ধি পায়। ঘুম ভালো হয়। মন মেজাজ ভালো থাকে। মাল্টিপল স্ক্লেরোসিসের মতো রোগের প্রকোপ কমে। শরীরে ক্ষতিকারক কোলেস্টেরলের পরিমাণ কম হয়। ফাঙ্গাল ইনফেকশন দূর হয় এবং স্মৃতিশক্তির উন্নতি ঘটে। এত উপকারি গুণের মাঝেও শীতের রোদকে মোটেও ভালো চোখে দেখা হয় না। আসলে এর উপকার পেতে গেলে আপনাকে মানতে হবে সামান্য নিয়ম।
শীত রোদ : প্রাণঘাতী শত্রু
বছরের অন্যান্য ঋতুর তুলনায় শীতের রোদ তুলনায় বেশি ক্ষতিকারক। শীতের সময় বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কম থাকায় অতিবেগুনি রশ্মি সরাসরি ত্বকের উপর প্রভাব ফেলে। এই সময় ওজন লেয়ারও পাতলা থাকে। বছরের অন্যান্য সময় রোদের প্রখরতা বেশি থাকলেও আবহাওয়ায় জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকে। জলীয় বাষ্প খুব সহজেই অতিবেগুনি রশ্মির ক্ষতির প্রভাব কমিয়ে দেয়। কিন্তু রোদ ত্বকের জন্য দারুন উপকারি। রোদে রয়েছে ভিটামিন ডি, যাকে বলা হয় ‘সানশাইন ভিটামিন’। ত্বকে থাকা কোলেস্টেরল রোদের সংস্পর্শে এলেই ভিটামিন ডি উৎপন্ন হয়। এই ভিটামিন ডি ত্বক, দাঁতের পাশাপাশি নার্ভ সিস্টেম এবং মস্তিষ্ক সচল রাখে। এটি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। পাশাপাশি বয়সের ছাপ দূর করে, ব্রণ কমায়, কালো দাগ কমায়। তবে সমস্যা হল ভিটামিন ডি নিতে হবে নির্দিষ্ট পরিমাণে, এর জন্য যদি একটু বেশি রোদে থাকেন তাহলে হিতে বিপরীত। শরীরে ক্যানসারের মতো মারণ রোগ বাসা বাঁধতে পারে। ঘন্টার পর ঘন্টা টানা রোদে বসার ফলে আল্ট্রা ভায়োলেটের প্রভাবে চোখের রেটিনায় মারাত্মক ক্ষতি হয়। বেশিক্ষণ রোদে থাকলে ত্বকে সামান্য আঘাত পেলেই কালসিটে দাগ তৈরি হয়। ত্বক স্বাভাবিক জেল্লা হারিয়ে খসখসে ফ্যাকাসে হয়ে যায়। যাদের অ্যালার্জির সমস্যা, হার্টের রোগ এবং রক্তচাপ বেশি তাদের কাছে শীতের রোদ প্রাণঘাতী। এছাড়াও চামড়া কুঁচকে যায় এবং বয়স্ক দেখায়। জ্বর গায়ে শীতের রোদে একদম না যাওয়াই ভালো।
কখন রোদ পোহাবেন?
প্রতিদিন ১০ থেকে ৩০ মিনিট রোদে থাকলেই যথেষ্ট। এর থেকেই পাওয়া যাবে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি। তবে মানতে হবে সঠিক নিয়ম। দুপুর ১২ টার পরে রোদকে এক্কেবারে না বলুন। খুব ভালো হয় যদি সকাল ৮টার পর ১০ থেকে ৩০ মিনিট রোদে বসেন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম