How To Lose Belly Fat: পুজোর আগে ভুঁড়ি কমাবেন? আজ থেকেই এই নিয়মগুলি মেনে চলুন, ফল পাবেন হাতেনাতে

।। প্রথম কলকাতা ।।

How To Lose Belly Fat: হাতে আর ১ মাস। পুজো প্রায় এসেই গেল। অনেকেরই নতুন জামাকাপড় কেনাকাটা হয়ে গিয়েছে। কিন্তু ভুঁড়ি নিয়ে চিন্তা যায়নি। ক্রপ টপ-টা পরতে পারব তো? কিংবা শার্ট-টা ইন করে পরলে ভাল লাগবে তো? পেটের মেদের কারণে চিন্তা করছেন অনেকেই। তবে এত চিন্তার কিছু নেই। এখনও প্রায় এক মাস সময় রয়েছে। চেষ্টা করেই দেখুন না। কি কি বিষয় মেনে চললে ভুঁড়ি কমবে অনেকটা? চলুন জেনে নেওয়া যাক।

এখনকার যুগে প্রায় সবারই ভুঁড়ি।  পেটের এই বাড়তি মেদের সঙ্গেই কিন্তু অনেক স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি জড়িয়ে। আবার ভুঁড়ি থাকলে দেখতেও খারাপ লাগে। সামনে পুজো। উৎসবের মরশুম। ভালোভাবে সাজতে কে না চায়। তাই যেটুকু সময় রয়েছে তা কাজে লাগিয়ে এটি কমিয়ে ফেলুন। প্রথমেই বলি শুধুমাত্র পেটের ব্যায়াম করে ভুঁড়ি কমানো যায় না। কমলে সারা শরীর থেকেই মেদের পরিমাণ কমবে। মেদ কমানোর কোনও স্পট ট্রিটমেন্ট হয় না। মনে রাখবেন, ওজন কমানোর জন্য যা খাচ্ছেন, তার চেয়ে বেশি সারাদিনে খরচ করতে হবে। একে ‘ক্যালোরি ডেফিসিট বলা হয়’।

শুরুতেই নজর দিন খাওয়াদাওয়ায়। রিফান্ড কার্বোহাইড্রেট, যেমন ময়দা, ভাত, চিনি একেবারে এড়িয়ে চলুন। তার বদলে কমপ্লেক্স কার্ব খান। খোসা-ভুশিসমেত আটার রুটি, খোসাসহ ডাল, ছাতু, ওটস খেতে পারেন। এতে পেট বেশি সময় ধরে ভরা থাকবে। ক্যালোরিও অনেকটাই কম। জুস নয়। গোটা ফল খান। পাতে প্রচুর মরসুমি শাক-সবজি, ছোট মাছ, চিকেন, ডিমের সাদা অংশ রাখুন। বাড়িতে যা রান্না হচ্ছে, সেগুলিই খান। তবে তেল কম ব্যবহার করুন। পর্যাপ্ত জল পান করুন। এই এক মাস তেলে ভাজা, প্যাকেটজাত খাবার, মিষ্টি একেবারে বন্ধ। একটু না হয় অপেক্ষা করুন। পুজো এলেই তো পেটপুজোও হবে। অনেকে দ্রুত ওজন কমাতে হঠাৎ খাওয়াদাওয়া বন্ধ করে দেন। এই পদ্ধতি স্বাস্থ্যের পক্ষে চরম ক্ষতিকর। দীর্ঘ মেয়াদে না খেয়ে বেশিদিন চালানোও যাবে না। বিরক্ত হয়ে বেশি খেয়ে ফেলবেন। তাই এমন ডায়েট মেনে চলুন, যা দীর্ঘদিন বজায় রাখা সম্ভব।

ব্যায়াম করার অভ্যাস আছে? না থাকলে শুরু করে দিন।কার্ডিয়ো এক্সারসাইজ করতে পারেন। খুব দ্রুত সাঁতার, দৌড়, স্কিপিং করতে পারেন। ৩০ মিনিটের জন্য এক টানা করবেন। তবে, সুগার, গ্যাস, মাথা ঘোরার মতো সমস্যা থাকলে সাবধান। সেক্ষেত্রে খালি পেটে বেশি পরিশ্রম করতে যাবেন না। ওজন নিয়ে ব্যায়াম করা কিন্তু সবচেয়ে বেশি উপকারি। নারী-পুরুষ উভয়ের জন্যই ওয়েট ট্রেনিং দারুণ কাজ দেয়। তবে এই ১ মাস নিয়ম মেনে খাওয়া দাওয়া ও ব্যায়াম করলে ভুঁড়ি অনেকটাই বশে আসবে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

 

Exit mobile version