Pancreatic cancer: অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার চিহ্নিত করা যায় না সহজে, উপসর্গগুলি জেনে নিয়ে থাকুন সতর্ক

।। প্রথম কলকাতা ।।

Pancreatic cancer: ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ যে কোন মানুষের জীবন দীপ নিভিয়ে দিতে সক্ষম। অন্যান্য ক্যান্সারের তুলনায় অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার রোগীদের কষ্ট দেয় বেশি। এই অগ্ন্যাশয় ক্যান্সারের কারণে মৃত্যুর হারও বেশ খানিকটা বেশি। চিকিৎসকদের মতে, শরীরের অন্যান্য অঙ্গে ক্যান্সার যত দ্রুত চিহ্নিত করা যায় অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার কিন্তু তত দ্রুত চিহ্নিত করা যায় না। বরং এতে যে উপসর্গগুলি দেখা দেয় সেগুলিও একেবারে সাময়িক রোগের উপসর্গ।

আজকের এই প্রতিবেদনে অগ্ন্যাশয় ক্যান্সারের সেই উপসর্গগুলিকে নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে বিস্তারে। অগ্ন্যাশয় ক্যান্সার কখন হয় জানেন? পাকস্থলীর পেছনের অগ্ন্যাশয় গ্রন্থির কোষগুলি অনেক সময় অনিয়ন্ত্রিতভাবে বেড়ে যায়। তারপর সেটি একটি পিণ্ড আকার ধারণ করে। সেখানেই সৃষ্টি হয় ক্যান্সার। আর তারপর শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে যেতে শুরু করে তা। ব্রিটেনের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের গবেষণা অনুযায়ী, অগ্ন্যাশয় এর কর্কট রোগ মূলত ডায়াবেটিসের সমস্যা এবং ধূমপানের মতো অভ্যেস গুলির কারণে আরও বেশি হয়।

অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সারের কিছু প্রধান লক্ষণ:

* পেটে ব্যথা: বড় থেকে ছোট সব বয়সী মানুষেরই কখনও না কখনও খাবারের অনিয়ম, আবহাওয়ার বদল এবং বদ হজমের কারণে পেটে ব্যথা হয়ে থাকতে পারে। অগ্ন্যাশয় ক্যান্সারেরও কিন্তু অন্যতম প্রধান উপসর্গ হল পেটে ব্যথা। মূলত ভরা পেটে এবং শুয়ে থাকা অবস্থায় এই যন্ত্রণা ক্রমশ বাড়তে থাকে। পিঠের দিকে ছড়িয়ে যেতে থাকে এই যন্ত্রনা। এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলে যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

* জন্ডিস : অগ্ন্যাশয় ক্যান্সারে কোন ব্যক্তি আক্রান্ত হলে প্রাথমিক পর্যায়ে তার অনেক সময় জন্ডিস দেখা দেয়। ঘন ঘন এই জন্ডিস দেখা দেয়। এক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরে জ্বর, ক্লান্তিবোধ , কোষ্ঠকাঠিন্য কিংবা ডায়েরিয়া অগ্ন্যাশয় ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।

* বদহজম: সামান্য বদ হজমও কিন্তু অগ্ন্যাশয় ক্যান্সারের অন্যতম একটি উপসর্গ। রোজকার খাওয়ারে অনিয়ম দেখা দিলেই বদহজমের সমস্যা লক্ষ্য করা যায়। সে ক্ষেত্রে অগ্নাশয় ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীদের খাবারে অরুচি, সারা দিন বমি বমি ভাব এই ধরনের সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে।

উপরে উল্লেখিত এই সমস্ত উপসর্গগুলি যদি শরীরে দেখা দেয় তবে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। বর্তমানে চিকিৎসা বিজ্ঞান যথেষ্ট উন্নত হয়েছে। তাই প্রাথমিক পর্যায়ে এই ধরনের উপসর্গের মাধ্যমে আসল রোগ ধরে ফেলতে পারলে তা নিয়মিত চিকিৎসায় সেরে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থাকে।

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version