Ajit Doval: পাকিস্তানের যম ভারতের জেমস বন্ড, তুখোড় মাইন্ড গেমে ভয় পায় শত্রুরা!

।। প্রথম কলকাতা ।।

Ajit Doval: সিনেমার পর্দা কিংবা টানটান রোমাঞ্চকর গল্পের চরিত্র হিসেবে জেমস বন্ড যে কতটা জনপ্রিয় তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু ভারতীয়দের কাছে অন্য এক জেমস বন্ড রয়েছেন। যাঁর জীবনের গল্প তাবড় তাবড় হলিউড সিনেমাকেও হার মানাবে। যাঁর বুদ্ধির জোর আর মাইন্ড গেম মুহূর্তের মধ্যে শত্রুদের চালাকিকে হার মানিয়ে দেয়। অজিত ডোভাল (Ajit Doval) ভারতীয়রা যাঁকে ভালোবেসে বলেন জেমস বন্ড। ভারতের এই জেমস বন্ড পাকিস্তানের কাছে রীতিমত যমদূতের সমান। পাকিস্তানের চোখে ধুলো দিয়ে কিভাবে তাদের গোপন তথ্য টেনে বার করতে হয় তা এই ব্যক্তি খুব ভালোভাবে জানেন। তাঁর মাইন্ড গেমের জন্যই বহু ভারতীয় বিমানযাত্রী সন্ত্রাসীদের হাত থেকে প্রাণে বেঁচেছিলেন। ২০১৬ সালের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের মূল কান্ডারী ছিলেন ইনি। একটা সময় ভারতের সুপার স্পাই অজিত ডোভাল (Ajit Doval) ভিখারি সেজে ছদ্মবেশে পাকিস্তানে ঢুকে পড়েছিলেন। তার আগে রপ্ত করে নিয়েছিলেন উর্দু ভাষা। শিখে নিয়েছিলেন পাকিস্তানের সমস্ত আদব-কায়দা। পাকিস্তান লুকিয়ে তাদের দেশে পরমাণু বোমার ল্যাব তৈরি করছিল। তিনি সেই তথ্য ভারতের কাছে ফাঁস করে দেন।

১৯৮৮ সালের অপারেশন ব্ল্যাক থান্ডারের আগে অনায়াসে অমৃতসর স্বর্ণমন্দিরে ঢুকে জঙ্গী শিবিরে মিশে গিয়েছিলেন। বর্তমানে ভারতের এই নিরাপত্তা উপদেষ্টার ছদ্মনাম ০০৭। অজিত ডোভালের বাবা ছিলেন সেনাবাহিনীর একজন মেজর। বাবার থেকেই শিখেছেন দেশকে কিভাবে আগলে রাখতে হয়। উত্তরাখণ্ডের প্রত্যন্ত একটি গ্রামে ১৯৪৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি কিং জর্জ রয়াল ইন্ডিয়ান মিলিটারি স্কুলে ভর্তি হন। সেখানে স্নাতক করার পর ইকোনমিক্সে মাস্টার ডিগ্রি পড়বেন বলে ভর্তি হন হন আগ্রা ইউনিভার্সিটিত। তবে লক্ষ্য ছিল আইপিএস অফিসার হবেন। তাই স্নাতক স্তরের পড়াশোনার সময় থেকেই তিনি আইপিএস হওয়ার জন্য পড়াশোনা শুরু করে দেন। ১৯৬৮ সালের সিভিল সার্ভিস পাস করে কেরালা ক্যাডারের আইপিএস হিসেবে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন। সেখান থেকে যোগ দেন ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোতে। তিনি ভারতের সর্বকনিষ্ঠ আইপিএস অফিসার হিসেবে পদক পেয়েছেন। তিনি প্রথম পুলিশ অফিসার হিসেবে পেয়েছেন কীর্তিচক্র সম্মান। টানা ৩৭ বছর পুলিশ আর কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনীর সঙ্গে কাজ করেছেন। তারপর যোগ দেন ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর চিফ হিসেবে।

অজিত ডোভালের (Ajit Doval) ঝুলিতে রয়েছে একাধিক মিশনের সাকসেস। ১৯৮৬ সালে মিশন নর্থ ইস্ট, যেখানে সামনে ছিলেন মিজো বিদ্রোহ। কাশ্মীরি ভারত বিরোধী আন্দোলন সামলাতে ১৯৯০ সালে কাশ্মীরে চলে যান। সেখানে বহু কাশ্মীরি যুবককে মূল স্রোতে ফিরিয়ে এনেছিলেন। শোনা যায় তিনি নাকি প্রায় সাত বছর পাকিস্তানে গা ঢাকা দিয়েছিলেন। ছদ্মবেশে পাকিস্তানের বেআইনি গোপন তথ্য সংগ্রহ করতেন। ২০১৬ সালের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের মূল কান্ডারী ছিলেন তিনি। জঙ্গিদের বারংবার অপরাধমূলক কার্যক্রমে বাঁধ ভেঙেছিল ভারতের। পরিস্থিতি সামলাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উচ্চপর্যায়ের একটি বৈঠক করেন। যেখানে উপস্থিত ছিলেন অজিত ডোভাল (Ajit Doval)। পরিকল্পনা অনুযায়ী, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ভারতের দুঃসাহসী সেনারা ঢুকে সন্ত্রাসীদের ক্যাম্প গুঁড়িয়ে দিয়েছিল। এই মানুষটিকে প্রকৃত নায়কের থেকে কম বললে ভুল বলা হবে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version