Drone in India Border: পাকিস্তানের ছলচাতুরি শেষ! সীমান্তে পাঠানো ড্রোন জব্দ করবে ভারত, তৈরি বিশেষ ল্যাব

।। প্রথম কলকাতা ।।

Drone in India Border: পাকিস্তানের ছলচাতুরি শেষ। এবার সমস্ত চক্রান্ত খুব নিমেষে ফাঁস করে দেবে ভারতীয় জওয়ানরা। পাকিস্তান থেকে ড্রোন পাঠিয়ে ভারতের উপর নজরদারির প্ল্যান ভেস্তে দিতে মোক্ষম চাল দিতে চলেছে ভারত সরকার। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে সেই কাজ। পাকিস্তান ড্রোনের সাহায্যে ভারত সীমান্তে অস্ত্র ও মাদক পাঠায়। কিন্তু বিএসএফ এমন প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে যার সাহায্যে, ঠিক কোথা থেকে পাকিস্তানি ড্রোন উড্ডয়ন করা হচ্ছে সেই লোকেশন সনাক্ত করা সম্ভব।

NBT( নবভারত টাইমস) এর রিপোর্ট বলছে, হেরোইন ও অস্ত্র বোঝাই ড্রোনগুলি পাকিস্তানের দিক থেকে ভারতীয় সীমান্তে, বিশেষ করে পাঞ্জাবের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিতে পাঠানো হয়। বিএসএফ এখন এই সমস্ত ড্রোনগুলির রুটগুলি আরও ভাল উপায়ে ট্রেস করছে। এর জন্য, জব্দ করা ড্রোনগুলি দিল্লির একটি বিশেষ ল্যাবে পরীক্ষা করা হচ্ছে এবং তাদের পাকিস্তান থেকে উড্ডয়ন থেকে শুরু করে ভারত সীমান্ত অতিক্রম করার পর অবতরণ পর্যন্ত পুরো রুট খুঁজে বের করা হচ্ছে। ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগে আয়োজিত বিএসএফের ৫৯তম প্রতিষ্ঠা দিবসের প্যারেডে প্রধান অতিথি হিসাবে যোগ দিয়েছিলেন অমিত শাহ। তখন তিনি এই ল্যাবটির প্রশংসা করেছিলেন। দেশের যেকোনো সীমান্ত এলাকা থেকে কোনো ড্রোন গুলি করে নামানো বা জব্দ করা হলে কয়েকদিন পর এই ল্যাবে আনা হয়। ড্রোনটি কখন এবং কোন সময়ে পাকিস্তানের কোন এলাকা থেকে উড্ডয়ন করেছিল, পাকিস্তান থেকে কোন বিমানপথে সীমানা অতিক্রম করে ভারতীয় ভূখণ্ডে অবতরণ করেছিল তা এখানে নির্ণয় করা সক্ষম।

এর সুফল বহু ক্ষেত্রেই দৃশ্যমান। প্রথমত, বিএসএফ তাদের পাকিস্তানি রুটের সন্ধানে সফলতা পাচ্ছে। দ্বিতীয়ত, তাদের সময় সম্পর্কে। এসব জানার পর যখনই পাকিস্তানি রেঞ্জার্সের সঙ্গে বিএসএফ-এর পতাকা বৈঠক হয়, তখনই বৈজ্ঞানিক প্রমাণ সহ পাকিস্তানের তরফে ভারতে পাঠানো এই ড্রোনগুলির তথ্য দেওয়া হয়। যদিও পাকিস্তান তা মানতে নারাজ।

ড্রোনের সাহায্যে মাদক পাচার

পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৯ থেকে এই বছরের নভেম্বর পর্যন্ত পাঞ্জাবের সীমান্ত গ্রামগুলিতে পাকিস্তান থেকে প্রায় দুই হাজার কিলো হেরোইন এবং অন্যান্য মাদক আটক করা হয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ড্রোন ব্যবহার করেছে পাকিস্তান। ২০১৯ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত এই সীমান্ত এলাকায় ১৯০টি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, এ বছর বিএসএফ ৯০টি ড্রোন আটক করেছে। এর মধ্যে শুধুমাত্র পাঞ্জাব-পাকিস্তান সীমান্তে ৮১টি ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক সীমান্তে আধুনিক বেড়ার পাশাপাশি গত কয়েক বছরে ড্রোন ভারতের নিরাপত্তার জন্য নতুন হুমকি হয়ে উঠছে। ভারতীয় সীমান্তে মাদক, জাল মুদ্রা ও অস্ত্র পাঠাতে পাকিস্তান ক্রমাগত ড্রোন ব্যবহার করছে। তাদের রুট খোঁজার পাশাপাশি সীমান্তে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টি-ড্রোন প্রযুক্তিও পরীক্ষা করা হচ্ছে। যাতে সঙ্গে সঙ্গে পাকিস্তানের পাঠানো ড্রোন ভারতীয় সীমান্তে প্রবেশের সাথে সাথেই সনাক্ত করে নষ্ট করা যায়। কিন্তু সেই ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে পাকিস্তান বারবার বদলে ফেলছে তাদের কৌশল। দিল্লিতে অবস্থিত বিশেষ ল্যাবটি এই সমস্ত ড্রোনের সম্পূর্ণ রুট এবং সিস্টেম খুঁজে বের করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version