Chadrayaan- 3: পাকিস্তানের মুখে সপাটে জবাব চন্দ্রযান-৩! করাচীর স্পেস সেন্টারে কী হয় জানেন? ঠাট্টার বদলা পরিশ্রমে

।। প্রথম কলকাতা ।।

Chadrayaan- 3: ১৪ জুলাই পাকিস্তান দুঃখের দিন ঘনিয়ে আসছে চন্দ্রযান- ২ ফেল হওয়ায় ঠাট্টা করেছিল পাকিস্তান ভোলেনি ভারত। পাকিস্তানে কি ইসরোর পর মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র আছে? জানেন কী অবস্থা সেটার। ভারতের অর্থনীতি ফুলেফেঁপে উঠবে চন্দ্রযান- ৩ সফল হলেই। পাকিস্তান কপাল চাপড়াচ্ছে এখন থেকেই। কারণ ৪ বছর আগেই চরম ভুলটা করে দিয়েছিল দেশটা। শত্রু ব্যর্থ হলে মজা নেওয়া। ভারত ঘুরে দাঁড়াবে ভাবতেও পারেনি পাকিস্তানীরা। আচ্ছা বলুন তো চন্দ্রযান ৩ প্রজেক্ট সফল হলে ভারত চাঁদে পৌঁছলে দেশকে নিয়ে গর্ব করা ছাড়াও ভারতীয়দের আর কী লাভ হতে পারে? ভারতের অর্থনীতিতে সুদিনের জোয়ার আসতে চলেছে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। চীন একটাও মন্তব্য করেনি এখনও ভারতের এত বড় প্রয়াস নিয়ে। চন্দ্রযান ৩ কী? কেন এবারের মিশনে ভারতের ব্যর্থ হওয়ার চান্স অনেকটাই কম? এসব তথ্য হয়ত আপনার জানা।

কিন্তু জানেন কি? পাকিস্তানেও রয়েছে ইসরোর মতোই মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র সুপারকো। পাক মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র স্পেস অ্যান্ড আপার অ্যাটমস্ফেয়ার রিসার্চ। কূটনৈতিক মহলের দাবি, মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র হলেও সুপারকোকে ভারতের সর্বনাশ করার কাজেই লাগায় ইসলামাবাদ। একদমই তাই৷ ২০১৮ সালে শোনা গিয়েছিল তাদের বাজেটে ৪০০.৭০ কোটি রূপি মহাকাশ গবেষণার জন্য বরাদ্দ করেছিল ততৎকালীন পাকিস্তানের আব্বাসি সরকার। আদৌ সেটা বাস্তবে পরিণত হয়েছিল কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। সুপারকো ১৯৬১ সালে তৈরি পাকিস্তানের একমাত্র গবেষণা কেন্দ্র। সুপারকপরিচালিত হয় চিনা ন্যাশনাল স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের সহযোগিতায়। সুপারকোকে মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র হলেও একে মূলত ভারতের ওপর নজরদারি এছাড়াও অ্যাটম বোমা সংক্রান্ত বিভিন্ন গবেষেণা ব্যবহার করে ইসলামাবাদ। সরকারের বিশেষ কোনও বিনিয়োগ নেই এই সেন্টারে।

এর মানে যেটা করার কথা সে না হয়ে অন্য কাজে ব্যবহার করা হয় সুপারকো-কে। ২০১৯ ফেল হয়ে যায় চন্দ্রযান ২ মিশন। সেসময় ভারতবাসীর চোখে জল দেখে উৎসবে মেতেছিল পাকিস্তান। রীতিমত খিল্লি করা হয়েছিল ইসরোকে নিয়ে ভারতের বিজ্ঞানীদের কাজ নিয়ে। এমনকি টুইটার ভরে গিয়েছিল ইন্ডিয়াফেলড হ্যাসট্যাগে। এবার পাকিস্তানের মুখের ওপর সপাটে জবাব৷ শুনে রাখুন গুগল ইতিমধ্যেই ভারতের স্পেস-টেক-স্টার্টআপসে বিনিয়োগ করা শুরু করে দিয়েছে। এটা তো জাস্ট একটা নমুনা। ১৪ জুলাই দুপুর ২.৩৫ শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান কেন্দ্র থেকে চাঁদের উদ্দেশে রওনা দেবে চন্দ্রযান ৩। অর্থনীতিবিদদের দাবি, চন্দ্রযান-৩-এর হাত ধরেই ফুলেফেঁপে উঠতে পারে ভারতে অর্থনীতি। কিন্তু কীভাবে? ভালো করে জানুন একজন নাগরিক হয়ে এই তথ্য আপনার জানাটা দরকার।

ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি প্রথম শক্তিশালী রকেট তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছেন স্কাইরুট অ্যারোস্পেস নামে এই সংস্থার। এই কোম্পানির সিইও পবন চন্দ বলছেন চন্দ্রযান-৩-এর সফল উৎক্ষেপণ হলে মহাকাশ গবেষণায় আমেরিকা, রাশিয়া, চিনের সঙ্গে একই সারিতে থেকে টক্কর দিতে পারবে ভারত। এবার ইসরোর প্রযুক্তি ফেল হওয়ার চান্স অনেকাংশেই কম। আগের মতো ভুল এবার করা হয়নি ইসরো চিফ এস সোমানাথ। ভারতের হাতে রয়েছে ১৪০টি স্পেস-টেক স্টার্টআপস। যার মধ্যে রয়েছে স্কাইরুট, স্য়াটরুট, ধ্রুব স্পেস এবং বেল্লাট্রিক্স। কীভাবে মহাজাগতিক বিষয়গুলিকে কাজে লাগিয়ে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাকে আরও সুগম করা যায় এই চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। এই সুবিধার মধ্যে রয়েছে স্যাটেলাইস বেসড ফোনকল, ব্রডব্যান্ড, ওটিটি সোলার ফার্ম থেকে ফাইভ জি অপারেশনের মতো প্রয়োজনীয় ও উপযোগী পরিষেবা। সবথেকে বড় কথা চন্দ্রযান মিশন সফল হলে বাড়বে বিনিয়োগ, বাড়বে কর্মসংস্থান। মহাকাশ গবেষণায় ভারতের ওপর বিনিয়োগেও আস্থা বাড়বে বিনিয়োগকারীদের। আর চাকরির সুযোগ যত বাড়বে চড়চড়িয়ে বাড়বে ভারতের অর্থনীতিও। ১৪ জুলাই ভারতের ফের অগ্নিপরীক্ষা। গোটা বিশ্বের চোখ থাকবে ভারতবর্ষের ওপর। বিশেষ করে চীন ও পাকিস্তানের সেটা বোঝাই যাচ্ছে৷

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version