Mango: মোটা হয়ে যাওয়ার ভয়ে আম খাচ্ছেন না? জলে ভিজিয়ে এই পদ্ধতিতে খেলে কোনও ভয় নেই

।। প্রথম কলকাতা ।।

Mango: আম তো খাচ্ছেন, খাবার আগে এই নিয়ম মানছেন তো? পাকা আম ধুয়ে নিয়ে কেটে খান অনেকেই। অনেকে ধুয়ে ফ্রিজে রেখে দেন। তারপর প্রয়োজন মতো কেটে নেন। কিন্তু এটা একেবারেই ঠিক নয়। আম কাটার আগে জলে ভিজিয়ে রাখতে হয় বেশ কিছুক্ষণ। কেন জানেন? আম জলে ভিজিয়ে রেখে খেলে কি কি উপকার পাওয়া যায় জানলে আপনি আর ভুল করবেন না। গরমকাল ভাল না লাগলেও শুধু পাকা আমের অপেক্ষা সবাই বসে থাকে। এখন বাজার জুড়ে পাকা হিমসাগর, ল্যাংড়ার রমরমা। এরপর উঠবে ফজলি, গোলাপখাস, চৌসা। বাজারে কিছু মিলুক না মিলুক, আম কেনা চাইই। আমে যতই সুগার, ক্যালোরি বা ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয় থাক তার কদর কমার নয়। কিন্তু বাজার থেকে পাকা আম কিনে এনে ধুয়ে ফ্রিজে রেখে দিলেই চলবে না। পাকা আম কেটে খাওয়ার আগে তাকে ভিজিয়ে রাখতে হবে জলে। অনেকেই এই কাজটি করেন।

কেন এটি করা জরুরি, তা কি জানেন?

আমের খোসায় ফাইটিক অ্যাসিড রয়েছে। এটি অ্যান্টিনিউট্রিয়েন্ট হিসাবে পরিচিত। এই অ্যাসিড শরীরে পুষ্টি শোষণে বাধা দেয়। পাশাপাশি দেহে হিট উৎপন্ন করে। এক ঘণ্টা জলে ডুবিয়ে রাখলে এই অ্যাসিড দূর হয়ে যায়। তাছাড়া আমের খোসায় পলিফেনল, ট্যাননিন ও টেরপেনেস নামের যৌগ রয়েছে। এগুলো দেহে অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। ত্বকে লালচে ভাব, জ্বালাভাব দেখা দিতে পারে। জলে ভিজিয়ে রেখে আম খেলে এই সমস্যা দেখা দেয় না। জলে ভিজিয়ে রাখলে আমের স্বাদ গন্ধ বেশি পাওয়া যায়। আম প্রাকৃতিক শর্করা। এই ফল জৈব অ্যাসিড এবং টেরপেনস, এস্টারের মতো যৌগতে সমৃদ্ধ। এই যৌগ ফলের গন্ধ এবং স্বাদ বাড়ায়। আম বাতাস, তাপ বা ঠান্ডার সংস্পর্শে এলে এই যৌগগুলি ক্ষয় হতে থাকে। আম জলে ভিজিয়ে রাখলে এই যৌগগুলো আবার পুনরুজ্জীবিত হয়। তখন আমের স্বাদ ও গন্ধ ফিরে আসে। আমের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইটোকেমিক্যাল রয়েছে। এই যৌগটি দেহে ফ্যাট বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। আম জলে ভিজিয়ে রাখলে ফাইটোকেমিক্যালের ঘনত্ব কমে যায়। তাই যাঁরা মোটা হয়ে যাওয়ার ভয়ে আম খান না, তাঁরা এভাবে আম খেতে পারেন।

কিভাবে আম জলে ভেজাবেন?

জলে এক চামচ নুন, ভিনিগার কিংবা লেবুর রস মিশিয়ে দিন। ওই জলের মধ্যে আমগুলো ১০ থেকে ৩০ মিনিট ডুবিয়ে রাখুন। তারপর জল ফেলে দিন। আমগুলো শুকনো করে মুছে নিন। এছাড়া পরিষ্কার জলে আমগুলো ১ ঘণ্টা ডুবিয়ে রাখতে পারেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আম শুধু ফল হিসেবেই খাবেন। অন্য কোনও খাবারের সঙ্গে নয়। তাতে শরীরে জটিলতা বাড়ে। খাবারের অন্তত ঘণ্টাখানেক আগে বা পরে আম খান। শরীর ঠান্ডা রাখতে ও রিফ্রেশিং ড্রিংকস হিসেবে আমের সঙ্গে ১ চা চামচ তুলসীর বীজ মিশিয়েও খেতে পারেন। এতে শরীর আরও ঠান্ডা হবে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version