Depression During Pregnancy: গর্ভাবস্থায় মানসিক চাপের শিকার মা ? শিশুর স্বাস্থ্য নিয়ে ভুগতে হতে পারে

।। প্রথম কলকাতা ।।

Depression During Pregnancy: মানসিক চাপ (Mental Pressure) এমন একটি সমস্যা যা যে কোন সুস্থ মানুষকে ভেতর থেকে অসুস্থ করে তুলতে পারে। যার কারণে তাঁর শারীরিক স্বাস্থ্যের উপর পড়তে পারে খারাপ প্রভাব। আর সেই মানুষটি যদি হন কোন গর্ভবতী মহিলা তাহলে তা্র নিজের ওপরে যতটা প্রভাব পড়বে ঠিক ততটাই প্রভাবিত হবে গর্ভে থাকা শিশু। তাই গর্ভাবস্থায় একেবারেই অতিরিক্ত চিন্তায় নিজেকে নিমজ্জিত করা উচিত নয়। এমনিতেই একজন গর্ভবতী মহিলার (Pregnant Woman) শরীরে আভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিকভাবে বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়।

অনেকেই প্রসব বেদনা সহ সন্তান প্রসবের পর তাঁর যত্ন নেওয়ার বিষয় গুলি নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তাভাবনা করেন। আর এই মাত্রাতিরিক্ত চিন্তাভাবনার কারণে তাদের উপর মানসিক চাপ সৃষ্টি হয়। তার উপরে বাড়ির চিন্তা, পরিবারের সদস্যদের চিন্তা আর যদি সেই মহিলা কর্মজীবী হোন তাহলে অফিসের চাপ। সবমিলিয়ে সঠিক ভারসাম্য না রাখতে পারলেই মানসিক চাপ সৃষ্টি হয় গর্ভবতী মহিলার উপর। যা তাকে এবং তাঁর সন্তানকে সমানভাবে ক্ষতি করে।

* মায়ের মানসিক চাপ যে ক্ষতি করে সন্তানের

বিশেষজ্ঞদের মতে গর্ভাবস্থায় থাকাকালীন যদি মা অতিরিক্ত চিন্তাভাবনা করতে থাকেন তাহলে তাঁর রক্তচাপ বৃদ্ধি পায় । আর যে কোন গর্ভবতী মহিলার জন্য এই রক্তচাপ বৃদ্ধি পাওয়া ভালো ইঙ্গিত নয়। এতে গর্ভপাত (Miscarriage) পর্যন্ত হতে পারে। এছাড়াও জন্ম নিতে পারে প্রি ম্যাচিওর বেবি। অতিরিক্ত চিন্তাভাবনা করলে এমনিতেই ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। খিদে না পাওয়ার সমস্যা দেখা যায়। যা মায়ের গর্ভে থাকা সন্তানের জন্য ভালো নয়। অতিরিক্ত মানসিক চাপ থাকলে সন্তানের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অন্যান্যদের তুলনায় কম হয়। এছাড়াও মায়ের গর্ভকালীন মানসিক চাপ শিশুর স্বভাবে দারুণভাবে প্রভাব ফেলে, এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।

* গর্ভাবস্থায় নিজেকে কীভাবে চাপ মুক্ত রাখবেন ?

মানুষ মাত্রই চিন্তাশীল প্রাণী। চিন্তা ভাবনাকে নিজের মন মস্তিস্ক থেকে আপনি বের করে দিতে পারবেন না । কিন্তু তাকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব । বিশেষ করে যদি গর্ভবতী হন কোন মহিলা তবে তার জন্য এই টিপসগুলি অত্যন্ত কার্যকরী।

১. যেকোনো কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করুন। যদি অফিসের কাজ থাকে তাহলে সেখানেই সমস্যা মিটে গেল কিন্তু যদি তেমন না হয় তাহলে নিজের পছন্দের কোন কাজ যেমন ছবি আঁকা, গান, নাচ, রান্নাবান্না, বাগানের যত্ন নেওয়া এই সমস্ত কাজে নিজের সময় অতিবাহিত করুন। সৃজনশীল হয়ে উঠুন এতে মনে পজেটিভ চিন্তাভাবনা আসবে।

২. নিয়মিত ধ্যান করার অভ্যাস তৈরি করে ফেলুন। এটা আপনার মনকে শান্ত রাখতে সাহায্য করবে। মানসিক চাপ কমাতেও দারুন ভাবে উপকার করে ধ্যানের অভ্যাস।

৩. যাদের বই পড়ার অভ্যাস রয়েছে তাঁরা খুব একটা মানসিক চাপে ভোগেন না। কারণ বই পড়লে স্ট্রেস রিলিফ হয়, এমনটাই বলেন বিশেষজ্ঞরা । তবে অবশ্যই সেই বইয়ের বিষয়বস্তু হতে হবে ইতিবাচক। এতে সন্তানের আইকিউ বাড়ার সম্ভাবনাও থাকে প্রবল।

৪. কোন কারনেই নিজের ঘুমের সময় নষ্ট করবেন না। একটা ভালো ঘুম গর্ভাবস্থায় আপনার শরীরকে তরতাজা রাখতে খুব সাহায্য করবে। আর উপরে উল্লেখিত এই কাজগুলি করলে মন শান্ত থাকবে। সেক্ষেত্রে ঘুম না আসার মত সমস্যা দেখা দেবে না। যা আপনার মানসিক চাপও কমাবে এবং গর্ভস্থ শিশুর সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version