Food For Good Health: এক গ্লাস দুধে মিশিয়ে নিন এই উপাদান গুলি, সু-স্বাস্থ্যের রহস্য লুকিয়ে এখানেই

।। প্রথম কলকাতা ।।

Food For Good Health: দুধ নিজেই একটি সুষম খাদ্য হিসেবে পরিচিত। হাড়ের যত্ন নেওয়া থেকে শুরু করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অন্যতম ভূমিকা রাখে দুধ (Milk)। চিকিৎসকরা এই কারণেই বাচ্চাদের খাঁটি দুধ খাওয়ানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এছাড়াও প্রত্যেকটি বয়সের মানুষের জন্য দুধ শরীরের যত্ন নিতে ভীষণ সাহায্য করে। দুধে বিভিন্ন পুষ্টিগুণ রয়েছে যা শরীরকে শুধু সুস্থ রাখবে তাই নয়, সতেজতা ফিরিয়ে আনবে। প্রোটিন সমৃদ্ধ এক গ্লাস দুধ খাওয়ার অভ্যাস করলে বহু রোগকে নিজের শরীর থেকে দূরে রাখা যায়।

ক্যালশিয়াম, ভিটামিন এবং প্রোটিনযুক্ত এই পানীয়র সঙ্গে বাড়তি উপকার পেতে আরও কয়েকটি জিনিস মিশিয়ে নিতেই পারেন। এতে লাভের বদলে ক্ষতি তেমন কিছুই হবে না। চলুন দেখে নেওয়া যাক দুধের শক্তি বাড়ানোর জন্য কোন কোন উপাদান সঙ্গ দিতে পারে-

* খেজুর (Dates) : এই ফলের মধ্যে রয়েছে মিনারেলস, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস পটাশিয়ামের মত একাধিক উপাদান। দুধের সঙ্গে খেজুর মিশিয়ে খেতে পারলে পেটের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। একই সঙ্গে ডায়াবেটিস থাকবে নিয়ন্ত্রণে । বাতের ব্যথা যাদের রয়েছে তাদের ক্ষেত্রেও এই খেজুরের সঙ্গে দুধ দারুন উপকার দেবে। এছাড়াও মনোযোগ বাড়াতেও খেজুর সাহায্য করে বলে মনে করা হয়।

* গুড় (Jaggery) : এক গ্লাস গরম দুধের সঙ্গে যদি কিছুটা গুড় মিশিয়ে খাওয়া যায় তাহলে শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। যারা রক্তাল্পতার সমস্যায় ভোগেন তাদের জন্য এই গুড় ও দুধের কম্বিনেশন কিন্তু দারুণ উপকারী। এছাড়াও অন্তঃসত্তা মহিলারা গুড়ের সঙ্গে দুধ খেলে তাদের শারীরিক ক্লান্তি দূর হবে । একইসঙ্গে সারাদিন যে দুর্বলতা ভাব কাজ করে সেটাও কাটবে। পটাশিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের মত উপাদান থাকে এতে। চিনির বদলে গুড় ব্যবহার করাই শ্রেয় কারণ এটি অনেক বেশি সহজ পাচ্য।

* কাঠ বাদাম (Peanut) : অনেকেই সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর রাতে ভিজিয়ে রাখা কাঠবাদাম খান। তাঁরা দুধের সঙ্গে কাঠবাদাম খেতে পারেন। এতে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকে। এছাড়াও কাঠবাদামে থাকার রাইবোফ্লাভিন নামক একটি উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে । এছাড়াও হাড় শক্তিশালী হয় এতে।

* হলুদ (Turmeric) : এক গ্লাস দুধের সঙ্গে কিছুটা কাঁচা হলুদ মিশিয়ে যদি পান করা যায় তাহলে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা বৃদ্ধি পায় । যা কোষের যে কোন ধরনের ক্ষতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম। এছাড়াও হলুদ দুধ অনেকের ক্ষেত্রে স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। প্রজনন ক্ষমতা উন্নত করতে হলুদ দারুন কার্যকরী। এছাড়াও পেটের আলসার সহ গ্যাস্ট্রো ইনটেস্টাইনাল ইনফেকশন দূর করতেও হলুদ দুধ খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।

তবে আমাদের শরীরে এমন বহু রোগ এসে দানা বাঁধে যেগুলি শুধুমাত্র ঘরোয়া প্রাকৃতিক উপায়ে নিরাময় করা সম্ভব হয় না। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অবশ্যই প্রয়োজন। ঘরোয়া কোন উপকরণ আপনার সাইডএফেক্টের কারণ হয়ে দাঁড়াবে না এটা নিশ্চিত। কিন্তু সঠিক রোগের সঠিক চিকিৎসার জন্য অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরাই ভালো পরামর্শ দিতে পারবেন।

 

খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়

সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম

Exit mobile version