।। প্রথম কলকাতা ।।
Menopause: মেনোপজ’ শব্দটা সাধারণত মহিলাদের ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা হয়। ৪০ থেকে ৫০ বছর বয়সী মহিলাদের মধ্যে টানা ১ বছর পিরিয়ড না হলে ধরে তা মেনোপজ বলে ধরে নেওয়া হয়। এই সময়টায় বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তনও আসে। কিন্তু জানেন কি মেনোপজের শিকার হন পুরুষরাও? খুব স্বাভাবিক নিয়মেই মেনোপজ আসে ছেলেদের জীবনেও। অথচ এ নিয়ে এখনও পর্যন্ত তেমন ভাবে আলোচনা হয় না। পুরুষদের মেনোপজ, যাকে পরিভাষায় বলা হয় অ্যান্ড্রোপজ। যখন এক জন পুরুষের টেস্টোস্টেরনের মাত্রা ৪০ বছর বয়সের পর থেকে প্রতি বছর গড়ে প্রায় এক শতাংশ হ্রাস পায়। তখন এটি পুরুষদের মধ্যে মেনোপজের দিকে পরিচালিত করে। চলুন জেনে নেওয়া যাক মেল মেনোপজ সম্পর্কে বিস্তারিত।
পুরুষদের মেনোপজের উপসর্গ টেস্টোস্টেরন উৎপাদন কমে গেলে পুরুষদের মধ্যে মেনোপজ হতে পারে। পুরুষদের বয়স বাড়ার সাথে সাথে তাদের টেস্টোস্টেরনের মাত্রা স্বাভাবিকভাবেই কমে যায়। পুরুষদের মেনোপজের ফলে অবসাদে ভোগা, ক্লান্তি, এনার্জি কমে আসা, মেজাজ পরিবর্তন, ঘুমে ব্যাঘাত, শুক্রাশয় ছোটো হয়ে আসা, শরীরে রোম ঝরে যাওয়া, ইরেক্টাইল ডিসফাংশন, ওজন বৃদ্ধি, যৌন মিলনে অনীহার মতো বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়। মেনোপজের কারণে শারীরিক সমস্যা অ্যান্ড্রোপজের কারণে বেশ কিছু স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমে যাওয়ায় হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এবং অস্টিওপরোসিসের মতো রোগ-ব্যাধি হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে পারে। মেনোপজের চিকিৎসা পুরুষদের মেনোপজের জন্য চিকিৎসাও রয়েছে। টেস্টোস্টেরন প্রতিস্থাপন থেরাপির মাধ্যমে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়ে এবং শারীরিক উপসর্গগুলি কমতে পারে। তবে এই চিকিৎসার ঝুঁকি এবং উপকারিতা সম্পর্কে অবশ্যই ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলা প্রয়োজন। স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা দৈনন্দিন জীবনযাত্রার পরিবর্তন মেনোপজের সময় পুরুষদের সুস্থ-সবল থাকতে সাহায্য করে। মানসিক চাপ কম, স্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া, টাইম টেবিল মেনে চলা, নিয়মিত ব্যায়াম করা, শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এ ছাড়া, সময়ে সময়ে ডাক্তারের কাছে শরীর চেক-আপ করাও খুব গুরুত্বপূর্ণ।
অ্যান্ড্রোপজের ঝুঁকি কাদের?
১) সাধারণত ৫০ বছর বা তার বেশি বয়সী পুরুষদের মধ্যে মেনোপজ দেখা যায়। তবে অনেক পুরুষের মধ্যে ৪০ বছর বয়সের দিকেও মেনোপজ দেখা দিতে পারে।
২) অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার কারণে মেনোপজের ঝুঁকি বাড়তে পারে। ধূমপান, মদ্যপান, অস্বাস্থ্যকর ডায়েট, শরীরচর্চা অভাব এবং মানসিক চাপের কারণে মেনোপজ দেখা দিতে পারে।
৩) স্থূলতা, ডায়াবেটিস, অবসাদ, ক্লান্তি, দুর্বলতা, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, বিভিন্ন যৌন সমস্যার কারণে টেস্টোস্টেরন উৎপাদন কমে গেলে অ্যান্ড্রোপজ বা পুরুষদের মেনোপজ হতে পারে।
৪) আপনার পারিবারিক ইতিহাসে কোনও পুরুষের মেনোপজ থাকলে, আপনিও এই সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারেন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম